খাবার খাওয়ার সময় শ্বাসনালীতে খাবার আটকে যায় কেন? কী করণীয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+4 টি ভোট
4,331 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (135,480 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (135,480 পয়েন্ট)
খাবার গিলতে গিয়ে বিষম খেয়ে বা বা ছোট কোনো বস্তু গলা দিয়ে শ্বাসনালীতে আটকে গিয়ে প্রাণঘাতী সমস্যা হয়। শ্বাসনালীতে কিছু আটকে গেলে ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যাওয়ার ঘটনাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলে ‘অ্যাস্ফিক্সিয়া’।

শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে অক্সিজেন সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গেলে হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব হয়। তখন মানুষ কোমায় চলে যেতে পারে। এই অবস্থাকে বলে ‘অ্যানোক্সিয়া’। এই অবস্থায় দ্রুত কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন সরবরাহ করতে না পারলে রোগীকে বাঁচালো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

নিজের ভুলে গলায় খাবার বা অন্য কিছু আটকে গিয়ে দম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এটিকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলে ‘চোকিং’। বাংলায় বলে বিষম খাওয়া বা বিষম ঠেকে যাওয়া। কেউ কেউ বলেন তালুতে উঠে যাওয়া।

প্রতি বছর গড়ে এক কোটি মানুষ গলায় খাবার আটকে বা অন্য কোনো কারণে শ্বাস আটকে মারাত্মক বিপদে পড়েন। খাওয়ার সময় বিষম খেলেই যে দম আটকে যায় তা নয়, কিছু অসুস্থতার কারণেও এমনটি হতে পারে। হাঁপানি (অ্যাজমা), সেরিব্রাল পালসি, স্ট্রোক, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, স্নায়ুরোগ, ইসোফেগাস বা খাদ্যনালীর টিউমার, পার্কিনসনস ডিজিস, মাসকিউলার ডিস্ট্রফি, মস্তিষ্কে চোট, কাঁপুনি ও জ্বর, এপিলেপসি (মৃগী), খাবার গিলে খাওয়ার অসুবিধা ইত্যাদি সমস্যা থাকলে খাওয়ার সময় সতর্ক থাকা দরকার। সুস্থ মানুষও তাড়াহুড়ো করে খাবার খেতে গেলে বিষম ঠেকে বা গলায় খাবার আটকে শ্বাস বন্ধ হতে পারে।

এরকম সমস্যায় পড়লে আতঙ্কিত না হয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে রোগীকে আস্তে আস্তে কাশতে বলতে হবে। সেই সঙ্গে পিঠে ও পাঁজরের ঠিক তলায় হালকা চাপড় মারলে গলায় আটকানো খাবারের টুকরো বেরিয়ে আসতে পারে। এতে কাজ না হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

collected and edited by Hojayfa Ahmed
Source: Wikipedia
0 টি ভোট
করেছেন (9,000 পয়েন্ট)
সাধারণত আমাদের নাসারন্ধ্র তথা নাক কাজ না করলেও সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমরা মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে পারি। কিন্তু শ্বাসনালীতে খাবারের শক্ত কণা ভুল বশত ঢুকে গেলে অনেক চেষ্টা করেও ফুসফুসে বাতাস প্রবেশ করানো সম্ভব হবে না।

এরকম হলে অর্থাৎ শ্বাসনালীতে খাদ্যকণা ঢুকে ফুসফুসে বাতাস যাওয়ার রাস্তা আটকে দিলে (যদি বের করা সম্ভব না হয়) চার মিনিটের মাথায় একজন মানুষকে শ্বাসকষ্টের তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে মারা যেতে হবে।

 

আর এভাবে অকালে শ্বাসরোধে যাতে মারা যেতে না হয় তাই শ্বাসনালী থেকে ঐ খাদ্য কণাটা বের করার জন্য হেমরিজে হেমলিক একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। তার নামানুসারে পদ্ধতিটির নাম হেমলিক পদ্ধতি বলা হয়।

 

পদ্ধতিটি সম্পর্কে অনেকেই জেনে থাকবেন। তবে যারা জানেন না, আশা করি আজকের এই লেখা থেকে বিষয়টি জেনে নিতে পারবেন।

 

পদ্ধতিটি হচ্ছে এরকম-

 

যখন কারও শ্বাসনালীতে খাবার কণা আটকে যাবে তখন থাকে তার পেছন থেকে আপনার জড়িয়ে ধরার মতো করে, আপনার দুহাত শক্ত করে লাগিয়ে তার নাভি বরার চার থেকে পাঁচ বার চাপ দিতে হবে।

 

অথবা তাকে চিৎ করে শুইয়ে দিয়ে তার কোমরে বসে একই কায়দায় তার নাভি মন্ডলে বার কয়েক চাপ দিতে হবে। এতে করে হয় কী, খাদ্যকণাটা ঢুকে যাওয়ার আগে ফুসফুসে যতটুকু বাতাস ছিলো ততটুকু বাতাস ওই শক্ত খাদ্য কণাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। ফলে খাদ্য কণা শ্বাসনালী থেকে বের হয়ে মুখের দিকে এসে পড়ে এবং সেখান থেকে খাবার কণাটা আঙুল দিয়ে টেনে বের করে নিতে পারেন।

 

বিষয়টা মোটেও জটিল না। ধরুন একটা খালি প্লাস্টিকের বোতলের উপর আপনি ঢাকনাটা খুলে এমনেই রেখে দিয়েছেন। এখন যদি বোতলটা সজোরে ধরে চাপ দেন তাহলে কী হবে? বোতলটা চুপসে যাবে, এবং ভেতরের বাতাস ওই খোলা ঢাকনা কণাটিকে ঠেলে বের করে দেবে। এটাই মূলত মানবদেহের সাথে করা হয়।

তবে কথা হচ্ছে ফুসফুসে চাপ প্রয়োগ করার কথা। কিন্তু ফুসফুস দুটো বক্ষপিঞ্জরের ভেতর সুরক্ষিত। তাই সেখানে চাপ দিয়ে তেমন একটা লাভ হবে না।

তাই পেটের নাভি বরাবর চাপ দিলে চাপটা মধ্যচ্ছদা পর্যন্ত পৌঁছায় এবং আটকে থাকা খাবার কণা ছিটকে বের হয়ে আসে।

 

তবে এক বছরের শিশুর ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ভিন্ন। তাকে একহাতে তুলে নিয়ে উল্টো করে ধরে তার পিঠে চার থেকে পাঁচটি চাপড় দিলেই খাদ্যকণা বের হয়ে আসার কথা। তবে তাও যদি না হয়, তখন তার দু’স্তনের মাঝ বরাবর জায়গাটায় তিন আঙুল দিয়ে চাপ দিতে হবে। আশা করা যায় এতে খাদ্যকণা শ্বাসনালী থেকে বের হয়ে আসবে।

 

শেষে একটা কথাই বলবো, খাবার খাওয়ার সময় তেমন হাসাহাসি করা উচিৎ না। খাবার খেতে হলে শুধু খাবারের দিকেই মনোযোগ দেওয়া উচিত। যতটা সম্ভব খাবারের সময় কথা বলা, হাসাহাসি বা অন্য কাজ এড়িয়ে চলা উচিত। খাবারকে সম্মান করতে হবে এবং সবচেয়ে বড় কথা, সৃষ্টিকর্তার নাম নিয়ে খাবার শুরু করতে হবে। এতে করে খাবার সময় আপনি তার হেফাজতের আশ্রয়ে থাকবেন।

আজ এই পর্যন্তই। ভালো থাকুন।

 

(Visited 240 times, 34 visits today)

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+8 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,814 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 223 বার দেখা হয়েছে
04 নভেম্বর 2021 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Muntaha Mehrin Diba (150 পয়েন্ট)
+3 টি ভোট
1 উত্তর 400 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 198 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,459 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

266,569 জন সদস্য

91 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 90 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Nafis Hasan

    220 পয়েন্ট

  2. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  3. sobujalam

    110 পয়েন্ট

  4. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  5. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...