আমাদের চোখ দুটো হওয়া সত্ত্বেও আমরা সব কিছু একটা করে দেখি কেন? দুইটা করে দেখা উচিত না? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+11 টি ভোট
942 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (10,910 পয়েন্ট)

1 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (10,910 পয়েন্ট)
Nishat Tasnim- আমাদের চোখের গঠন সম্পূর্ণ গোলাকার নয়; কিছুটা অসম গোলাকৃতির এবং প্রায় এক ইঞ্চি ব্যাসের হয়ে থাকে। মানুষের চোখের আকৃতি মোটামুটি সারাজীবন একরকমই থাকে। চোখে সামনের অংশে থাকে আইরিশ নামক রঙিন অংশ, আইরিশের উপর কর্নিয়া নামক গম্বুজের মত অংশ, পিউপিল নামক কালো ও গোলাকার প্রবেশপথ যে পথ দিয়ে আলো চোখে প্রবেশ করে। স্ক্লেরা নামক চোখের সাদা অংশ এবং কঞ্জাঙ্কটিভা নামক পাতলা আবরণ যা কর্নিয়া বাদে চোখের বাকি অংশকে আবৃত করে রাখে।

আইরিশ ও পিউপিলের ঠিক পেছন দিকে আছে চোখের লেন্স আছে যা পেশী দ্বারা যুক্ত। এই লেন্সই প্রবেশকৃত আলোকে ফোকাস করে। একোয়াস হিউমার ও ভিট্রিয়াস হিউমার নামক পদার্থের সাহায্যে লেন্সের কাজ আরো সহজ হয়ে যায়। এরপর থাকে রেটিনা যা তড়িৎ সিগন্যাল তৈরী করতে সক্ষম।

বাস্তবে আমরা দুই চোখ দিয়ে দুটি দ্বিমাত্রিক ছবিই দেখে থাকি। কিন্তু যখন দুই চোখের অপটিক স্নায়ু দিয়ে এই ছবির সিগন্যাল পাঠানো হয় মস্তিষ্কে তখন মস্তিষ্ক কিছু চতুর পদ্ধতিতে এই ছবি দুটিকে একটি ছবিতে পরিণত করে অর্থাৎ ত্রিমাত্রিক ছবি তৈরী করে।

দুই চোখের দেখা দুটি দ্বিমাত্রিক ছবি প্রথমে আন্তঃনিউরন পথে গ্যাংলিওন নামক নিউরন কোষে প্রবেশ করে। এক্ষেত্রে প্রতিটি রেটিনা এই সংকেত বা তথ্যকে ডান ও বাম এই দুই অংশে ভাগ করে এবং এরা মস্তিষ্কে এদের বিপরীত অংশে প্রবেশ করে। নিউরন মস্তিষ্কে প্রবেশের আগে এই দুই প্রকার ছবির মধ্যে তুলনামূলক পার্থক্য করে এবং প্রয়োজনে কিছু তথ্য ফিল্টার করে ফেলে। এই ফিল্টারিং ছবির কন্ট্রাস্ট এবং ডেফিনিশনকে আরো সহজবোধ্য করে তোলে। তারপর নিউরন থেকে এই সংকেত চলে যায় অপটিক স্নায়ুতে এবং শেষ পর্যন্ত মস্তিষ্কে।

মস্তিষ্কের থ্যালামাস অঞ্চল দিয়েই এই সিগন্যাল মস্তিষ্কের প্রবেশ করে। থ্যালামাস অঞ্চলটি এই সিগ্ন্যালকে দুই ভাগে ভাগ করে ফেলে। প্রথম অংশে থাকে বর্ণ ও অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য এবং অপর অংশে থাকে বস্তুর গতি সম্পর্কিত তথ্য ও কন্ট্রাস্ট।

দুই চোখের দুটি অপটিক স্নায়ু যখন মস্তিষ্কে প্রবেশ করে তখন এরা একে অপরকে আড়াআড়িভাবে অতিক্রম করে এবং ‘অপটিক কায়াজম’ নামক একটি বিন্দুতে মিলিতি হয়। এখানে প্রতিটি চোখের বাম পাশ থেকে প্রাপ্ত সিগন্যাল মস্তিষ্কের বাম পাশে প্রবেশ করে এবং ডান পাশ থেকে প্রাপ্ত সিগন্যাল প্রবেশ করে মস্তিষ্কের ডান পাশে। এরপর এই দুই প্রকার সিগন্যাল মিলিত হয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক সিগন্যাল গঠিত হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+6 টি ভোট
1 উত্তর 410 বার দেখা হয়েছে
+6 টি ভোট
1 উত্তর 172 বার দেখা হয়েছে
05 মার্চ 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন বিজ্ঞানের পোকা ৮ (54,300 পয়েন্ট)

10,852 টি প্রশ্ন

18,553 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

854,807 জন সদস্য

50 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 50 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. xocdia88aeorg

    100 পয়েন্ট

  2. pu88now

    100 পয়েন্ট

  3. Ggpokerrrcom1

    100 পয়েন্ট

  4. n8gamesorg

    100 পয়েন্ট

  5. hbbet2pro

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল চিকিৎসা কী পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য মৃত্যু হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...