Mobin Sikder-
এটির কারণ হচ্ছে মস্তিষ্কের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অন্যটি হয়না।
আমাদের মস্তিষ্কের দুইটি অংশ দ্বারা কথা বলা নিয়ন্ত্রিত হয়। তারা হচ্ছে সেরেব্রাল কর্টেক্সের ব্রোকাস এরিয়া এবং ভার্নিক এরিয়া। আমাদের কথা বলা এই দুই অংশের উপর অধিকাংশে নির্ভরশীল কিন্তু স্মৃতিশক্তি এদের উপর নির্ভরশীল নয়। আবার দেখবে, কথা বলার জন্য মাসল মেমোরির ও ব্যবহার হয়, স্মৃতিশক্তি ক্ষতি হবার সময় এই মাসল মেমোরিরও তেমন ক্ষতি হয় না। এজন্য তারা কথা ঠিকই বলতে পারে কিন্ত আগের কথা মনে করতে পারে না অথবা নতুন কথা শিখতে কষ্ট হয়।
যদি এই দুইটি এরিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবেই সে আর কথাও বলতে পারবে না।
আসলে মস্তিষ্কে আমরা দুইভাবে বিভক্ত করতে পারি। একটি হচ্ছে Declarative(implicit) এবং অন্যটি হচ্ছে Procedural(explicit)। আবার Declarative Memory এর দুইটি অংশ, একটি হচ্ছে semantic ( যেখানে মানুষ খুব সাধারণ বিষয়গুলো আয়ত্ত করে যেমন ২+২=৪ অথবা বাংলাদেশের রাজধানীর নাম কি!) , অন্যটি হচ্ছে Episodic (যেখানে বিভিন্ন স্মৃতির কাজগুলো হয়ে থাকে যেমন তোমার ১৩ তম জন্মবার্ষিকীতে কি রঙের কেক কেটেছিলে)।
তো এই সিস্টেমগুলো একে অন্যের থেকে আলাদা, যখন কেউ স্মৃতিশক্তি হারায় সে মূলত ইপিসোডিক মেমোরি লস করে। যেহেতু সিস্টেমগুলো আলাদা স্থানে রয়েছে সেহেতু সে খুব সাধারণ বিষয়গুলো মাথায় রাখতে পারে।
এর বিপরীত টাও ঘটতে পারে যেখানে সিমেন্টিক মেমোরি লস করলে কিন্তু ইপিসোডিক মেমোরি ঠিক থাকলো, সেক্ষেত্রে সেই মানুষটি খুব সাধারণ বিষয়গুলো মাথায় রাখতে পারবে না কিন্তু ঠিকই সে অতীতের ঘটনাগুলো মাথায় রাখতে পারবে।
তাহলে আমরা পুরো বিষয়টির একটা সারমর্ম টানতে পারি যে মেমোরি লস মানেই পুরো মেমোরি নষ্ট হয়ে যাওয়া না। একটা ফাংশন নষ্ট হয়ে যাওয়া মাত্র, একাধিক ও নষ্ট হতে পারে।
©Mobin Sikder || Science Bee