আমাদের নাকের আশপাশেই যে মুখমণ্ডলের হাড়গুলো রয়েছে, এগুলোকে আমরা মেক্সিলার বলি- দুই চোখের মাঝখানের অংশকে আমরা ইকময়ডাল এড়িয়া বলি, এগুলো ফাঁপা হাড়- এগুলো নাকের আশপাশেই অবস্থিত। নাকের ভেতরেই তাদের সর্দি নিঃসৃত করে। এসব জায়গায় বাতাস চলাচল করে। যত দিন পর্যন্ত ফ্রি বাতাস থাকে, তত দিন পর্যন্ত সাইনাসের সমস্যা সৃষ্টি হয় না। তবে যখনই ঘন ঘন সর্দি লাগা অথবা নাকের অ্যালার্জি কোনো কারণে হয়, যখন সাইনাসের এই যোগাযোগগুলো ব্ন্ধ হয়ে যায়, তখনই এর ভেতর প্রদাহ সৃষ্টি হয়। একে আমরা সাইনোসাইটিস বলি।
সাধারণত ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে সাইনাসজনিত সমস্যা হয়ে থাকে।
ফাংগাস, অ্যালার্জিজনিত কারণেও সাইনোসাইটিস সৃষ্টি হয়। রিস্ক ফ্যাক্টরের সংখ্যা এক বা একাধিক। যার মধ্যে অন্যতম নাকের হাড় বাঁকা, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, পলিপাস, অ্যাজমা, এসপিরিন জাতীয় ওষুধ। প্রকৃতি থেকে ডাস্ট অর্থাৎ ধুলাবালি, কলকারখানার ধোঁয়া, সুগন্ধি, ঝাঁঝাল গন্ধ, মরিচের গুঁড়া, ধূমপান, দন্ত রোগসহ আরও অনেক কারণের জন্য রাইনোসাইনোসাইটিস হতে পারে। গ্যাস্ট্র এসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স, পোস্ট নেজাল ড্রিপসিন্ড্রম ইত্যাদি কারণও জড়িত থাকতে পারে।
Source : Ntv , Jugantor