শরীরে ঔষধ কীভাবে কাজ করে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+4 টি ভোট
642 বার দেখা হয়েছে
"তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে করেছেন (28,330 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (28,330 পয়েন্ট)
নিশাত তাসনিম -

চিকিৎসা বিজ্ঞান পুরোপুরিভাবে দাঁড়িয়ে আছে ওষুধের উপরে। ব্যথা থেকে শুরু করে কেটে যাওয়া, বড় বড় অপারেশন কোন কিছুই এই ওষুধপত্র ছাড়া সম্ভব ছিলো না। কিন্তু এই ওষুধ কীভাবে আমাদের শরীরে কাজ করে সেটা ভেবে দেখেছেন?

ওষুধ মানুষের শরীরে নানাভাবে প্রবেশ করতে পারে। ইনহেলারের মাধ্যমে, ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে কিংবা গলধঃকরণের মাধ্যমে। শরীরে প্রবেশের পর ওষুধগুলোকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হয়। যখন আপনি মুখ দিয়ে ওষুধ গ্রহণ করেন তখন তারা আপনার পরিপাকতন্ত্র দিয়ে চলাচল করে এবং আভ্যন্তরীণ অংগ যেমন পাকস্থলী আর ক্ষুদ্রান্ত্র দ্বারা শোষিত হয়। তাদেরকে লিভারে পাঠিয়ে দেয়া হয় আর তখন তাদের রাসায়নিক ধর্ম পরিবর্তন হয়। পরিশেষে তারা রক্তে মুক্ত হয়ে যায়। যেহেতু রক্ত সমস্ত শরীরে পরিবাহিত হয় সুতরাং ওষুধ ও শরীরের সবরকম অংগ আর টিস্যুর সংস্পর্শে আসে তাই অনেকসময় ওষুধের বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে দেখা যায়।

ওষুধ প্রবেশ ও করলো সংস্পর্শেও আসলো কিন্তু আমাদের অসুখ বিসুখে কাজ করার মত প্রভাব কীভাবে ফেলে তারা। আমাদের শরীর খাবারের উপরে যেভাবে কাজ করে ওষুধের উপরও একইভাবে কাজ করে। ওষুধ খাওয়ার সাথে সাথেই রাসায়নিকভাবে শরীর এদের ভেংগে ফেলে। মুখ দিয়ে নেয়া সব ওষুধই পাকস্থলী আর ক্ষুদ্রান্ত্রে যায় আর পরিশেষে লিভারে শোষিত হয়। লিভারে প্রোটিনের অণু থাকে যাদের আমরা এনজাইম বলে চিনি তারা এই ওষুধগুলোর রাসায়নিক অবস্থা পরিবর্তন করে দেয়। যেকোন ওষুধে আমাদের শরীর যে পরিবর্তন সৃষ্টি করে তাকে ড্রাগ মেটাবলিজম বলে।

একবার ওষুধের ড্রাগ মেটাবলিজম হয়ে গেলে এটা ছোট ছোট ভাগে ভাগ হয়ে যায় যাদেরকে মেটাবোলাইটস বলে। মেটাবোলাইটস গুলো একটি পুরো ওষুধের মতোন শক্তিশালী হয় না কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এদের প্রভাব আস্ত একটি ওষুধের থেকেও বেশি শক্তিশালী হয়।

শরীরে যেকোন ধরনের বাইরের কিছু খাবার হিসেবে প্রবেশ করলেই লিভার তাকে দফারফা করে। এজন্য অনেক ওষুধ বা বাজে ধরনের কোন দ্রব্য গ্রহণ করলে লিভারের অসুখের সম্ভাবনা অনেক বৃদ্ধি পায়। মেটাবোলাইটস কাজ শেষে লিভারে ফিরে আসে। লিভার তখন আবার এদের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটিয়ে শরীর থেকে বেরিয়ে যাবার জন্য প্রস্তুত করে।

ওষুধের মেটাবোলাইটসগুলো একবার রক্তের মাধ্যমে সমস্ত শরীর ঘুরে এসে তাদের প্রয়োজনীয় কাজ শেষে অন্যান্য বর্জ্য এর মতোনই শরীর ত্যাগ করে। বয়সের সাথে সাথে কিডনীর পরিপক্কতা নির্ধারণ করে যে ওষুধের বর্জ্যগুলো কতো সময়ের মধ্যে শরীর ত্যাগ করবে।
[সোর্স : বিডি ২৪ অনলাইন]
0 টি ভোট
করেছেন (9,000 পয়েন্ট)
চিকিৎসা বিজ্ঞান পুরোপুরিভাবে দাঁড়িয়ে আছে ওষুধের উপরে। ব্যথা থেকে শুরু করে কেটে যাওয়া, বড় বড় অপারেশন কোন কিছুই এই ওষুধপত্র ছাড়া সম্ভব ছিলো না। কিন্তু এই ওষুধ কীভাবে আমাদের শরীরে কাজ করে সেটা ভেবে দেখেছেন?

 

 

ওষুধ মানুষের শরীরে নানাভাবে প্রবেশ করতে পারে। ইনহেলারের মাধ্যমে, ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে কিংবা গলধঃকরণের মাধ্যমে। শরীরে প্রবেশের পর ওষুধগুলোকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হয়। যখন আপনি মুখ দিয়ে ওষুধ গ্রহণ করেন তখন তারা আপনার পরিপাকতন্ত্র দিয়ে চলাচল করে এবং আভ্যন্তরীণ অংগ যেমন পাকস্থলী আর ক্ষুদ্রান্ত্র দ্বারা শোষিত হয়। তাদেরকে লিভারে পাঠিয়ে দেয়া হয় আর তখন তাদের রাসায়নিক ধর্ম পরিবর্তন হয়। পরিশেষে তারা রক্তে মুক্ত হয়ে যায়। যেহেতু রক্ত সমস্ত শরীরে পরিবাহিত হয় সুতরাং ওষুধ ও শরীরের সবরকম অংগ আর টিস্যুর সংস্পর্শে আসে তাই অনেকসময় ওষুধের বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে দেখা যায়।

 

 

ওষুধ প্রবেশ ও করলো সংস্পর্শেও আসলো কিন্তু আমাদের অসুখ বিসুখে কাজ করার মত প্রভাব কীভাবে ফেলে তারা। আমাদের শরীর খাবারের উপরে যেভাবে কাজ করে ওষুধের উপরও একইভাবে কাজ করে। ওষুধ খাওয়ার সাথে সাথেই রাসায়নিকভাবে শরীর এদের ভেংগে ফেলে। মুখ দিয়ে নেয়া সব ওষুধই পাকস্থলী আর ক্ষুদ্রান্ত্রে যায় আর পরিশেষে লিভারে শোষিত হয়। লিভারে প্রোটিনের অণু থাকে যাদের আমরা এনজাইম বলে চিনি তারা এই ওষুধগুলোর রাসায়নিক অবস্থা পরিবর্তন করে দেয়। যেকোন ওষুধে আমাদের শরীর যে পরিবর্তন সৃষ্টি করে তাকে ড্রাগ মেটাবলিজম বলে।

 

 

একবার ওষুধের ড্রাগ মেটাবলিজম হয়ে গেলে এটা ছোট ছোট ভাগে ভাগ হয়ে যায় যাদেরকে মেটাবোলাইটস বলে। মেটাবোলাইটস গুলো একটি পুরো ওষুধের মতোন শক্তিশালী হয় না কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এদের প্রভাব আস্ত একটি ওষুধের থেকেও বেশি শক্তিশালী হয়।

 

 

শরীরে যেকোন ধরনের বাইরের কিছু খাবার হিসেবে প্রবেশ করলেই লিভার তাকে দফারফা করে। এজন্য অনেক ওষুধ বা বাজে ধরনের কোন দ্রব্য গ্রহণ করলে লিভারের অসুখের সম্ভাবনা অনেক বৃদ্ধি পায়। মেটাবোলাইটস কাজ শেষে লিভারে ফিরে আসে। লিভার তখন আবার এদের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটিয়ে শরীর থেকে বেরিয়ে যাবার জন্য প্রস্তুত করে।

 

 

ওষুধের মেটাবোলাইটসগুলো একবার রক্তের মাধ্যমে সমস্ত শরীর ঘুরে এসে তাদের প্রয়োজনীয় কাজ শেষে অন্যান্য বর্জ্য এর মতোনই শরীর ত্যাগ করে। বয়সের সাথে সাথে কিডনীর পরিপক্কতা নির্ধারণ করে যে ওষুধের বর্জ্যগুলো কতো সময়ের মধ্যে শরীর ত্যাগ করবে।  সূত্র- Bangladesh 24

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
1 উত্তর 489 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
1 উত্তর 201 বার দেখা হয়েছে
25 ফেব্রুয়ারি 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 480 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
1 উত্তর 439 বার দেখা হয়েছে
25 ফেব্রুয়ারি 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)

10,775 টি প্রশ্ন

18,459 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

266,076 জন সদস্য

40 জন অনলাইনে রয়েছে
3 জন সদস্য এবং 37 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Nafis Hasan

    220 পয়েন্ট

  2. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  3. sobujalam

    110 পয়েন্ট

  4. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  5. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...