করোনাভাইরাস এর অনেক জেনেটিক ভেরিয়েশন আছে। আপনি হয়তো ইতিমধ্যেই তা জানেন। এই জন্যই করোনা এর সাইন সিম্পটম ও ব্যাক্তি ভেদে আলাদা হচ্ছে। কারো উপসর্গ নেই, কারো সামান্যজ্বর, কারো কাশি, কারো সর্দি, কারো গলা ব্যাথা, এমনকি পাতলা পায়খানা ও থাকতে পারে।
সাধারণত বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস টি আমাদের ফুসফুস কে সংক্রমিত করে। যখন ভাইরাস আপনার ফুসফুস এ বংশবৃদ্ধি করতে থাকে সে একই সাথে আপনার ফুসফুসের বারোটা বাজাতে থাকে। আমাদের শরীরের সব অংগেই বিভিন্ন উপকারী ও অপকারী ব্যাকটেরিয়া এর বাস। ফুসফুস ও এর ব্যাতিক্রম নয়। স্বাভাবিক অবস্থায় আমাদের শরীরের ইমিউন সিষ্টেম এই সব ব্যাকটেরিয়া ক্রমাগত ধংস্ব করতে থাকে। যখন আপনার ফুসফুসে করোনা সংক্রমণ হয় আপনার ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয় পাশাপাশি ইমিউন সিষ্টেমটি দূর্বল হয়ে পড়ে। এই সুযোগে ফুসফুসে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এর সুযোগ সৃষ্টি হয়।
এই পরিস্থিতিতে ফুসফুস কে ব্যাকটেরিয়া এর সংক্রমণের হাত থেকে মুক্ত রাখতে Azithromycin দেয়া হয়। এই অষুধটি ফুসফুসের কমন সংক্রমণ করা ব্যাকটেরিয়া এর বিরুদ্ধে বিশেষভাবে কাজ করে।
সহজ ভাষায় খটমট মেডিকেল টার্ম ছাড়া লিখতে চেষ্টা করেছি। কতটুকু বুঝাতে পারলাম পাঠক প্রতিক্রিয়াতে জানাবেন।
আর একটা কথা ডাক্তারের পরামর্শ ব্যাতিত কোন এন্টিবায়োটিক খাবেন না। আর মনে রাখবেন প্রেসক্রিপশন ব্যাতীত ঢালাও এন্টিবায়োটিক খাবার ফলে এই সকল এন্টিবায়োটিক এর বিরুদ্ধে আপনার শরীরে থাকা, পরিবেশে থাকা ব্যাকটেরিয়া অসংবেদনশীল হয়ে পড়ে। ফলাফল জরুরী সময়ে আপনার মৃত্যুর সময় একজন ডাক্তার এর অসহায় তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার থাকে না। আর সরকারি ভাবে প্রেসক্রিপশন ব্যাতীত ওষুধ ক্রয় বিক্রয় দণ্ডনীয় অপরাধ।
ধন্যবাদ।
তথ্যসূত্র : Quora