মৃত সাগরে মানুষ ডুবে না কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
4,153 বার দেখা হয়েছে
"পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (141,850 পয়েন্ট)

5 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (141,850 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

সামনে বিশাল হ্রদ। নিশ্চয়ই ইচ্ছে করবে হ্রদের পানিতে গা ভাসাতে এবং ডুবে হ্রদের নিম্মদেশ স্বচক্ষে দেখতে! প্রথমটি পারলেও পৃথিবীর একমাত্র জলরাশি যেখানে আপনি চাইলেও ডুবতে পারবেন না, আর তাইতো সেই হ্রদে সাঁতারেরও প্রয়োজন নেই! জলে ভেসেই আপনি কোনো খবরের কাগজ পড়তে পারবেন এমনকি মোবাইলও ব্যবহার করতে পারবেন। হ্যাঁ, বলছি মৃত সাগর নিয়ে।

মৃত সাগরে কেউ ডুবে না কেন?

জর্ডান ও ইসরায়েলের সীমান্তে অবস্থিত মৃত সাগর প্রকৃতপক্ষে একটি হ্রদ। এর দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ৬১ কিলোমিটার, প্রস্থ সর্বোচ্চ ১৮ কিলোমিটার ও গভীরতা প্রায় ১ হাজার ২৪০ ফুট। প্রাচীন রোমানরা এই হ্রদটির নাম রাখে ডেড সী বা মৃত সাগর। এই হ্রদের পানি সমুদ্রের পানির চেয়েও ৮গুণ বেশি লবণাক্ত।এতো বেশি লবণাক্ততার জন্যই এই জলে কোনো উদ্ভিদ বা প্রাণী বাঁচতে পারে না। এজন্যই এর নাম মৃত সাগর।

অতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণেই সেখানে পানির প্লবতা বেশি।প্লবতা হচ্ছে, পানির দ্বারা কোনো বস্তুর উপর প্রযুক্ত উর্ধমুখী চাপ। যখন কোনো বস্তু পানিতে পড়ে তখন বস্তু নিচের দিকে বল প্রয়োগ করলে পানি উপরের দিকে বল প্রয়োগ করে। পানির প্লবতা বস্তুর প্রযুক্ত বলের চেয়ে বেশি হলে বস্তুটি ভাসে। এই মৃত সাগরেও ঠিক একই ঘটনা ঘটে আসছে। এখানে পানির প্লবতা এতোই বেশি যে আপনি চাইলেও ডুবতে পারবেন না।

মৃত সাগর পৃথিবীর সবচেয়ে নিচু জায়গা। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় চৌদ্দশ ফুট নিচে অবস্থান করছে। পূর্বে বর্তমান জর্ডান নদী ও মৃত সাগর ভূমধ্যসাগরের পানি দ্বারা প্লাবিত হতো। সেসময়ে প্রায় ৩৭ লাখ বছর পূর্বে জেজরিল উপত্যকার মধ্য দিয়ে ভূ-মধ্যসাগরের পানি মৃত সাগরে আসতো। সেসময় মৃত সাগরের পানির লবণাক্ততা স্বাভাবিক ছিলো। তারপরে প্রায় বিশ লাখ বছর পূর্বে জেজরিল উপত্যকা ও ভূ-মধ্যসাগরের মাঝের অংশ উঁচু হতে থাকে।

তখন মৃত সাগর বড় একটি হ্রদ্রে পরিণত হয়। ভূ-মধ্যসাগরে পানি দ্বারা আর প্লাবিত না হওয়ায় ধীরে ধীরে বাষ্পীভূত হয়ে মৃত সাগরের পানি কমতে থাকে। কিন্তু পানি বাষ্পীভূত হলেও সেখানকার লবণ থেকেই যায়৷ তাই ধীরে ধীরে এই হ্রদের লবণাক্ততাও বাড়তে থাকে। আর এই লবণের খনিজ উপাদানও অন্যান্য সাগরের পানির খনিজ উপাদান থেকে ভিন্ন। মৃত সাগরের পানিতে ৫০ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম ক্লোরাইড ৩০ শতাংশ, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড ১৪ শতাংশ এবং পটাশিয়াম ক্লোরাইড ৪ শতাংশ আছে।

মৃতসাগর অঞ্চলটি খুবই আরামদায়ক অঞ্চল।এই অঞ্চল পৃথিবীর সবচেয়ে নিচু স্থান হওয়ায় এখানে সূর্যের অতি বেগুণী রশ্মি তেমন পৌঁছাতে পারে না। তাছাড়াও নিচু জায়গা হওয়ায় এখানে বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা বেশি। এসব কারণে এই জায়গাটির পরিবেশ আরামদায়ক। তাছাড়াও অত্যাধিক খনিজ লবণের উপস্থিতি এই জায়গাটিকে গবেষণার জন্যও আদর্শ করেছে। খনিজ লবণে সমৃদ্ধ এই মৃত সাগরের কাদা অনেক প্রসাধনীগুণের অধিকারী। এখানে ঘুরতে আসা মানুষজন প্রাকৃতিক প্রসাধনী হিসেবে এই কাদা গায়ে মেখে সানবাথ করেন। অতি বেগুণী রশ্মির স্বল্পতার জন্য এই স্থান সানবাথের জন্য অনেক উপযোগী।

দিন দিন মৃত সাগরের গভীরতা কমে যাচ্ছে। মৃত সাগরে কোনো বড় জলরাশির প্রত্যক্ষ সংযোগ নেই। '৬০ এর দশকে ইসরাইল তাদের জর্ডান নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে দিলে এক প্রান্ত থেকে প্রায় পানি শূন্য হয়ে পরে মৃত সাগর। পরবর্তীতে জর্ডানও তাদের ইয়ারমুখ নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়। ফলে বাইরে থেকে কোনো পানির উৎস না থাকায় মৃত সাগর আবদ্ধ হয়ে পরে।

এমতবস্থায় মৃত সাগরের পানি আর বাড়ার কোনো উপায় নেই বরং দিন দিন এই মৃত সাগরের পানি বাষ্পীভূত হয়ে এখানকার পানি কমে যাচ্ছে। মাত্র পঞ্চাশ বছরের ব্যবধানে মৃত সাগরের পানি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে চারশ মিটারেরও নিচে নেমে গেছে। এখানে যারা ঘুরতে আসেন তারা এই অঞ্চলের শুষ্ক স্থানেও পানির স্তরের দাগ দেখতে পান। প্রতিবছর প্রায় ৫ মিটার করে মৃত সাগরের পানি নিচে নেমে যাচ্ছে। এনন হতে থাকলে হয়তো একদিন একদমই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে মৃত সাগর।

ক্রেডিট: ডেইলি বাংলাদেশ

+1 টি ভোট
করেছেন (141,850 পয়েন্ট)
যুগে যুগে মানুষের সামনে বড় একটি প্রশ্ন ছিল, কেন মৃত সাগরে মানুষ ডোবে না? আসলে পানিতে লবণ বেশি থাকায় ডোবে যায় না মানুষের শরীর। বরং ডুব দিতে চাইলে কষ্ট করে দিতে হয়। কেউ ইচ্ছা করলে এই জলে দিব্যি গা এলিয়ে দিয়ে ভেসে থাকতে পারে ঠিক সোলার মতো। বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মহাসাগরের পানির সঙ্গে ডেড সির পানিতে মিশে থাকা খনিজ উপাদানগুলোর যথেষ্ট পার্থক্য আছে। মৃত সাগরের পানিতে মিশে থাকা লবণে ১৪% ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, ৪% পটাশিয়াম ক্লোরাইড, ৫০% ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড এবং ৩০% সোডিয়াম ক্লোরাইড রয়েছে। এর লবণাক্ততা স্বাভাবিক সাগরের থেকে ৮.৬ গুণ বেশি। শতকরা হিসেবে ৩০ ভাগ। ফলে পানির ঘনত্ব ১.২৪ কেজি/লিটার। এসব উপাদানের কারণে ডেড সির পানির প্লবতা শক্তি পৃথিবীর অন্য স্থানের পানির চেয়ে অনেক বেশি। আর এই উচ্চ প্লবতা শক্তির কারণে এই সাগরে কোনো কিছু ডোবে না।
0 টি ভোট
করেছেন (12,550 পয়েন্ট)
মহাসাগরের পানির তুলনায় মৃত সাগর বা ডেড সির পানিতে মিশে থাকা খনিজ উপাদানগুলোর পার্থক্য আছে। মৃত সাগরের পানিতে মিশে থাকা লবণে ১৪% ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, ৪% পটাশিয়াম ক্লোরাইড, ৫০% ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড এবং ৩০% সোডিয়াম ক্লোরাইড রয়েছে। এই পানির ঘনত্ব ১.২৪ কেজি/লিটার। এই সকল উপাদানের কারণে ডেড সি’র পানির প্লবতা শক্তি পৃথিবীর অন্যান্য স্থানের পানির চেয়ে অনেক বেশি। আর এই উচ্চ

প্লবতা শক্তির কারণে এই সাগরে কোনো কিছু ডুবে না। যে কেউ মৃত সাগরের পানিতে ভেসে থাকতে পারে। প্রাচীনকাল থেকে এই হ্রদটি মিশরের মমি তৈরির জন্য, সার উৎপাদনের জন্য পটাশসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থের উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এই হ্রদ থেকে প্রাপ্ত লবণ ও খনিজ পদার্থ বিভিন্ন প্রসাধনী ও সুগন্ধি দ্রব্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
0 টি ভোট
করেছেন (28,740 পয়েন্ট)
যদি বস্তুর ওজন বেশি হয় বস্তু ডুবে যায়, আর প্লবতা বেশী হয় তবে বস্তু ভেসে থাকে। কিন্তু মৃত সাগরের পানির প্লবতা এতই বেশি যে বস্তুর ওজন অনেক বেশি হলেও বস্তুকে ঢুবানো বেশ কঠিন। প্লবতা শক্তির কারণে এই সাগরে কোনো কিছু ডুবে না
0 টি ভোট
করেছেন (9,610 পয়েন্ট)
সেখানে পানির সাথে প্রচুর পরিমাণ পদার্থ দ্রবীভূত হয়ে পানির ঘনত্ব মানুষের দেহের ঘনত্ব থেকে বাড়িয়ে তোলে। তাই মানুষ সেখানে ডোবে না।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
1 উত্তর 1,202 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 713 বার দেখা হয়েছে
+8 টি ভোট
1 উত্তর 14,843 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
4 টি উত্তর 11,822 বার দেখা হয়েছে
10 ফেব্রুয়ারি 2022 "বিবিধ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Annoy Debnath (2,910 পয়েন্ট)
+4 টি ভোট
3 টি উত্তর 2,109 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,599 জন সদস্য

83 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 83 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. qh88host

    100 পয়েন্ট

  5. RainaPud8957

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...