কিছু মাছ, সরীসৃপ এবং উভচর প্রাণীর মাথার উপর তৃতীয় চক্ষু দেখা যায়। এই আলোক-সংবেদী কোষগুচ্ছ তাদের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে তেমন ভূমিকা রাখে না। বরং এই তৃতীয় চোখ দিয়ে কিছু প্রাণী তাদের দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং সূর্যের সাপেক্ষে চলনের দিক নির্ণয়ে ব্যবহার করে।
অমেরুদণ্ডীদের মধ্যে বেশিরভাগেরই দুটোর বেশি চোখ থাকে। উদাহরণস্বরূপ, মাকড়সার মস্তকে আটটি চোখ থাকে, যা তাদের খাদ্য চিহ্নিত করে শিকার করতে সাহায্য করে। ঘাসফড়িংজাতীয় পতঙ্গের মাথায় অসংখ্য আলোকসংবেদী কোষ একত্রিত হয়ে দুটি পুঞ্জাক্ষী গঠন করে, আর মাথার ঠিক মাঝখানে থাকে তিনটি সরলাক্ষী।
সামুদ্রিক মলাস্কা পর্বের কিছু প্রাণী আরও এক কাঠি সরেস। কাইটন নামক এসব জীবের দেহের শক্ত আবরণীতে শতাধিক চোখ রয়েছে, যা তাদের দৃষ্টিসীমা প্রসারিত করে এবং শিকারী জীবদের থেকে আত্মরক্ষায় সহায়তা করে।
Source: BBC Science Focus
ক্রেডিট: মোঃ তৌফিক-ই-ইলাহী