খাবার পর ঘুম বা ক্লান্তি হওয়াকে বলা হয়- PostPrandial Somnolence।
(Post+prandial Somnolemce = ভক্ষণ পরবর্তী নিদ্রালুতা /ঘুমঘুম ভাব)।
কেন হয়?
ধরা যাক তুমি কাজ করছো, ফলে তোমার শরীরের শক্তি ব্যয় হচ্ছে। একটা সময় আর শক্তি থাকে না কিংবা অতি অল্প শক্তি অবশিষ্ট থাকে। ফলে ক্ষুধা লাগে। খেতে বসি। খাবার পর সব খাবার পরিপাক নালীতে। এগুলো পরিপাকের জন্য পরিপাকনালীর পেশি, পরিপাক গ্রন্থিগুলোকে কাজ করতে হয়। ফলে তাদেরও শক্তির দরকার হয়। এ সময় তোমার দেহ সিস্টেম... রক্তে থাকা অবশিষ্ট শক্তি বা রক্তে বিদ্যমান পুষ্টিকণাকে নিয়ে আসবে পরিপাকনালীর আশেপাশে। তাহলে এই মুহুর্তে সারাদেহের অন্যস্থানে (পেশি, মাথা) শক্তি নেই বললেই চলে বা অল্প আছে। তাহলে শক্তি ছাড়া পেশিও দূর্বল লাগবে। মস্তিষ্কও কাজ কমিয়ে দিয়ে স্লিপমুডে যাওয়ার চেষ্টা করবে।
খাওয়া শেষে যখন খাদ্যদের পরিপাক চলবে পরিপাকনালীতে, কিছু পরিপাককৃত খাবার রক্তে যেতে শুরু করবে তখন আবার নিদ্রাভাব বা ক্লান্তি কমে যাবে। কারণ মস্তিষ্ক স্লিপ মুড থেকে ফিরে আসবে পুষ্টি পেয়ে, পেশিও সবল হতে থাকবে নতুন পুষ্টিতে। খাবার পরিপাক হতে, রক্তে প্রথম ডোজ পুষ্টি (গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, গ্যালাকটোজ, এমিনো এসিড, ফ্যাটি এসিড, গ্লিসারল) যেতে যেহেতু আধা ঘন্টা থেকে দেড় ঘন্টার মতো লাগে তাই এই সময়ে ঘুম ও ক্লান্তি থাকে। অনেকেই শুয়ে পড়ি। এই সময়ের পর কিন্তু তেমন ঘুমভাব থাকে না। কারণ পুষ্টি এখন সারাদেহে।
লেখক: ডা. রাজীব হোসাইন সরকার