দীর্ঘমেয়াদে মনে রাখা বা effective learning এর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির উপর গবেষণা স্মৃতি এবং cognitive psychology এর ভিত্তিতে দাঁড়ানো। দীর্ঘমেয়াদী মনে রাখা একটি কার্যকর পদ্ধতি হলো Spaced Repetition, এতে কোনো তথ্য নির্দিষ্ট বিরতিতে বারবার পুনরাবৃত্তি করা হয়। এই কৌশলটি স্মৃতিকে দীর্ঘমেয়াদী করতে সাহায্য করে। পুনরাবৃত্তি করার সময়ের ব্যবধান ধীরে ধীরে বাড়ানো যেতে পারে, যাতে মস্তিষ্ক নতুন তথ্যকে আরও কার্যকরভাবে প্রক্রিয়া করার সময় পায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, পড়ার সেশনের মধ্যে ব্যবধান { inter-study interval(ISI)} অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেশনগুলির মধ্যে দীর্ঘ ব্যবধান দীর্ঘমেয়াদী মনে রাখাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যখন নিয়মিত পর্যালোচনা করা হয়। এছাড়া retrieval practice বা নিষ্ক্রিয়ভাবে পর্যালোচনা করার পরিবর্তে সক্রিয়ভাবে তথ্য স্মরণ করা, দীর্ঘমেয়াদী মনে রাখার আরেকটি কার্যকরী কৌশল। এই পদ্ধতিটি retrieve বা পুনরুদ্ধার করার সাথে যুক্ত স্নায়ু সংযোগগুলিকে শক্তিশালী করে, যা ভবিষ্যতে মনে করা সহজ এবং নির্ভরযোগ্য করে। যদি অন্য কাউকে সহজে একটি জিনিস ব্যাখ্যা করতে পারা যায় তবে এটি ভালভাবে আয়ত্ত হয়েছে। একটি গবেষণা মতে, যখন কাউকে কিছু শেখানো হয় তখন তা 90% মনে থাকে। যতক্ষণ না এটি অন্যকে ব্যাখ্যা করতে পারছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত লেগে থাকুন। পড়ার সময় ফোকাস ধরে রাখার জন্য ডিভাইস বন্ধ করে বা দূরে রাখতে পারেন। বিক্ষিপ্ততা দূর করে পড়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। Visualization (যেমন: ছন্দ, ছবি, সংক্ষিপ্ত শব্দ, ছড়া) স্মৃতিশক্তিকে উদ্দীপিত করে এবং তথ্য ধরে রাখার জন্য সহায়ক। কোন কঠিন বিষয় শেখার সময় গ্রুপে করতে পারেন। পড়ার জন্য সময় ও স্থান নির্দিষ্ট করে এটিকে রুটিনে পরিণত করলে তা পড়ালেখায় সাহায্য করে।
তথ্যসূত্রঃ
১. https://www.evullab.org/.../CepedaPashlerVulWixtedRohrer...
২. https://www.joyce.edu/blog/study-tips-to-retain-information/