সাধারানত ৪৫-৫৫ বছরের সীমা রেখার মাঝে মহিলাদের মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারীর গর্ভাশয়ের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়,ফলে ঋতু চক্র বন্ধ হয়ে যায় এবং নারী প্রজনন ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলে।
জন্মের পর একজন মেয়ে শিশুর ডিম্বাশয়ে প্রায় ৩ থেকে ৫ লক্ষ ডিম্বাণু থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে অধিকাংশ ডিম্বাণুই নষ্ট হয়ে যায়। একজন নারীর সারা জীবনে প্রায় ৫০০ ডিম্বাণু পূর্ণতা লাভ করে এবং একজন সুস্থ নারীর সাধারনত ১২-১৩ বছরের মধ্যে মাসিক শুরু হয়ে যায়। ১৩ বছরের পর থেকে প্রতি মাসে (২৮ দিনের চক্রে) একটি ডিম্বাণু পূর্ণতা প্রাপ্ত হয় এবং নানান রকম শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া ঘটতে থাকে। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে এই পরিণত ডিম্বাণুটির নিষেক না ঘটলে মৃত ডিম্বাণু রক্তক্ষরণের সাথে নির্গত হয়ে যায় শরীর হতে, আর সেই বিশেষ প্রক্রিয়াটিকেই মাসিক বা পিরিয়ড বলা হয়। নিয়মিত পিরিয়ড হওয়া সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ এবং আমাদের শরীরের অন্তর্বর্তী প্রক্রিয়াগুলিকে পরিষ্কার রাখার উপায়। প্রতি মাসিক চক্রের ২৮ দিনে একটি ডিম্বাণু নির্গমনের ফলের ৪৫-৫০ বছর বয়সের ভেতরই প্রায় সব ডিম্বাণু শেষ হয়ে যায়,সেই সঙ্গে এস্ট্রোজেন উৎপন্নও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মাসিক হালকা ও অনিয়মিত হতে থাকে ও এক সময় মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।