আপেল বা আলু কেটে রাখলে তারা লালচে বা কালচে বর্ণ ধারন করে কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+8 টি ভোট
5,804 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (123,400 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন

2 উত্তর

+5 টি ভোট
করেছেন (17,750 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর
আলু বা আপেলের কোষে থাকা টাইরোসিনেজের ক্রিয়ায় অক্সিজেনের সাথে কোষের ফেনলিক (phenolic ) যৌগের বিক্রিয়ায় সৃষ্ট উৎপাদের কারনে এদেরকে কেটে রাখলে তারা লালচে বা কালচে বর্ণ ধারন করে।

কি মাথার উপর দিয়ে গেলো? চলুন,একটু ভেঙ্গে বলি।

প্রত্যেক জীবের দেহে অসংখ্য কোষ আছে এবং প্রতিটা কোষে হাজার হাজার এনজাইম রয়েছে।এই এনজাইমগুলোর সহায়তায় জীবদেহের যাবতীয় বিপাকীয় কাজ সম্পন্ন হয় এবং এর ফলে দেহ সচল থাকে।

আপেল বা আলুর দেহও এমন অসংখ্য কোষ দ্বারা গঠিত এবং এতেও হাজার হাজার এনজাইম আছে।এর মধ্যে যার কারনে ফেলে রাখা কর্তিত দেহ লালচে বা কালচে হয়ে যায় সেটি হল পলিফেনল অক্সিডেজ (polyphenol oxidase) নামক একটা এনজাইম।একে টাইরোসিনেজ (tyrosinase) নামেও ডাকা হয়।

আপনি যখন কোনো আলু কর্তন করেন,তখন কর্তিত পৃষ্ঠের কোষগুলোও কেটে যায় এবং সাথে সাথে কেটে যাওয়া ভগ্ন কোষগুলোর ভেতর থেকে পলিফেনল অক্সিডেজ সহ আরো অনেক এনজাইম ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে।অনেকটা পানিভর্তি পলিথিন ফুটো করে দিলে যেমন হয় তেমন।এভাবে বেরিয়ে আসা এনজাইমগুলো সেই কর্তিত পৃষ্ঠে ছড়ানো অবস্থায় থাকে।তারপর সেই অংশকে যখন বাতাসে ফেলে রাখা হয় তখন পলিফেনল অক্সিডেজ নামক এনজাইমটির সহায়তায় কোষের ফেনলিক (phenolic ) যৌগ বাতাসের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে। এবং বিক্রিয়া শেষে যে উৎপাদ তৈরি হয় সেটি হয় কালচে বর্ণের।একারনে কর্তিত পৃষ্ঠ বাতাসে ফেলে রাখলে কিছু সময় পর সেই কালচে পদার্থ তৈরি হয়ে তা আলুর পৃষ্ঠকে কালচে বর্ণ বানিয়ে দেয়।

বিষয়টা আপনি ভালো করে বুঝতে পারবেন যদি আলুর টুকরাকে কেটে সাথে সাথেই পানিতে রেখে দেন।তখন পানিতে অক্সিজেনের অভাবে সে বিক্রিয়া করতে পারবে না এবং এর কারনে ওই কালচে পদার্থও তৈরি হবেনা।ফলে আলুর টুকরার রং অপরিবর্তিত থেকে যাবে,বিবর্ণ হয়ে আর কালচে বর্ণ ধারন করবেনা।

ধন্যবাদ।

লিখেছেনঃ মোহাম্মদ সাহিদুল ইসলাম
+8 টি ভোট
করেছেন (105,570 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন
আপেল বা আলুর দেহও এমন অসংখ্য কোষ দ্বারা গঠিত এবং এতেও হাজার হাজার এনজাইম আছে।এর মধ্যে যার কারনে ফেলে রাখা কর্তিত দেহ লালচে বা কালচে হয়ে যায় সেটি হল পলিফেনল অক্সিডেজ (polyphenol oxidase) নামক একটা এনজাইম।একে টাইরোসিনেজ (tyrosinase) নামেও ডাকা হয়।

 আপনি যখন কোনো আলু কর্তন করেন,তখন কর্তিত পৃষ্ঠের কোষগুলোও কেটে যায় এবং সাথে সাথে কেটে যাওয়া ভগ্ন কোষগুলোর ভেতর থেকে পলিফেনল অক্সিডেজ সহ আরো অনেক এনজাইম ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে।অনেকটা পানিভর্তি পলিথিন ফুটো করে দিলে যেমন হয় তেমন।এভাবে বেরিয়ে আসা এনজাইমগুলো সেই কর্তিত পৃষ্ঠে ছড়ানো অবস্থায় থাকে।তারপর সেই অংশকে যখন বাতাসে ফেলে রাখা হয় তখন পলিফেনল অক্সিডেজ নামক এনজাইমটির সহায়তায় কোষের ফেনলিক (phenolic ) যৌগ বাতাসের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে। এবং বিক্রিয়া শেষে যে উৎপাদ তৈরি হয় সেটি হয় কালচে বর্ণের।একারনে কর্তিত পৃষ্ঠ বাতাসে ফেলে রাখলে কিছু সময় পর সেই কালচে পদার্থ তৈরি হয়ে তা আলুর পৃষ্ঠকে কালচে বর্ণ বানিয়ে দেয়।

পলিফেনলের বিক্রিয়াটি উদ্ভিদের সুরক্ষা দেয়। মেলানিন স্তর পানিরোধী। তাই ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দিয়ে কোষের পানি বাষ্পীভূত হওয়া কমায়। এতে কোষগুলো শুকিয়ে যাওয়ার থেকে রক্ষা পায়। এটি রোগ জীবাণুর আক্রমণ থেকেও বাঁচায়। উদ্ভিদ ছাড়াও বিভিন্ন প্রাণীতে মেলানিন থাকে। এখানেও সুরক্ষা দেয়াই তার প্রধান কাজ। যেমন, মেলানিন মানুষের ত্বকে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। পোকামাকড়ের শরীর থেকে পানি বাষ্পীভূত হওয়া ঠেকিয়ে তাকে পানিশূন্য হওয়ার হাত থেকে বাঁচায় মেলানিন। বিভিন্ন রকম হয় উদ্ভিদ ও প্রাণীর মেলানিনের ভিন্নতা থাকলেও সব মেলানিনই ফেনলের পলিমার থেকে উদ্ভূত। আর সবগুলোই বাদামি থেকে কালচে।

আলুকে কালচে হওয়া থেকে রোধ করতে হলে কাটার সাথে সাথে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে ৷আলু কাটার পর ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ঘণ্টাখানেক। এরপর পানি ঝরিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। ছিলে রাখা আলু বেশিদিন রাখতে চাইলে একটু ভাঁপিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন।  তখন পানিতে অক্সিজেনের অভাবে সে বিক্রিয়া করতে পারবে না এবং এর কারনে ওই কালচে পদার্থও তৈরি হবেনা।ফলে আলুর টুকরার রং অপরিবর্তিত থেকে যাবে,বিবর্ণ হয়ে আর কালচে বর্ণ ধারন করবেনা।

এক কাপ পানিতে এক চামচ লেবুর রস দিয়ে সেই পানিতে আপেল মিনিট পাঁচেক ডুবিয়ে রেখে তা জিপ-লক ব্যাগ বা বক্সে ভরে রাখলে আপেল আর সহজে কালচে হবে না।  আরেক পদ্ধতি হল, দুই কাপ পানিতে অল্প লবণ নিয়ে অপেক্ষা করুন সেটি গলে যাওয়া পর্যন্ত। এরপর এই পানিতে আপেলের টুকরাগুলো ডুবিয়ে কিছুক্ষণ পর তুলে বক্সে ভরে রাখতে পারেন। এতেও আপেল কালচে হবে না আবার এক কাপ পানিতে সামান্য মধু মিশিয়ে সেই মিশ্রণে আপেলের টুকরা ডুবিয়ে নিয়ে তা জিপার ব্যাগে সংরক্ষণ করলেও আপেল কালচে হবে না। এছাড়াও ঠাণ্ডা পানিতে আপেল ডুবিয়ে নিলেও আপেল কাটার পর বেশ কিছু সময় কালচে হবে না।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 522 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
8 টি উত্তর 4,154 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
1 উত্তর 3,434 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Martian (93,090 পয়েন্ট)
+3 টি ভোট
4 টি উত্তর 3,688 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,950 বার দেখা হয়েছে

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

272,570 জন সদস্য

61 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 59 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Shariar Rafi

    420 পয়েন্ট

  2. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  3. Shourov Viperr

    110 পয়েন্ট

  4. Khandoker Farhan

    110 পয়েন্ট

  5. Eyasin

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...