Mansura Aktar আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রশ্নটি করার জন্য।
আসলে শরীরের কোনো জায়গায় জোরে আঘাত লাগলে বা থেঁতলে গেলে সে জায়গাটা প্রথমে লাল হয়ে ফুলে যায় এবং বেশ ব্যথা করতে থাকে। পরে জায়গাটি নীল ও ক্রমশ কালো হয়ে যন্ত্রণাদায়ক কালশিরার সৃষ্টি করে। পরে আঘাত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তাহলে এই আঘাতজনিত ফোলা ও কালশিরা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
আঘাত লাগার সঙ্গে সঙ্গে আঘাতের জায়গাটিতে বরফ দেওয়া হয়। আঘাতের প্রাথমিক অবস্থায় ঠান্ডা দিলে ওই জায়গার রক্তনালি সংকুচিত হয়। এতে বেশি রক্তপাত হয় না এবং ফোলা ও ব্যথা কম হয়। অভ্যন্তরীণ রক্তপাত না হওয়ায় কালশিরা পড়ে না।
আঘাত পাওয়ার পরের দিন আঘাতের জায়গায় গরম সেঁক দেওয়া হয়। তখন আর ঠান্ডা সেঁকের প্রয়োজন নেই। গরম সেঁকের কারণে ফোলা জায়গা থেকে জমে থাকা রক্তগুলো সরে যায়, রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং আক্রান্ত জায়গাটা দ্রুত সেরে ওঠে।