খাবার গিলতে গিয়ে বিষম খেয়ে বা বা ছোট কোনো বস্তু গলা দিয়ে শ্বাসনালীতে আটকে গিয়ে প্রাণঘাতী সমস্যা হয়। শ্বাসনালীতে কিছু আটকে গেলে ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যাওয়ার ঘটনাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলে ‘অ্যাস্ফিক্সিয়া’।
শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে অক্সিজেন সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গেলে হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব হয়। তখন মানুষ কোমায় চলে যেতে পারে। এই অবস্থাকে বলে ‘অ্যানোক্সিয়া’। এই অবস্থায় দ্রুত কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন সরবরাহ করতে না পারলে রোগীকে বাঁচালো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
নিজের ভুলে গলায় খাবার বা অন্য কিছু আটকে গিয়ে দম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এটিকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলে ‘চোকিং’। বাংলায় বলে বিষম খাওয়া বা বিষম ঠেকে যাওয়া। কেউ কেউ বলেন তালুতে উঠে যাওয়া।
প্রতি বছর গড়ে এক কোটি মানুষ গলায় খাবার আটকে বা অন্য কোনো কারণে শ্বাস আটকে মারাত্মক বিপদে পড়েন। খাওয়ার সময় বিষম খেলেই যে দম আটকে যায় তা নয়, কিছু অসুস্থতার কারণেও এমনটি হতে পারে। হাঁপানি (অ্যাজমা), সেরিব্রাল পালসি, স্ট্রোক, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, স্নায়ুরোগ, ইসোফেগাস বা খাদ্যনালীর টিউমার, পার্কিনসনস ডিজিস, মাসকিউলার ডিস্ট্রফি, মস্তিষ্কে চোট, কাঁপুনি ও জ্বর, এপিলেপসি (মৃগী), খাবার গিলে খাওয়ার অসুবিধা ইত্যাদি সমস্যা থাকলে খাওয়ার সময় সতর্ক থাকা দরকার। সুস্থ মানুষও তাড়াহুড়ো করে খাবার খেতে গেলে বিষম ঠেকে বা গলায় খাবার আটকে শ্বাস বন্ধ হতে পারে।
এরকম সমস্যায় পড়লে আতঙ্কিত না হয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে রোগীকে আস্তে আস্তে কাশতে বলতে হবে। সেই সঙ্গে পিঠে ও পাঁজরের ঠিক তলায় হালকা চাপড় মারলে গলায় আটকানো খাবারের টুকরো বেরিয়ে আসতে পারে। এতে কাজ না হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
collected and edited by Hojayfa Ahmed
Source: Wikipedia