ভ্যাক্সিন শরীরের মধ্যে একটি নকল ইনফেকশনের সৃষ্টি করে। এই ইনফেকশনটি সাধারণত শরীরকে কখনই বিপজ্জনকভাবে অসুস্থ করে তোলেনা। কিন্তু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তো আর চিনবেনা কোন ইনফেকশন আসল আর কোনটি নকল। ওদের কাছে সবই এক।
হয় জয়, নয় ক্ষয়!
এই নকল ইনফেকশনের বিরুদ্ধে শরীর তার সেনাবাহিনীকে তখন মাঠে নামিয়ে দেয়। যে যার কাজ করে যায় অন্ধের মত। ফলে শরীরে উৎপন্ন হয় সেই ইতিহাস সংরক্ষনের কাজে নিয়োজিত থাকা কিছু টি লিম্ফোসাইট-এর দল। যারা কিনা এই নকল ইনফেকশনের বিরুদ্ধে সংগঠিত যুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ করে রাখে। আর একারণেই পরবর্তীতে শরীরে আসল ইনফেকশন হলেও তা সমস্যা করতে পারেনা। কারন সৈন্যদল ততক্ষণে জানে শত্রুকে কিভাবে ঘায়েল করতে হবে। নকল এই যুদ্ধে অবশ্য মাঝে মধ্যে জ্বর আসতে পারে কিন্তু তা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। জ্বর আসার অর্থই হল ভ্যাক্সিন কাজ করছে এবং শরীর তার প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলছে।
ভ্যাক্সিন মূলত ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়া থেকেই তৈরি করা হয়ে থাকে। ভ্যাক্সিন তৈরির সময় অনেক কিছুই বিবেচনায় রাখতে হয় যেমন কীভাবে অনুজীবটি শরীরকে আক্রমণ করছে, আক্রমণ করার পর শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে তার প্রতি, যাদের শরীরে প্রয়োগ করা হবে তাদের ভৌগলিক অবস্থান কিরূপ ,তাপমাত্রা – আর্দ্রতার প্রভাব কেমন এসব কিছুই মাথায় রাখতে হয় একটি ভ্যাক্সিন তৈরির সময়। কারণ এই ব্যাপারগুলি পুরো পৃথিবীর এক এক স্থানে এক এক রকম। যেকারণেই ভ্যাক্সিন তৈরি করা অনেক সময়সাপেক্ষ এবং কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল।
TANVIR