কালো রঙের জিনিসের গুণ হল, তার ওপর সূর্যের আলো এসে পড়লে আলোর প্রায় সবটাই সে শুষে নেয়। আলোর সঙ্গে সঙ্গে তাপও কালো জিনিসটি শুষে নেয়। পরে তা আস্তে আস্তে বিকিরণ প্রক্রিয়ায় ছেড়েও দেয়। ছাতার কাপড় কালো বলে সূর্যের উত্তাপ এসে পড়ার পর প্রথমে কালো কাপড় তা ভালো করে শুষে নেয়। পরে আবার ওই শুষে নেওয়া তাপকে বিকিরিত করে চারদিকে ছড়িয়ে দেয়। এর ফলে যে মানুষ ছাতার নিচে থাকে তার কিছুটা গরম লাগারই কথা। আবার গরম বেশি অনুভূত হয় যদি মানুষটি ছাতা মাথায় রৌদ্রে এক জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে এবং সেখানে বাতাসের বেগ যদি বেশি না হয়। হাঁটতে শুরু করলে বাতাসের বেগ এমনিতেই বাড়ে। কালো রংয়ের ছাতার ভেতরে যে তাপ সৃষ্টি হয় ছুটন্ত বাতাসের দরুণ তা চারপাশে সহজেই ছড়িয়ে যায়। ফলে ছাতাধারীর তেমন অস্বস্তি হয় না। কালো রংয়ের বদলে ছাতার কাপড়ের রঙ সাদা হলে সূর্যের আলো এবং তাপকে তা শোষণ করে না। আলো ও তাপের প্রায় সবটাই ফিরিয়ে দেয় উৎসের দিকে। ফলে ছাতার নিচের মানুষটিও গরমের হাত থেকে বেঁচে যায়। তবে ছাতার কাপড়ের রং সাদা বা অন্য হালকা রঙের হলে তা সহজেই ময়লা হয়। সেজন্য ছাতার রং কালো হওয়াটাই সুবিধাজনক। তাই এখন বেশিরভাগ ছাতার ওপরের দিকটা হয় কালো কিংবা গাঢ় রংয়ের আর নিচের দিকটা হয় হালকা বা সাদা রঙের।
লেখক : শিমুল কুমার ভৌমিক