Nishat Tasnim-
নিশাচরী প্রানিদের সবচেয়ে মজার বিষয় হল তারা রাতের বেলা দেখতে পারে। এর প্রধান কারণ তাদের চোখ। নিশাচরী প্রানিদের চোখ হয় বড়। এমনিতে বড় চোখ তার উপর প্রসস্থ চোখের তারা, বড় লেন্স এবং retinal surface প্রসস্থ হওয়ায় চোখে বেশি আলো প্রবেশ করতে সাহায্য করে। কিছু প্রজাতির প্রাণী আছে যাদের দৃষ্টি শক্তি তাদের আকৃতির তুলনায় অনেক বেশি। অনেক নিশাচরী প্রাণী আছে যারা তাদের চোখকে অক্ষিগোলকের মধ্যে ঘুরাতে পারে না। ব্যাপারটা এমন ধরুন আপনি একটা binocular দিয়ে দূরের কোন বস্তুকে দেখছেন।
আপনি binocular কে যেদিকে ঘুরাবেন আপনি সেদিকে দেখতে পাবেন, কিন্তু binocular এর মধ্যে চোখ ঘুরালে সব দিক দেখতে পাবেন না। ঠিক সেরকম ভাবে কিছু প্রাণীর ঘাড় ঘুরানোর বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন- পেঁচা নিজের ঘাড় কে ২৭০° পর্যন্ত ঘুরাতে পারে। এসব প্রাণীদের বড় বৃত্তাকার লেন্স এবং প্রসস্থ কর্নিয়া তাদের চোখ না ঘুরাতে পারার আসল কারন। এই সব বৈশিষ্ট থাকার কারনে তারা শুধু ঘাড় ঘুরায় চোখ কে স্থির রেখে। আমরা রাতে বিভিন্ন প্রাণীদের দেখি তাদের চোখে আলো পড়লে তাদের চোখ উজ্জ্বল দেখায়। এর কারন হচ্ছে তাদের চোখে থাকা tapetum lucidum, (মানে “bright carpet”) আর এর কারনেই তারা রাতে দেখতে পায় । tapetum lucidum হচ্ছে ঘন প্রতিক্ষেপক ঝিল্লি । এটা রেটিনার পিছনে থাকে। আলো রেটিনার মধ্য দিয়ে গিয়ে tapetum lucidum কে আঘাত করে এবং প্রতিফলিত হয়ে রেটিনা দিয়ে ফিরে আসে। বস্তুর ছবিটি রেটিনা তে দ্বিতীয়বার আলকিত হয়। এই কারনে রাতে নিশাচর প্রাণীদের চোখে আলো পড়লে উজ্জ্বল দেখায়। এই উজ্জলতা বিভিন্ন প্রাণীতে বিভিন্ন রঙের এর হয় যেমন লাল, সবুজ , নীল।
সকল প্রাণীদের দেহে প্রচণ্ড তাপ উৎপন্ন হয়, কারন আমরা বা প্রাণীরা যে খাবার খাই তা অক্সিজেন এর সাথে জারিত হয়ে শর্করা জাতীয় খাদ্য উৎপন্ন করে এবং সেই শর্করা রক্তে মিশে গিয়ে কোষে যায় । তখন দেহের প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন করতে কোষের মধ্যে শর্করা বার্ন হয়ে তাপ উৎপন্ন হয়। মানে তাপ বিকিরিত হতে থাকে। এইসব তাপ ultraviolet সংবেদী চোখে ধরা পরে। ফলে দূর থেকে প্রাণী অথবা মানুষের দেহ খুব সহজেই নিশাচরী প্রাণীরা দেখতে পারে ঐ tapetum lucidum কারণে। আর এর উপর ভিক্তি করে infrared tecnology আবিষ্কার করা হয়েছে।