আমাদের হঠাৎই ঘুম ঘুম ভাব আসে। ঝিমায়। অবসাদ লাগে। এতে কাজ করা কঠিন হয়ে ওঠে। অনেকে এক কাপ কফিতে নির্ভর করেন; কিন্তু সুফল মেলে না। তাই বলে চিন্তার কিছু নেই। আপনি চাইলে অনায়াসে দেহ-মনের ম্যাজমেজে ভাব দূর করতে পারেন। সেই পরামর্শই দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আড়মোড়া ভাঙা
অনেক সময় এতটাই দুর্বল লাগে, মনে হয় আড়মোড়া ভাঙাটাও কঠিন কাজ। এটা ভুল। আপনি ডেস্কের চেয়ারে বসেই দেহটাকে একটু এদিক-সেদিক করুন। দেখবেন, নিমেষে দেহে বল চলে আসছে। উঠে দাঁড়িয়েও আড়মোড়া ভাঙতে পারেন। চনমনে লাগবে।
প্রোটিনপূর্ণ খাবার
দুপুরে খাওয়ার পর ম্যাজমেজে লাগলে খাদ্যতালিকা বদলান। প্রোটিনপূর্ণ খাবার খান। মূলত কার্বোহাইড্রেট আপনার সতেজতা কমায়। তাই ডিম, সালাদ কিংবা মুরগির বুকের বড় একটি টুকরা বেছে নিন। অলস ভাব আসবে না।
মুক্ত বাতাস
অফিসের বাইরে গরম, শীত যা-ই থাকুক, মুক্ত বাতাসে ঘুরে এলে ভালো লাগে। অবসাদ লাগলে মিনিট পাঁচেকের জন্য বাইরে হেঁটে আসুন। এতে দেহে ঘুম আনা মেলাটনিন হরমোনের পরিমাণ কমে আসবে। চাঙ্গা লাগবে। রোদে হাঁটলে ভিটামিন ‘ডি’ও মিলবে। শক্তি ফিরবে দেহে।
রুটিন পরিবর্তন
প্রতিদিন নির্দিষ্ট রুটিন আপনাকে অবসাদে ফেলতে পারে। তাই কাজের ধারায় পরিবর্তন আনুন। পরের কাজটা আগে করুন। গত্বাঁধা রুটিনে পরিবর্তন এলে মন ভালো হয়ে যায়।
গোছাল টেবিল
এলোমেলো টেবিল কিন্তু মানসিকভাবে আপনাকে নিস্তেজ করে দেয়। অগোছাল টেবিল চোখের সামনে থাকলে চিন্তাধারায় স্থিতি থাকে না। এতেও মনে অস্থিরতা আসে। মস্তিষ্কের ধার কমে যায়। হাঁপিয়ে ওঠেন অনেকে। তাই চটজলদি টেবিলটা গুছিয়ে ফেলুন। সেখানে নতুন কিছুর যোগ ঘটান।
বলদায়ক খাবার
দ্রুত শক্তি দেয় এমন খাবার খেয়ে নিন। স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স, আপেল, পনির ইত্যাদি বেশ কাজ দেবে। দ্রুত দুর্বল ভাব কেটে যাবে।
চুইংগাম চিবান
এটা সত্যিকার অর্থেই কাজের জিনিস। পছন্দের ফ্লেভারের চুইংগাম সঙ্গে রাখুন। চিবান। এতে মস্তিষ্ক উত্তেজিত হয়ে উঠবে। ঝিমুনি চলে যাবে।
সংগীত
হেডফোন লাগিয়ে গান শুনুন। এতে মনটা ভালো হয়ে যাবে। পছন্দের সংগীত আপনাকে সতেজ করে দেবে। চনমনে ভাব আনবে। তাই মিনিট তিনেকের জন্য কাজ বাদ দিন।
কাজের ফাঁকে অবসর
যখন কাজে একেবারেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন, তখন অবসর নিন। সব কাজ বাদ দিয়ে পাঁচ মিনিট বসে থাকুন। ঘাড়টা এদিক-সেদিক করুন কিংবা দুই চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকুন।