ফোড়া হয় কেন? এবং এর প্রতিকার, প্রতিরোধ কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+12 টি ভোট
2,594 বার দেখা হয়েছে
"লাইফ" বিভাগে করেছেন (15,710 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (15,710 পয়েন্ট)
Nishat Tasnim

তীব্র বেদনাসহ ফোলা বা ত্বকে একাধিক ফোঁড়া, যারা সাধারণত স্টাফালোলোকোক্কাস ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত একটি সাংঘাতিক ধরনের ফোড়া। ফোড়ার অনেকগুলি ছোট ছোট মুখ থাকে। একেই মূলত কার্বাঙ্কল বলে। কার্বাঙ্কল সাধারনত কোমর, ঘাড়ে, পিঠে ও কনুইতে বেশী দেখা দেয়।

মূলত, যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, কার্বাঙ্কল তাদেরই হয়ে থাকে। আবার কোনও সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষের দীর্ঘ বা জটিল রোগভোগের পর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেও কার্বাঙ্কল হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। লক্ষ করলে দেখা যায়, কার্বাঙ্কল ত্বকের এক কিংবা একাধিক রোমকূপকে কেন্দ্র করেই হয়ে থাকে। অনেক সময়ে, মানুষের ত্বকে এক ধরনের ব্যাকটিরিয়া (স্ট্যাফিলোকক্কাস অরিউস) জন্ম নেয়। সেই ব্যাকটিরিয়াগুলি ত্বকের রোমকূপের ছিদ্র দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে ইনফেকশন তৈরি করে। এর পর ব্যাকটিরিয়া, শরীরের মৃত কোষ ও ত্বক-কোষ মিশে পুঁজ তৈরি হয়ে ‘সোয়েলিং’ শুরু হয়। যা ত্বকের বাইরে বেরিয়ে আসতে চায়।

পরিচ্ছন্নতার অভাব কিংবা কার্বাঙ্কল হয়েছে এমন ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে ব্যাকটিরিয়া ত্বকে বাসা বাঁধতে পারে। লক্ষ করলে দেখা যায়, কার্বাঙ্কল শরীরের সেই সকল অংশেই বেশি হয়ে থাকে, যে সকল অংশে ঘাম বেশি হয়। যেমন- ঘাড়, পিঠ, কোমর, হাঁটুর পিছন দিকের অংশ, আর্মপিট ইত্যাদি।

করণীয়:

যদি সম্ভব হয় যে অংশে কার্বাঙ্কল হয়েছে, সেই জায়গাটি খোলা রাখার চেষ্টা করুন। এতে রোগী স্বস্তি বোধ করবেন। তবে আপনাকে যদি পড়াশোনা কিংবা কাজের প্রয়োজনে বাইরে বেরোতেই হয়— চেষ্টা করুন পাতলা এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরার। এতে কার্বাঙ্কলের অংশটিতে মোটা এবং ভারী কাপড়ের ঘষা লাগবে না। মনে রাখা দরকার, কার্বাঙ্কল কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ছোঁয়াচে। ফলে ত্বকের এক অংশ থেকে অন্য অংশে ছড়িয়ে যেতে পারে। তাই একবার ব্যবহার করা পোশাক সাবান দিয়ে না কেচে ফের ব্যবহারের কথা ভাববেন না। আবার কার্বাঙ্কল উপশমের যে যে উপায় রয়েছে, সেগুলি নিজেই প্রয়োগ করার চেষ্টা করুন।

পরিবারের কারও বা প্রিয়জনের সাহায্য না নেওয়াই ভালো। এতে তার শরীরেও কার্বাঙ্কল ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যাবে।

যে ব্যাকটিরিয়া থেকে সাধারণত কার্বাঙ্কল হয়ে থাকে, বিশেষ পরিস্থিতিতে সেটি রক্তের সঙ্গে মিশে গেলে তা হৃদ্যন্ত্র, ফুসফুস এবং শরীরের ‘সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম’-এ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই কয়েক দিনের মধ্যে যদি কার্বাঙ্কল না কমে, তা হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অনেকের ফোঁড়া বা ফুসকুড়ি খোঁটাখুঁটির অভ্যেস রয়েছে। কার্বাঙ্কলের ক্ষেত্রে তা একেবারেই করবেন না। জোর করে পুঁজ বার করার চেষ্টা করলে ত্বকে গভীর ক্ষত তৈরি হতে পারে।

©ডেইলি হান্ট
0 টি ভোট
করেছেন (12,550 পয়েন্ট)
ফোঁড়া ত্বকের খুব সাধারণ একটি সমস্যা। জীবাণু সংক্রমণের কারণে ত্বকের ওপর ওঠা ছোট, শক্ত ও লাল পিণ্ড, যার ভেতরে পুঁজ জমে থাকে তাকে আমরা ফোঁড়া বলি। বেশির ভাগ সময় এক থেকে দুই সপ্তাহের ভেতর যেকোনো ফোঁড়া আপনাতেই সেরে যায়। তবে কখনো কখনো ফোঁড়ায় প্রচণ্ড ব্যথা হলে অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। অনেক সময়ই ফোঁড়া সেরে গিয়ে বারবার হতে থাকে। বারবার ফোঁড়া হওয়া অনেক সময় জটিল রোগের লক্ষণ প্রকাশ করে।

যেসব কারণে ফোঁড়া বারবার হতে পারে-

১. দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

২. ডায়াবেটিস।

৩. ক্যানসারের রোগী, যিনি কেমোথেরাপি গ্রহণ করছেন।

৪. কোনো অটোইমিউন ডিজিজ থেকে থাকলে। শরীরের একই স্থানে বারবার এবং একসঙ্গে একাধিক ফোঁড়া কারবাংকল (Carbuncle)) রোগের নির্দেশক হতে পারে। এমন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হবে।

কখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি-

দু-তিনবার ফোঁড়া হলে সেটি তেমন বড় সমস্যা নয়। কিন্তু কয়েকটি লক্ষণ আছে, যেগুলো দেখলে বুঝতে হবে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে কি-না। লক্ষণগুলো হচ্ছে-

১. শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বা একই স্থানে বারবার ফোঁড়া হলে।

২. ফোঁড়ায় অতিরিক্ত ব্যথা হলে।

৩. ব্যথার সঙ্গে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা ইত্যাদি থাকলে।

৪. ফোঁড়া থেকে কোনো ধরনের অতিরিক্ত রক্তপাত হতে থাকলে।

৫. দুই সপ্তাহ পরেও ফোঁড়া নিজে থেকে না সারলে। এ ক্ষেত্রে ছোট অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।

খেয়াল রাখতে হবে-

১. কখনোই ঘরে বসে জোর করে বা ধারালো কিছু দিয়ে ফোঁড়া গলানোর চেষ্টা করা যাবে না।

২. ফোঁড়ায় নখ লাগানো যাবে না।

৩. ফোঁড়ায় কুসুম-গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে ভাপ দেওয়া যেতে পারে।

৪. ফোঁড়া প্রতিরোধে সব সময় নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। ফোঁড়া সাধারণ সমস্যা হলেও এর সংক্রমণ কোনোভাবে রক্ত ছড়িয়ে পড়লে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তাই ফোঁড়া নিয়ে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।

৫. ফোঁড়া হলে অস্ত্রোপচার করতে হয় এই ভয়ে অনেকেই বাড়িতে নানাভাবে কাটাছেঁড়া করার চেষ্টা করেন, যা একদমই উচিত নয়। ফোঁড়া হলে সব ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় না। যাদের অস্ত্রোপচার আসলেই দরকার, তারা সঠিক সময়ে করিয়ে নিলে সহজেই সুস্থ হয়ে ওঠেন। বারবার এ সমস্যার সম্মুখীন হলে চিকিৎসকের কাছে যান। অস্ত্রোপচার করতে হবে কি না বা অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ সেবনেই আপনি সুস্থ হবেন কি না, সে বিষয়ে চিকিৎসকই সঠিক পরামর্শ দিতে পারেন।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 299 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 209 বার দেখা হয়েছে
26 অক্টোবর 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,280 পয়েন্ট)
+4 টি ভোট
2 টি উত্তর 336 বার দেখা হয়েছে
+8 টি ভোট
1 উত্তর 1,035 বার দেখা হয়েছে
26 নভেম্বর 2020 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Tasmia Tabassum (2,260 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
1 উত্তর 631 বার দেখা হয়েছে

10,729 টি প্রশ্ন

18,374 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

242,815 জন সদস্য

55 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 55 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. akramul5556

    110 পয়েন্ট

  2. amir

    110 পয়েন্ট

  3. SRNPhillip67

    100 পয়েন্ট

  4. LoriVesely2

    100 পয়েন্ট

  5. MauraTrevasc

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...