শীতকালে মুখ হা করলে কুয়াশার মত তৈরি হয় কেনো? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+10 টি ভোট
1,801 বার দেখা হয়েছে
"পরিবেশ" বিভাগে করেছেন (123,400 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+3 টি ভোট
করেছেন (17,750 পয়েন্ট)
MD Korban Ali-

শীতের সকালে আমাদের মুখ দিয়ে ধোঁয়া বের হয়। কথা বললে বা ফুঁ দিলে মুখের সামনে ধোঁয়ায় ভরে যায়।

শীতের সকালে আমাদের মুখ দিয়ে ধোঁয়া বের হয়। কথা বললে বা ফুঁ দিলে মুখের সামনে ধোঁয়ায় ভরে যায়। শুধু যে আমাদের মুখ দিয়ে ধোঁয়া বের হয় তা নয়। গরু, ছাগল, কুকুরের মুখ দিয়েও ধোঁয়া বের হয়। এমনটি কেন হয়?

শীতের সময় বাতাস খুব ঠাণ্ডা থাকে। এসময় বাতাসে লক্ষ লক্ষ পানির কণা ভেসে বেড়ায়। বাতাসের তুলনায় আমাদের শরীরের তাপ তখন বেশি থাকে। কথা বলার সময় তাই মুখ দিয়ে গরম বাতাস বের হয়। মুখ দিয়ে বের হওয়া ঐ বাতাস বাইরের ঠাণ্ডা পানিকণার সাথে মিশে ঘন পানিকণায় পরিণত হয়। এই ঘন পানিকণাগুলোকে তখন ধোঁয়ার মতো দেখায়।

এজন্য মনে হয় নাক, মুখ দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আসলে এগুলো ধোঁয়া নয়, ঘন পানির কণা।
+3 টি ভোট
করেছেন (17,750 পয়েন্ট)
এটি মূলত শরীরের ভেতর থেকে গরম বাতাস যখন বাহিরের ঠাণ্ডা পরিবেশে বেরিয়ে আসে, তখন গরম জলীয়-বাষ্পপূর্ণ বাতাসের জলীয় বাষ্পের ঘনীভবনের ফলে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জলকণার সৃষ্টি হয়। মানে আসলে আমরা যেটা দেখি, সেটা ধোঁয়া ঠিক না, বরং মেঘ বা কুয়াশার সমগোত্রীয়।

গরম বাতাসের জলীয়বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতা বেশি। অর্থাৎ, ঠাণ্ডা বাতাসে গরম বাতাসের চেয়ে কম জলীয়বাষ্প থাকে। তাই যদি কিছু উষ্ণ বাতাসকে নিয়ে ক্রমাগত ঠাণ্ডা করতে থাকি, তা হলে একটা সময় গিয়ে দেখা যাবে যে সেই বাতাসে বর্তমান জলীয় বাষ্পের পরিমাণ তার সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতার সমান হয়ে গেছে, অর্থাৎ সেই বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ১০০% হয়ে গেছে। যে তাপমাত্রায় গিয়ে এটা হয় তাকে সেই বাতাসের শিশিরাঙ্ক বলা হয়। শিশিরাঙ্কে পৌছানোর পর আর যতই ঠাণ্ডা করি, অতিরিক্ত জলীয়বাষ্প গুলো বাতাসের উষ্ণতা অনু্যায়ী তরল বা কঠিন অবস্থায় পরিবেশে উন্মুক্ত হবে।

আমাদের শরীরের তাপমাত্রা প্রায় সব ঋতুতেই সাধারণ (৯৮.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট / ৩৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থাকে। কিন্তু শীতকালে পরিবেশের তাপমাত্রা কমে যায়। ফলে আমাদের দেহ থেকে নিঃশ্বাসের মাধ্যমে বেরিয়ে আসা উষ্ণ বায়ুতে থাকা জলীয়বাষ্প বাহিরের শীতল পরিবেশে এসে ক্ষুদ্র জলকণায় পরিণত হয় ও হাল্কা মেঘ বা কুয়াশা তৈরি করে।
0 টি ভোট
করেছেন (141,850 পয়েন্ট)

সহজ করে বললে এর কারণ, বাইরের ঠাণ্ডা বাতাসের সংস্পর্শে এসে শরীরের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা গরম জলীয়-বাষ্পপূর্ণ বাতাসের জলীয় বাষ্পের ঘনীভবনের ফলে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জলকণার সৃষ্টি। মানে আসলে আমরা যেটা দেখি, সেটা ধোঁয়া ঠিক না, বরং মেঘ বা কুয়াশার সমগোত্রীয়।

এবার আর একটু বিশদে দেখা যাক এরকমটা কেন হয়। আসলে বাতাসকে গরম করলে তার জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা বাড়ে। বা উলটে বললে, বাতাসকে ঠাণ্ডা করলে তার জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা কমে। ফলে কিছুটা বাতাস নিয়ে তাকে যদি আমরা ক্রমাগত ঠাণ্ডা করতে থাকি, তা হলে একটা সময় গিয়ে দেখা যাবে যে সেই বাতাসে বর্তমান জলীয় বাষ্পের পরিমাণ তার সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতার সমান হয়ে গেছে, অর্থাৎ সেই বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ১০০% হয়ে গেছে।

যে তাপমাত্রায় গিয়ে এটা হয় তাকে সেই বাতাসের শিশিরাঙ্ক বলা হয়। তার থেকেও যদি আরও ঠাণ্ডা করা হয় তা হলে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যতোখানি জলীয়বাষ্প ছিল তা বাতাসের উষ্ণতা অনুসারে (অর্থাৎ ০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপর না নীচে) তরল বা কঠিন অবস্থায় অত্যন্ত সূক্ষ্ম কণিকার আকারে বেরিয়ে আসে। আমাদের শরীর সবসময় মোটামুটি একই উষ্ণতায় থাকে (৯৮.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট / ৩৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং আমাদের ফুসফুস ও শ্বাসনালীও মোটামুটি একই রকম ভিজে-ভিজে থাকে।

ফলে আমরা যে নিঃশ্বাস ছাড়ি সারা বছরই তাতে জলীয় বাষ্পের ভাগ মোটামুটি একই রকম থাকে। তার মানে তার শিশিরাঙ্কও একই থাকে। কিন্তু বাইরের বাতাসের উষ্ণতা যখন সেই শিশিরাঙ্কের নীচে নেমে যায় তখনই আমাদের নিঃশ্বাসে ঘনীভবন শুরু হয় ও ধোঁয়া, থুড়ি মেঘ তৈরি হতে থাকে। আরও নিখুঁতভাবে বিচার করলে বাইরের বাতাসের উষ্ণতা ছাড়াও আপেক্ষিক আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ (যাতে কত তাড়াতাড়ি নিঃশ্বাসের বাতাস আর বাইরের বাতাস মিশছে তার তফাৎ হয়), ইত্যাদিরও ভূমিকা থাকে। কিন্তু মোটা দাগে ব্যাপারটা এইরকমই।

ক্রেডিট: দিব্যজ্যোতি জানা (কোরা)

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
4 টি উত্তর 750 বার দেখা হয়েছে
+4 টি ভোট
2 টি উত্তর 4,028 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 351 বার দেখা হয়েছে
16 মার্চ 2022 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Sadman Sakib. (33,350 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 258 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,459 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

266,064 জন সদস্য

31 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 31 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Nafis Hasan

    220 পয়েন্ট

  2. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  3. sobujalam

    110 পয়েন্ট

  4. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  5. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...