স্মার্টফোনে আসক্তি কমাতে যা করবেন
* ঘুমানোর সময় বালিশের পাশে মুঠোফোন নিয়ে ঘুমাবেন না। এতে ফোনের তেজস্ক্রিয়াজনিত ঝুঁকি থেকে মুক্ত হওয়া যায়, তেমনি ঘুম থেকে উঠেই স্মার্টফোনে চোখ রাখার অভ্যাস কমানো যায়।
* কোনো মিটিং কিংবা ক্লাসে মুঠোফোন বন্ধ করে ব্যাগে কিংবা টেবিলের ড্রয়ারে রেখে আসুন। মিসড কল অ্যালার্ট সার্ভিসের মাধ্যমে ফোন বন্ধ রাখার সময় কে কে ফোন করেছিলেন তা জানতে পারেন।
* খাওয়ার সময় কখনোই ফোনের পর্দায় চোখ রাখবেন না। খাওয়া উপভোগ করার জন্য ফোন থেকে দূরে থাকুন।
* মুঠোফোনে ই-মেইলের উত্তর দেওয়ার বদলে ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটারে অভ্যাস করুন।
* ফ্রিডম, অ্যাপডেটক্স, স্টে অন টাস্ক, ব্রেকফিসহ বিভিন্ন অ্যাপ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্তি কমাতে পারেন। এই অ্যাপগুলো আপনার
মুঠোফোনে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন
অ্যাপ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ রেখে আপনার আসক্তি কমাতে পারে।
* প্রতিদিন সকালে পত্রিকা পড়ার অভ্যাস ও রাতে
বই পড়ার অভ্যাস স্মার্টফোনে আসক্তি অনেকটা
কমিয়ে আনে।
* ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে সেটিংস অপশন থেকে নোটিফিকেশন বার্তা কমিয়ে নিতে পারেন।
* স্মার্টফোনে আসক্তি কমাতে সাধারণ মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু করতে পারেন, যা শুধু কাজের জন্য কল দেওয়া আর খুদেবার্তা পাঠানোর জন্য ব্যবহার করবেন।
* বিভিন্ন আড্ডা কিংবা খেলার মাঠে নিজের অংশগ্রহণ বাড়ানোর চেষ্টা করুন। বন্ধুদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার, বন্ধুদের চোখে চোখ রেখে গল্প-আড্ডায় মেতে উঠুন, এতেও মুঠোফোন আসক্তি অনেক কমে আসে।
* সন্তানকে ফোনে ই-বুক পড়ার অভ্যাসের বদলে রঙিন বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করুন।
* সন্তানের হাতে উচ্চপ্রযুক্তির স্মার্টফোন তুলে না দেওয়াই ভালো। খুব প্রয়োজন হলে সাধারণ ফোন ব্যবহার করার অনুমতি দিতে পারেন।
* দৈনন্দিন কাজের হিসাব, মিটিং কখন, কোথায় তা লেখার জন্য মুঠোফোনের অ্যাপ ব্যবহারের চেয়ে কিছুদিন ডায়েরিতে হাতে-কলমে লেখার অভ্যাস করুন।
* যানজটে বসে মুঠোফোনে মুখ না গুঁজে ব্যাগে বই রাখতে পারেন। যানজটে মুঠোফোনে গান না শুনে বা ফেসবুক ব্যবহার না করে বই পড়ার অভ্যাস করুন।
* কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে সেলফি কিংবা ফোনে ছবি তোলার বদলে অনুষ্ঠানের অতিথিদের সঙ্গে পরিচিতি বাড়ান আর গল্প করার অভ্যাস করুন।
সূত্র: টাইম ম্যাগাজিন, ফেমিনা, দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা।