শরীরের কোনো অংশে জোরে আঘাত করা হলে তাহলে সেই অংশ সাথে সাথে ফুলে ওঠে কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+11 টি ভোট
628 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (71,130 পয়েন্ট)

1 উত্তর

+4 টি ভোট
করেছেন (71,130 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন

Shahadat Hossain - চোট লাগা জায়গার ফুলে যাওয়াটা আপাতভাবে স্বাভাবিক মনে হয় বটে, কিন্তু আসলে এটা আমাদের শরীরের প্রত্যেক টিস্যুতে উপস্থিত বেশ জটিল এবং দক্ষভাবে সাজানো একটা সতর্কীকরণ ব্যবস্থার বহিঃপ্রকাশ। শরীরের কোন জায়গায় চোট আঘাত লাগলে বা রোগজীবাণুর সংক্রমণ হলে এই সতর্কীকরণ ব্যবস্থা শরীরকে তা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করে তোলে। শরীর তখন সেই জায়গাতে প্রদাহ (inflammation) তৈরি করে। আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল এই পদ্ধতি। 

যখন শরীরের কোন জায়গায় আঘাত লাগে (গোড়ালি মচকানোর কথাই ধরা যাক, গোড়ালি মচকালে গোড়ালির হাড়গুলোর মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী তন্তু ছিঁড়ে যায় ) – তখন রক্তবাহী ছোট ছোট নালীগুলো ফেটে যায়, সুস্থ কোষগুলোও যায় মরে। টিস্যুর এই চোট আর কোষের মৃত্যুর ফল দাঁড়ায় এই যে কোষ বা টিস্যুর মধ্যে আটকে থাকা বেশ কিছু রাসায়নিক যৌগ ক্ষতস্থানে বেরিয়ে আসে – এটাই চোট লাগার সংকেত । 

এই সংকেত-জানানো যৌগগুলোর উপস্থিতি আশেপাশের রক্তবাহী নালীগুলো শনাক্ত করতে পারে। তখন তারা ১) ফুলে ওঠে , এবং ২) বেশিমাত্রায় ক্ষরণপ্রবণ হয়ে ওঠে । ফলে ক্ষতস্থানে রক্ত বেশি করে যায় এবং রক্তস্রোতে উপস্থিত বিভিন্ন প্রোটিন আর রক্তকণিকারা ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে। রক্তস্রোত থেকে প্রচুর জলও ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে – যার জন্যে চোটলাগা জায়গাটা ঘন্টা কয়েকের মধ্যেই ফুলে ওঠে।

আশপাশের রক্তস্রোতের শ্বেত রক্তকণিকারাও চোটের এই রাসায়নিক সংকেত বুঝতে পেরে ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুতে চলে যেতে বাধ্য হয়। এই রক্তকণিকারা মৃত টিস্যুদের খুঁজে খুঁজে বার করে ধ্বংস করে, যাতে তার জায়গায় নতুন সুস্থ টিস্যু জন্মাতে পারে। যেসব ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে সারানো যায় না, তাদেরও এই শ্বেত রক্তকণিকারা মেরে ফেলে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুর ধ্বংসাবশেষ আস্তে আস্তে রক্তস্রোতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়, যাতে তা শরীরের অন্য অংশের মাধ্যমে বের করে দেওয়া যায়। 

ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো যখন এইভাবে পরিষ্কার করা হচ্ছে, তখন ক্ষতস্থানে উপস্থিত অন্য সুস্থ কোষেরা নতুন টিস্যু বানানো শুরু করে। তবে এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ হতে বেশ সময় লাগে – কয়েক সপ্তাহ বা কিছু ক্ষেত্রে কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+5 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,057 বার দেখা হয়েছে
+4 টি ভোট
1 উত্তর 280 বার দেখা হয়েছে
03 জানুয়ারি 2021 "বিবিধ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Samsun Nahar Priya (47,700 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 400 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 489 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 1,126 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,621 জন সদস্য

110 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 109 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. GladisScc821

    100 পয়েন্ট

  5. pkwindev

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...