মাইগ্রেন সমস্যা থেকে কি চিরতরে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয় ? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+13 টি ভোট
693 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (65,620 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (110,330 পয়েন্ট)
মাথাব্যথার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে মাইগ্রেন অন্যতম। এ ছাড়া দৃষ্টিস্বল্পতা, মস্তিষ্কের টিউমার কিংবা স্রেফ সর্দি-জ্বরের কারণেও মাথাব্যথা হতে পারে। তবে মাইগ্রেনের কারণে মাথাব্যথার সঙ্গে জীবণাচরণের কিছু সম্পর্ক রয়েছে। কাজেই কিছু বিষয়ে সচেতন হলে এর থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে রেহাই পেতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে এবং সেটা হতে হবে পরিমিত। অতিরিক্ত বা কম আলোয় কাজ করা যাবে না। কড়া রোদ ও তীব্র ঠান্ডা এড়িয়ে চলতে হবে। বেশি সময় ধরে কম্পিউটারে কাজ করা বা টেলিভিশন দেখা চলবে না।

মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হয়ে গেলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে (বিশেষ করে বমি হলে)। এ ছাড়া বিশ্রাম নিতে হবে। ঠান্ডা কাপড় মাথায় জড়িয়ে রাখলে কিছুটা আরাম পাওয়া যাবে। কিছু খাবার মাইগ্রেনের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

এর মধ্যে ম্যাগনেশিয়ামসমৃদ্ধ ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত, আলু ও বার্লি অন্যতম। বিভিন্ন ফল, বিশেষ করে খেজুর ও ডুমুর ব্যথা উপশম করে। সবুজ শাকসবজি, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-ডি মাইগ্রেন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তিল, আটা ও বিটে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে। দিনে দুবার আদার টুকরা কিংবা রস পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।

মাইগ্রেনের সমস্যায় চকলেট, দুগ্ধজাত খাবার, টমেটো, সাইট্রাস ফল (লেবু, কমলালেবু ইত্যাদি), গমজাতীয় খাবার ও চীনাবাদাম এড়িয়ে চলাই ভালো। তবে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন খাবারে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাজেই কোন কোন খাবার ও পারিপার্শ্বিক ঘটনায় মাইগ্রেন ব্যথা বাড়ছে বা কমছে, সেগুলো চিহ্নিত করে লিখে রাখতে হবে। ব্যথা বেশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

.১ যে সব খাবার মাইগ্রেনের ব্যথাকে ত্বরান্বিত করে সেসব খাবার পরিত্যাগ করা। (যা কারণসমূহের সাথে বর্ণনা করা হয়েছে।
ক.২ যদি কোনো মহিলা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেতে থাকেন, তবে তিনি বড়ি খাওয়া বন্ধ রাখবেন এবং অন্য যে কোনো প্রকার বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণ করবেন।
ক.৩ পরিবেশগত কারণে যদি ধোঁয়া বা ধুলাবালি বা প্রচন্ড গরম বা শীতের বাতাসের মাঝে বের হতে হয় তবে মাস্ক বা রুমাল ব্যবহার করতে হবে।

খ) শাস্ত্রীয় চিকিৎসা
খ.১ সাময়িকভাবে আক্রান্ত সাধারণ মাইগ্রেন রোগীর চিকিৎসা
খ.১.১ ট্যাবলেট অ্যাসপিরিন (৬০০-৯০০ মি.গ্রা.) যা জলতে দ্রবণীয় অথবা ট্যাবলেট প্যারাসিটামল (১ গ্রাম বা ২টা ট্যাবলেট)
খ.১.২ সাথে বমি বন্ধ করার জন্য ওষুধ, যেমন- Metoclopromide
(মেটোক্লোপ্রোমাইড) বাজারে যা মোটিলন, নিউট্রামিড, অ্যান্টিমেট বা মেটোসিড নামে পরিচিত অথবা প্রোক্লোরপিরাজিন ((prochlorperazine)) বাজারে যা স্টিমিটিল, ভারগন বা প্রম্যাট নামে পাওয়া যায়- এসব দেয়া যেতে পারে।

গ) ক্ল্যাসিকেল মাইগ্রেনের চিকিৎসা
গ.১ প্রথমত:
গ.১.১ আরগোটামিন টারট্রেট (Ergotamine Tartrate)
০.৫-১.০ মি.গ্রা. জিহ্বার নিচে, পায়ুপথে বা ইনহেলার বা শ্বাসের সাথে নিতে হবে
গ.১.২ মূলত এই চিকিৎসা তখনই দেয়া হয় যখন বেশি ব্যথার সাথে সাথে দৃষ্টিজনিত অসুবিধা বা স্নায়ুঘটিত সমস্যার লক্ষণ প্রকাশিত হয়।
গ.১.৩ ট্যাবলেট আরগোটামিন নিজেই বমি বমি ভাব বা বমির উদ্রেক করে যার ফলে বেশিরভাগ রোগীই এটাকে সহ্য করতে পারেন না। অপরপক্ষে অতিরিক্ত সেবনের ফলে ধমনি/ শিরাতে সংকুচিত ভাব প্রকাশ পায় ও পাশাপাশি মাথাব্যথাও শুরু হয়। যার ফলে এর ব্যবহার সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হয়। লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে সপ্তাহে ১২ মি. গ্রা. এর মাত্রার বেশি মাত্রা না পড়ে। শুধু তাই নয়- নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ :
(১) গর্ভাবস্থায়
(২) ইশকেমিক হার্ট ডিজিজ (IHD)
(৩) প্রান্তীয় রক্তনালীর বিশৃঙ্খলতা (Peripheral Vascular Disease)
গ.২ দ্বিতীয়ত, সহসা আক্রান্ত মাইগ্রেনে সুমাট্রিপট্যান (sumatriptan) যা ব্রেনের উপাদান সিরোটোনিন এর কাজের সহায়ক নতুন এক সংযোজিত ওষুধ।
(১) মাত্রা : ১০০ মি.গ্রা. ২৪ ঘণ্টার মাঝে। অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে মাত্রা ৩০০ মি. গ্রা. এর উপরে না যায়। এটি ইনজেকশনের আকারেও পাওয়া যায়।
৬ মি. গ্রা. চামড়ার নিচে। লক্ষণীয়; ২৪ ঘণ্টার মাঝে যেন দু’টির বেশি ইনজেকশন না পড়ে। এর কার্যকারিতা খুবই ভালো তবে খুব ব্যয়সাধ্য।
0 টি ভোট
করেছেন (141,850 পয়েন্ট)
মাইগ্রেন থেকে রেহাই পেতে!

মাইগ্রেন এক বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা। মাথার যেকোনো এক পাশ থেকে শুরু হয়ে অনেক সময় পুরো মাথায় ব্যথা করে। এতে মস্তিষ্কে স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয়। মস্তিষ্কের বহিরাবরণে যে ধমনিগুলো আছে, সেগুলো মাথাব্যথার শুরুতে স্ফীত হয়ে যায়। মাথাব্যথার সঙ্গে বমি এবং বমি বমি ভাব রোগীর দৃষ্টিবিভ্রম হতে পারে।

কেন এবং কাদের বেশি হয়?

মাইগ্রেন কেন হয় তা পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে এটি বংশগত বা অজ্ঞাত কোনো কারণে হতে পারে। এটি সাধারণত পুরুষের চেয়ে নারীদের বেশি হয়। চকলেট, পনির, কফি ইত্যাদি বেশি খাওয়া, জন্মবিরতিকরণ ওষুধ, দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত ভ্রমণ, ব্যায়াম, অনিদ্রা, অনেকক্ষণ টিভি দেখা, দীর্ঘসময় কম্পিউটারে কাজ করা, মোবাইলে কথা বলা ইত্যাদির কারণে এ রোগ হতে পারে। মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, কোষ্ঠকাঠিন্য, অতি উজ্জ্বল আলো এই রোগকে বাড়িয়ে দেয়।

লক্ষণ :

মাথাব্যথা শুরু হলে তা কয়েক ঘণ্টা, এমনকি কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মাথাব্যথা, বমি ভাব এ রোগের প্রধান লক্ষণ। তবে অতিরিক্ত হাই তোলা, কোনো কাজে মনোযোগ নষ্ট হওয়া, বিরক্তিবোধ করা ইত্যাদি উপসর্গ মাথাব্যথা শুরুর আগেও হতে পারে। মাথার যেকোনো অংশ থেকে এ ব্যথা শুরু হয়। পরে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে | চোখের পেছনে ব্যথার অনুভূতি তৈরি হতে পারে। শব্দ ও আলো ভালো লাগে না। কখনো কখনো অতিরিক্ত শব্দ ও আলোয় ব্যথা বেড়ে যেতে পারে|

যেসব খাবার মাইগ্রেনের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে :

* ম্যাগনেশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার। যেমন ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত, আলু ও বার্লি মাইগ্রেন প্রতিরোধক।

* বিভিন্ন ফল, বিশেষ করে খেজুর ও ডুমুর ব্যথা উপশম করে।

* সবুজ, হলুদ ও কমলা রঙের শাকসবজি নিয়মিত খেলে উপকার হয়।

* ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি মাইগ্রেন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তিল, আটা ও বিট ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে।

* আদার টুকরো বা রস দিনে দুবার জিঞ্চার পাউডার পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।

কী ধরনের খাবার এড়িয়ে চলবেন :

* চা, কফি ও কোমলপানীয়, চকলেট, আইসক্রিম, দই, দুধ, মাখন, টমেটো ও টক জাতীয় ফল খাবেন না

* গম জাতীয় খাবার, যেমন রুটি, পাস্তা, ব্রেড ইত্যাদি

* আপেল, কলা ও চিনাবাদাম

* পেঁয়াজ

তবে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন খাবারে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

মাইগ্রেন থেকে রেহাই পাওয়ার কিছু উপায় :

* মাইগ্রেন চিকিৎসায় তাৎক্ষণিক এবং প্রতিরোধক ওষুধের পাশাপাশি কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়।

* প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে এবং সেটা হতে হবে পরিমিত।

* অতিরিক্ত বা কম আলোতে কাজ না করা।

* কড়া রোদ বা তীব্র ঠান্ডা পরিহার করতে হবে।

* উচ্চশব্দ ও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে বেশিক্ষণ না থাকা।

* বেশি সময় ধরে কম্পিউটারের মনিটর ও টিভির সামনে না থাকা।

* মাইগ্রেন শুরু হয়ে গেলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা (বিশেষ করে বমি হয়ে থাকলে), বিশ্রাম করা, ঠান্ডা কাপড় মাথায় জড়িয়ে রাখা উচিত।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 218 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
3 টি উত্তর 674 বার দেখা হয়েছে
+8 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,797 বার দেখা হয়েছে
+10 টি ভোট
4 টি উত্তর 2,675 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,662 জন সদস্য

150 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 150 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. 888clbcasino

    100 পয়েন্ট

  5. kqbdnowgoal

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...