মৃগীরোগ মস্তিষ্কের একটি রোগ। আমরা যে কাজ করি, প্রতিটি কাজের জন্য মস্তিষ্ক থেকে একটি সিগন্যাল আসে। সে জন্য কাজগুলো আমরা করতে পারি। তবে মৃগীরোগে অযাচিত সংকেত আসে। সে জন্য শরীরের কোনো একটি অংশ বা সারা শরীরে একসঙ্গে কম্পন অনুভূত হয়, ঝাঁকি দেয়। এবং এ রকম হয় যে রোগী মাটিতে পড়ে যায়, খিঁচুনি হয়। এর পর অনেক সময় জিহ্বা কেটে যায়, প্রস্রাব হয়ে যায়। এই উপসর্গগুলো থাকলে কোনো পরীক্ষা ছাড়াই আপনি বলতে পারেন, লোকটি মৃগীরোগে ভুগছে।
যেগুলো শিশু বয়সে হয়, এগুলোর মধ্যে মস্তিষ্কের ছবি তোলার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে, যেমন—সিটি স্ক্যান অব দ্য ব্রেইন, এমআরআই। উন্নত মানের ইমেজিং পদ্ধতি রয়েছে, এতে কোনো কিছু পাওয়া যায় না। সেগুলোকে প্রাইমারি ইপিলিপসি বলে বা কারণবিহীন মৃগীরোগ বলা হয়।
আর ৪০ বা এর বেশি বয়সের মানুষের হঠাৎ খিঁচুনি হলো সেটার নানাবিধ কারণ থাকতে পারে। তার মস্তিষ্কে টিউমার থাকতে পারে। হয়তো তার স্ট্রোক হয়েছে, তার হঠাৎ করে খিঁচুনি হলো। একে সেকেন্ডারি ইপিলিপসি বা মৃগীরোগ বলে। তার একটি নির্দিষ্ট কারণ আছে এবং এটি সাময়িক। যে কারণের জন্য হচ্ছে, সেটি সংশোধন করার পর তার খিঁচুনি বন্ধ হয়ে যাবে।
ক্রেডিট: এনটিভি