সিরিয়াস মোমেন্টে বা যখন হাসা একদমই উচিত নয়, তখন আমরা হেসে ফেলি কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+18 টি ভোট
4,743 বার দেখা হয়েছে
"মনোবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (17,750 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+7 টি ভোট
করেছেন (17,750 পয়েন্ট)
এই ঘটনা গুলা তখনই হবে যখনঃ

১) সিচুয়েশনে প্রকৃতপক্ষে আপনার তেমন মাথাব্যথা নাই।

২) আপনি একজন ইন্ট্রোভার্ট মানুষ।

৩) আপনি একজন শান্তিপ্রিয় হাসিখুশির পজেটিভ মানুষ।

এই তিনটির যখন সমন্বয় থাকবে কারো মধ্যে তখনই এমনটা হয়।

ব্যাখ্যাঃ (আমার নিজস্ব হাইপোথিসিস)-

আপনার যেহেতু তেমন মাথাব্যথা নেই, উল্টো সবাই দুঃখী কিংবা টেন্সড, তার উপর আপনি হাসিখুশি থাকতে পছন্দ করেন, তার সাথে আপনি নিজের মাঝে থাকতেই পছন্দ করেন (ইন্ট্রোভার্ট), তাই পারিপার্শ্বিক সিচুয়েশনে আপনার ব্রেইনের কিছু তেমন যায় আসে না। আপনার ব্রেইন আপনার ব্রেইনের মতোই চলতে পছন্দ করবে। উল্টো সবাই কেন এতটা দুঃখী, সেটা ভেবেই অটোমেটিক হাসি এনে দেয় আপনার ব্রেইন, ব্রেইনের কাছে ব্যপারটা হাস্যকর হয়ে দাড়ায়।

©md nasiruuudin
+7 টি ভোট
করেছেন (17,750 পয়েন্ট)
Afsana Afrin-

#যেখানে_সেখানে_হাসি_বা_কান্না_পেলে

হাসি আর কান্না আমাদের আবেগের অংশ। আমরা কখনো আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, আবার কখনো পারি না। যেমন রাগ হলে কখনো খুব ভয়ংকর হয়ে যাই, সবার সামনে সেই রাগের প্রকাশ ঘটিয়ে ফেলি। তেমনি হাসি বা কান্নাও সবার সামনে চলে আসে কখনো। অনেক কষ্টেও সেটা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। ফলে যখন তখন আবেগী হয়ে আমরা সবার সম্মুখে হেসে বা কেঁদে ফেলি।

সিরিয়াস মুহূর্তে সবার সামনে হেসে ফেললে সেটা খুব বাজে দেখায়। যেখানে সেখানে হেসে ফেললে আপনাকে অপমানের মুখে পড়তে হতে পারে। আর যখন তখন কান্নাটা বেশ বিব্রতকর। এতে আপনি যেমন লজ্জিত হবেন, আশেপাশে অন্যরা বিব্রত হবে।

১.যেখানে সেখানে হাসি পেলেঃ

যেখানে সেখানে হাসি পেলে অনেককে আপনাকে ‘পাগল’ বলেও সম্বোধন করতে পারে। অকারণে যেখানে হাসি আসার কথা নয়, সেখানে হাসি পেলে আশেপাশের পরিস্থিতি দেখুন। হেসে ফেললে হিতে বিপরীত হচ্ছে কিনা, সেটা ভাবুন। মনে করুন আপনি কেন সেখানে এসেছেন। মনে রাখতে চেষ্টা করুন সেখানে আপনার ভূমিকাটাই বা কী।

নিজেকেই নিজে চিমটি কেটে হাসি চাপানোর কথা আমরা কমবেশি সবাই জানি। চেষ্টা করে দেখুন। আস্তে করে চিমটি কেটে দেখুন হাসি চলেও যেতে পারে।

যদি সম্ভব হয় যেখানে বসে বা দাঁড়িয়ে আছেন, সেখান থেকে উঠে চলে যান। পরে ভাববেন আপনার উপস্থিতি অন্যের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে কি না। এতেও কাজ হবে। প্রয়োজনে দূরে একা গিয়ে একটু হেসে আসুন। তারপর স্বাভাবিক হন।

প্রবল হাসি চলে আসলে এক কাজ করতে পারেন। জীবনে যত দুঃখ, কষ্ট বা যন্ত্রণার স্মৃতি আছে, তার সব মনে করতে থাকুন। কিন্তু এতে সবসময়ে কাজ না-ও হতে পারে। সেই সময়ে কোনো শারীরিক যন্ত্রণার কথা ভাবলে হাসি প্রশমিত হতে পারে।

খুব বেশি হাসি চলে আসলে চোখ বন্ধ করে ফেলুন বা চোখ হাত দিয়ে ঢেকে ফেলুন। সম্ভব হলে মাথাটাও একেবারে নিচু করে ফেলুন। দেখবেন হাসি কমে গেছে। অনেকে আবার বলে হাসি পেলে একটু কেশে দেখুন। সত্যিই একটু হালকা কেশে নিন। হাসির অনুভূতি কমে যাবে।

কোনো গুরুগম্ভীর পরিবেশে হঠাৎ হাসি পেলে চারপাশের লোকজনকে লক্ষ করুন। তাঁরা গম্ভীর থাকলে সেই গাম্ভীর্য আপনার মধ্যে সংক্রমণের চেষ্টা করুন।

২.আবার খুব বেশি কান্না পেলেঃ

কান্না তো হাসির মতোই একটা আবেগ। আপনার কষ্টের কথা মনে করে যখন তখন কান্না চলে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে কান্না সামলানোও একটা বেশ কঠিন কাজ।

খুব কান্না পেতে লাগলে আপনি দম ভরে নিঃশ্বাস নিন। আবার সময় নিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়ুন। দেখবেন বুকের কাছে দলা পাকানো কষ্ট কমে যাচ্ছে।

সবার মাঝখানে কান্না পেলে সেই স্থান থেকে উঠে যান। উঠে গিয়ে চোখেমুখে পানির ঝাপটা দিন, সবার থেকে কিছুক্ষণ আলাদা থাকার চেষ্টা করুন।

বেশি করে পানি খেয়ে নিন, আস্তে আস্তে সময় নিয়ে। অন্যকিছুতে মনোনিবেশ করুন। যে জন্য কান্না আসে প্রায়ই, সেরকম কোনো স্মৃতি বা চিহ্ন চোখের সামনে আশেপাশে রাখবেন না।

©sci bee
করেছেন (100 পয়েন্ট)
কোন কাজের না
করেছেন (17,750 পয়েন্ট)
আপনি সেক্ষেত্রে আপনার কাজের উত্তরটি সংযুক্ত করতে পারেন! :D
0 টি ভোট
করেছেন (4,020 পয়েন্ট)
মোটামুটি সবার কাছেই এমন অসময়ে বা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে হাসি আসাটা বেশ রিলেটেবল। আমাদের জীবনে আমরা কম বেশি এমন মানুষ দেখেছি যারা সিরিয়াস মোমেন্টে হাসি নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে পারে না বা কারণে-অকারণে হেসে দেয়। অনেক সময় এটা বিষয়/মুহুর্তটাকে গুরুত্ব না দেয়ার জন্য হতে পারে, আবার সেই মুহুর্তে বন্ধুবান্ধবদের সাথে থাকার কারণে স্ট্রেস কম লাগে বলেও হতে পারে। সেটা তখন আমাদের চিন্তা ভাবনা এবং মুহূর্তটাকে কেমন ভাবে নিচ্ছি তার উপর নির্ভর করে।

 

কিন্তু যদি এমন হয় কেউ হাজার চেষ্টা করেও সিরিয়াস মুহুর্তে বা না চাওয়া সত্ত্বেও বার বার হেসে দিচ্ছে বা অন্য কোনো অনুভুতি-আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না তখন সেটা একটা সমস্যা। এমন সমস্যাকে Pseudobalber affect বলে।

 

সিউডোবুলবার ইফেক্ট (PBA) হল এমন একটি অবস্থা যা হঠাৎ অনিয়ন্ত্রিত এবং অনুপযুক্ত হাসি বা কান্নার পর্ব দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। Pseudobulbar প্রভাব সাধারণত কিছু স্নায়ুবিক সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। এই স্নায়ুবিক সমস্যা আঘাতের কারণে বা জন্মগতভাবেও হতে পারে৷ যার প্রভাবে মস্তিষ্কের আবেগ নিয়ন্ত্রণের উপায়ে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। ফলাফল অনিয়ন্ত্রিত হাসি-কান্না।

 

অনেকসময় এই স্নায়ুবিক সমস্যা ডেভেলপ হয়ে বিশেষ কোনো অনুভুতিকেও ট্রিগার করতে পারে। যেমন, শুধু অতিরিক্ত হাসি অথবা অতিরিক্ত কান্না! বিশেষ মুহুর্তে যেমন সিনেমা দেখার সময়, বই পড়া বা খেলা দেখার সময় PBA ট্রিগার করলে অনেক সময় সাধারণ মনে হয় (বেশি হাসি/কান্না আসা)। কিন্তু এই হাসি কান্না নিয়ন্ত্রণে আনতে ভুক্তভোগীকে অনেক কষ্ট করতে হয়!

 

এইতো গেলো আমাদের অদ্ভুত হাসি কান্নার ইফেক্টের কারণ। এখন এর চিকিৎসা বা নিরাময় নিয়ে জানা যাক, সত্য বলতে এর যথাযথ চিকিৎসা এখনো আবিষ্কার হয়নি। থেরাপিস্টরা এক্ষেত্রে থেরাপি দিয়ে থাকেন আর কিছু স্ট্যাবিলাইজাইর দিয়ে থাকেন, যা হাসি কান্নার পর্বগুলিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা সাহায্য করে রোগীকে।

 

Nadia Islam ।। Team Science Bee

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 487 বার দেখা হয়েছে
+5 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,004 বার দেখা হয়েছে
+13 টি ভোট
2 টি উত্তর 622 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,659 জন সদস্য

158 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 156 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. zifieji

    100 পয়েন্ট

  5. tinsoikeo

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...