সম্প্রতি সারা দেশে শুরু হয়েছে মাদকবিরোধী অভিযান। প্রতিদিনই মাদকবিরোধী অভিযানের বিভিন্ন খবর থাকে দৈনিক পত্রিকাগুলোর প্রধান শিরোনাম।
নেশাদ্রব্যের আসক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে নিজের জীবনযাপন পদ্ধতি এবং অভ্যাসে প্রচুর পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। নেশাদ্রব্যের আসক্তি কতটা তীব্র তার ওপর নির্ভর করে এই আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি।
তবে নেশা থেকে যে মুক্তি পাওয়া যায় না, তা কিন্তু নয়। নেশা থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে আপনার কঠোর মনোবল ও সিদ্ধান্ত। এছাড়া অবশ্যই নেশাজাতীয় যে কোনো দ্রব্য খাওয়া ত্যাগ করতে হবে।
⭕আসুন জেনে নেই নেশাদ্রব্যের গ্রাস থেকে নিজেকে রক্ষা করতে যা করবেন।
১৷পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব:-
বর্তমান নেশা থেকে বাঁচার জন্য নিজেকে অন্য কোনো নেশা যেমন জুয়া খেলা, ধূমপান কিংবা অতিভোজন ইত্যাদির দিকে ঠেলে না দেয়ার বিষয়ে যত্নশীল হোন। এ ব্যাপারে পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব এবং কলিগ বা সহযোগীদের সাহায্য গ্রহণ করুন।
২৷মানসিক ও দৈহিক:-
নিয়মিত শরীর চর্চার বিষয়ে যত্নশীল হোন। নিয়মিত শরীর চর্চার ফলে শরীর থেকে কিছু রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয় যেটা আপনাকে মানসিক ও দৈহিকভাবে ভালো বোধ দিতে সক্ষম।
৩৷নেশা ছাড়তে হবে:-
যদি নেশা করা ছেড়ে দেয়ার কারণে আপনার দেহে কোনো অবাঞ্ছিত সমস্যা তৈরি হয়, সেই অজুহাতে আবার নেশা করা শুরু করবেন না। ভালোভাবে মনে করুন এই অবাঞ্ছিত সমস্যার মূল কারণ কী এবং পরবর্তিতে সেই কারণ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
৪৷যাতায়াত :-
যেসব জায়গায় গিয়ে আপনি নেশাদ্রব্য সেবন করতেন কিংবা ক্রয় করতেন, সেসব জায়গায় যাতায়াত বন্ধ করুন। যারা নেশাদ্রব্য সেবন করে না তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা করুন এবং যেসব বন্ধুবান্ধব নেশাদ্রব্য সেবন করে তাদের থেকে দূরে থাকুন।
৫৷নিজে নিজের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ:-
নেশা ছাড়ার জন্য নিজে নিজের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। নিজের নিজে বলতে শিখুন, আমি আর নেশা করব না।
৬৷মনোরোগ বিশেষজ্ঞ:-
নেশা ছাড়তে জন্য মনস্থির করার পর একজন ভালো মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারে। পরামর্শ মেনে চললে আপনি নেশা ত্যাগ করতে পারবেন। এছাড়া এ সময়ে আপনার শারীরিক চেকআপ প্রয়োজন।
বাংলাদেশ মাদক নির্মূল পরিষদ