Yasin Ahmed - উড়োজাহাজে ভরা থাকে এভিয়েশন ফুয়েল, জেট ফুয়েল, এভিয়েশন গ্যাসলাইন, বাইও ফুয়েল এসব ধরনের বিভিন্ন জ্বালানি। উড়োজাহাজে কোন ধরনের ইঞ্জিন লাগানো আছে এবং এটি কেমন এল্টিটিউড এ ফ্লাই করে থাকে, তার ওপর নির্ভর করে উড়োজাহাজে কোন জ্বালানি ব্যবহার করা হবে।
বোয়িং-747 এ কেরোসিন তেল জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর ফ্রিজিং পয়েন্ট হল মাইনাস 40 ডিগ্রি থেকে মাইনাস 48 ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত। তাই এটি হাই এল্টিটিউড এ জমে যায় না। বোয়িং-747 বা 777 এ প্রতি চার সেকেন্ডে 1 লিটার করে তেল পোড়ে। আর এর জন্য প্রতি এক সিগনেচার লিটার করে জ্বালানি খরচ হয়। এই উড়োজাহাজটি এক কিলোমিটার দূরত্ব যেতে 12 লিটার তেলের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এর একটি সব থেকে বড় সুবিধা হলো এই উড়োজাহাজটি একসাথে 456 জন যাত্রীকে নিয়ে ট্রাভেল করতে সক্ষম। হিসেব অনুযায়ী যদি আমরা প্রতি যাত্রীর পিছনে ফুয়েল কনজংশন বের করে থাকি তাহলে, শুধুমাত্র একজন যাত্রীর জন্য এক কিলোমিটার যেতে 0.04 লিটার তেলের প্রয়োজন হবে।
যদি ফ্লাইট 10 ঘণ্টার হয়ে থাকে তাহলে উড়োজাহাজটির 1 লাখ 50 হাজার লিটার তেলের প্রয়োজন হবে।