প্রস্নটি ভুল। জীবিত মানুষের দেহের ঘনত্ব পানির ঘনত্ব হতে বেশি তাই স্বাভাবিক নিয়মে জীবিত মানুষের দেহ পানিতে ডুবে যায়। আবার জীবিত মানুষের দেহ পানিতে পরলে যে পরিমাণ পানি অপসারণ করে সেই পানির ভর মানুষটির ভরের চেয়ে কম এই কারণে আর্কিমিডিসের সূত্র অনুযায়ী জীবিত মানুষ পানিতে ডুবে যায়। অবাক করার মত বিষয় হলো মানুষ পানিতে পরার সাথে সাথেই ডুবে যায় না কিছুক্ষণ ভেসে থাকে, এর কারণ মানুষের ফুসফুসে প্রায় ৬ লিটার বাতাস থাকে, এই বাতাস মানুষের দেহকে কিছুক্ষণ ভাসিয়ে রাখে। এমনকি পানির নিচে ডুবে গেলেও ভুস করে ভেসে উঠে।যেমন উচু স্হান থেকে পানিতে লাফিয়ে পরলে পানির তলদেশ থেকে মানুষের দেহ দ্রুত পানির উপরে ভেসে উঠে। সাতার না জানলে, মানুষ পানিতে পরার পর আতংকিত হয় এবং ছটফট করতে থাকে এর ফলে দেহ এলোপাথাড়িভাবে পানি অপসারণ করে ফলশ্রুতিতে দেহ দ্রুত পানিতে ডুবে যায়। সাতার জানা মানুষ, পানিতে পরার পর ডুব দিয়ে তলদেশে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না কারণ ফুসফুসের বাতাস দেহকে উপরে ভেসে তোলে। সাতার জানা মানুষ পানিতে পরার পর হাত পা মাছের পাখনার মত ব্যবহার করে দেহকে ভাসিয়ে রাখে এই কাজে সহায়ক ভূমিকা রাখে ফুসফুসের বাতাস। ফুসফুসে বাতাস ভরা না থাকলে কেউ সাঁতার কাটতে পরতো না।
সাতার কাটলে কিভাবে ভেসে থাকে তা নিয়ে,
বিস্তারিতঃ https://www.sciencebee.com.bd/qna/31209/