Rabeya Bristy-
চুল ধোবেন ঠান্ডা জলে
গরম জল চুলের ভীষণ ক্ষতি করে দেয়৷ এতে চুলের স্বাভাবিক তেলাভাব আর আর্দ্রতা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়, চুল বিবর্ণ ও রুক্ষ হয়ে যায়৷ আর দিনের পর দিন চুল শুকনো হয়ে যাওয়া মানেই অবধারিত ডগা ফেটে যাওয়া৷ তাই সব সময় চুল ধোওয়ার জন্য ঠান্ডা জলই ব্যবহার করুন৷ প্রথমদিকে যদি একান্তই গরম জল ব্যবহার করতেই হয়, শেষবার ধোওয়ার সময় অবশ্যই ঠান্ডা জল দিয়ে ধোবেন৷
যে কোনও ধরনের চুলের সমস্যাতেই নারকেল তেল খুব কাজের। বাটিতে পরিমাণমতো নারকেল তেল গরম করে চুলে ভালোভাবে মাসাজ করে লাগান। চুলের ডগার দিকটায় বেশি মনোযোগ দেবেন। ছোট তোয়ালে বা শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। নারকেল তেল চুল নরম, আর্দ্র রেখে ডগা ফাটা প্রতিরোধ করে।
প্রচুর জল খান
আপনার শরীর ভিতর থেকে আর্দ্র থাকলে চুলও আর্দ্র থাকবে৷ আপনার চুলের গঠনের এক-চতুর্থাংশই জল৷ পর্যাপ্ত জল না খেলে স্বাভাবিকভাবেই তাই চুল রুক্ষ হতে শুরু করে। চুলের ডগা ফাটা আটকাতে চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখা খুব দরকার। চুল আর্দ্র ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে তাই দিনে অন্তত আট গেলাস জল খান
অ্যালো ভেরার আর্দ্রতায় ভরপুর প্রাকৃতিক উপাদান চুলের স্বাস্থ্য আর জৌলুস বাড়িয়ে তুলতে খুব ভালো কাজ করে। অ্যালো ভেরার পাতা কেটে ভিতরের জেলির মতো উপাদানটুকু বের করে নিন। সারা চুলে ভালোভাবে মাসাজ করে কিছুক্ষণ রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। চুল রাতারাতি কোমল আর উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
ডিমের পুষ্টি
রুক্ষ, ডগা ফাটা চুলের জন্য ডিমের প্রোটিন আর ফ্যাট ভীষণ কাজের। আপনার চুলের দৈর্ঘ্য আর ঘনত্বের উপর নির্ভর করে একটা বা দুটো ডিম ভেঙে নিন। তার সঙ্গে মেশান আধ চামচ অলিভ অয়েল। ভালো করে মিশিয়ে নিন। সমস্ত চুলে ভালোভাবে মাখিয়ে মিনিট দশেক রাখুন। এরপর কুসুমগরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেললেই চুলে আসবে নতুন সজীবতা।
মধুর ম্যাজিক
চুল আর মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে মধু দারুণ কাজ করে। পরিমাণমতো মধু আর অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে 20 মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন৷
তেলতেলেভাব বাদ দিয়ে শুধু ময়েশ্চারাইজ় করতে চাইলে দইয়ের চেয়ে ভালো কিছু আর হয় না৷ টাটকা টক দই চুলে মাখিয়ে দেখুন৷ চুল আর্দ্র আর ঝলমলে তো হবেই, মজবুতও হবে যথেষ্ট৷
এড়িয়ে চলুন
চড়া রোদ
রোদের হাত থেকে ত্বক বাঁচানোর জন্য তো সানস্ক্রিন লাগান। চুলের জন্য কিছু ভেবেছেন কি? রোদে বেরোনোর সময় স্কার্ফ বা ওড়না দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। হেয়ার সিরাম লাগালে বাড়তি সুরক্ষা পাবেন। দূষণ ও অতিরিক্ত ধুলোময়লার কারণেও চুল রুক্ষ আর শুকনো হয়ে যায়, তাই নিয়মিত শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার ব্যবহার করাও খুব দরকার।
ডিটারজেন্টের পরিমাণ বেশি এমন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুলে খুব তাড়াতাড়ি চুল রুক্ষ হয়ে পড়ে৷ এ ধরনের শ্যাম্পু এড়িয়ে চলুন৷ বদলে নরম, ভেষজ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন৷ শ্যাম্পু আপনার চুলের গঠনের সঙ্গে মানানসই কিনা সেটাও দেখা দরকার৷ শ্যাম্পু করার পর যদি চুল রুক্ষ লাগে, বুঝবেন আপনার চুলের পক্ষে ওই বিশেষ শ্যাম্পুটি ঠিক নয়৷
নিয়মিত গরম হেয়ার ড্রায়ার, আয়রন, কার্লার ব্যবহার করলে চুলের স্বাভাবিক গঠন নষ্ট হয়ে যায়৷ চুল দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে এবং তার প্রথম চিহ্ন ডগা ফেটে যাওয়া৷ যতটা সম্ভব এই সব স্টাইলিং টুল এড়িয়ে চলুন৷
কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট
চুলের রং বারবার বদলালে বা কেমিক্যাল দিয়ে চুল সেট করালেও চুল শুষ্ক হয়ে যায়। এড়িয়ে চলুন যতটা সম্ভব।