Nishat Tasnim
রাতে ঘুমানোর সঙ্গে আমাদের দৈহিক তিনটি প্রক্রিয়া জড়িত। প্রথমত, বায়োলজিক্যাল ক্লক। আমাদের দেহঘড়ি ২৪-২৫ ঘণ্টার একটি রুটিন মেনে চলে। এই সময়টা আলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত। এটিই আমাদের সংকেত দেয় রাত, দিন, অন্ধকার ও আলো সম্পর্কে। দেহঘড়ি অনুযায়ী আমাদের মস্তিষ্ক ঘুম আর জেগে ওঠার সময় নির্ধারণ করে।
দ্বিতীয় প্রক্রিয়া হয় চোখের মাধ্যমে। অামাদের চোখ দিন রাতের তফাৎ টের পায় ও পরিবেশ বোঝে। এবার আসুন আসল কথায়। ঘুম ও জেগে ওঠার ব্যাপারটা মূলত নিয়ন্ত্রণ করে মেলাটোনিন নামের একটি হরমোন। যার নিঃসরণ আলোর উপস্থিতিতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। আলোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে সূর্য। এ আলোয় মেলাটোনিন সঠিকভাবে নিঃসৃত হতে পারে না। ফলে আলোর তীব্রতা যখন থাকে না বা আলোর অনুপস্থিতিতে এ হরমোন পর্যাপ্ত পরিমাণে নিঃসৃত হতে পারে। এতে ওই সময় আমাদের বডি রিল্যাক্স মোডে অবস্থান করে ও ঘুম পায়।
এখন আপনি যদি রাতে না ঘুমিয়ে দিনে ঘুমান তাহলে আপনার কোনো কিছুর উপর ফোকাস কমে যাবে, স্মৃতিশক্তি কমে যাবে। তাছাড়া আপনি যদি দিনে ঘুমান তবে আপনার রক্তের প্রায় ১০০ প্রোটিনের পরিবর্তন হয়ে যাবে। যার মধ্যে এমন কিছু প্রোটিন আছে যা গ্লুকোজ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস, এমনকি ক্যান্সারও আছে।