শরীরের ঘামাচি উঠার কারণ কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+8 টি ভোট
740 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (123,410 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (17,750 পয়েন্ট)

দেহের ঘর্মগ্রন্থিগুলোর মুখ যখন ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ার জন্য আটকে যায়, তখন ঘাম বের হতে না পেরে সেখানে আটকে গিয়ে ফুসকুড়ির মতো লাল বর্ণের যে উপসর্গ দেখা যায়, তাকেই ঘামাচি বলে। এর সাথে যুক্ত হয় চুলকানি বা নানা রকম সংক্রমণ।

ঘামাচি এক ধরণের চর্মরোগ। উষ্ণ আবহাওয়ায় প্রতিনিয়ত শরীরে ঘাম তৈরি হতে থাকে। কিন্তু ত্বকের মৃত কোষ এবং স্টেফ এপিডারমাইডিস নামের জীবাণু ত্বকের লোমকূপের সঙ্গে লুকিয়ে থাকা ঘামগ্রন্থির মুখ বন্ধ করে দেয়। ঘামগ্রন্থির মুখ বন্ধ থাকায় ঘাম বের হতে পারে না। চুলকানি ও লাল দানার পাশাপাশি ঘামাচি অনেক সময় জ্বালা করে এবং ত্বকও লাল হয়ে যায়।

ঘামাচির ফলে অনেক সময় জীবাণুর সংক্রমণ হয়, ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং চুলকায়। ঘামাচি সাধারণত ত্বকের এপিডার্মিসে হয়। তবে এক প্রকার ঘামাচি ত্বকের ডার্মিসে, অর্থাৎ গভীর থেকে হয়। ঘামাচি প্রধানত ৩ প্রকার। ব্যাখ্যাঃ ঘামাচি কত প্রকার?

অতিরিক্ত গরমে ঘর্ম গ্রন্থি বন্ধ হয়ে শরীরকে পরিশ্রান্ত করে তোলে। এর ফলে নিম্ন রক্তচাপ, অবসাদ, বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা হয় এবং নাড়ীর স্পন্দন দ্রুত হয়। ঘামের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়। ঘামাচির ফলে ঘর্মগ্রন্থি বন্ধ হয়ে যায় ও এর ফলে হিটস্ট্রোকও হতে পারে।

অতিরিক্ত ঘাম : হাত ও পায়ের তালুসহ শরীর থেকে অল্প পরিমাণে ঘাম হওয়া স্বাভাবিক দৈহিক ক্রিয়া। কিন্তু তা যদি অধিক পরিমাণে হয় বা তা থেকে যদি দুর্গন্ধ নির্গত হয়, তবে তাকে বলা হয় হাইপারহাইড্রোসিস। এটা স্থানিক বা সর্বশরীরে হতে পারে। লক্ষ্য করলে দেখবেন অনেকেরই শুধু হাত কিংবা হাত ও পা একত্রে অধিক পরিমাণে ঘামে এবং কখনো কখনো দুর্গন্ধও হয়।

প্রতিকার ও প্রতিরোধের উপায়:

ঘরের বাইরে যথা সম্ভব ছায়ায় থাকার চেষ্টা করুন। সাথে ছাতা রাখুন এবং রোদে ছাতা ব্যবহার করুন। ঢিলেঢালা ও হাল্কা রঙের সুতি পোশাক পরলে শরীর তুলনামূলক কম তাপ শোষণ করবে এবং পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করলে ঘামও কম হবে ও দ্রুত শুকাবে। যত কম ঘামাবেন, ঘামাচির সমস্যাও তত কম হবে। যেমন: শীতকালে আমরা কেউই কিন্তু তেমন ঘামাই না, তাই ঘামাচির সমস্যাও হয়না।

আপনার ত্বক ঠাণ্ডা ও পরিস্কার রাখার চেষ্টা করুন। অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন, সম্ভব হলে গোসলের সময় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করুন।

গোসলের পরে ঠান্ডা বাতাসে গা শুকালে শরীর অপেক্ষাকৃত বেশি ঠান্ডা হয় ফলে দীর্ঘসময় ঘাম থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। এছাড়াও গরমকালে তৈলাক্ত ক্রিম/লোশন ব্যবহার করবেন না।

ঘামাচি সহজে সেরে না উঠলে এবং দীর্ঘমেয়াদি ত্বকের সমস্যা তৈরি করলে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। গরমের সময় প্রচুর পরিমানে বিশুদ্ধ পানি, তাজা ফলের জুস এবং রসালো ফলমূল খাবার চেষ্টা করুন। এছাড়াও বরফ, মূলতানি মাটি, নিমপাতা, অ্যালোভেরা জেল ইত্যাদি ঘামাচি দূরীকরণে ভূমিকা রাখে।

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, গুগল।

0 টি ভোট
করেছেন (141,850 পয়েন্ট)
আমাদের ত্বকের ঘর্মগ্রন্থির সাথে এক ধরনের জীবাণু মিশে থাকে। এই জীবাণুর নাম স্টেফ এপিডারমাইডিস। গরমের সময় স্বাভাবিকভাবেই ঘর্মগ্রন্থি থেকে ঘাম বেশি নিঃসৃত হয়। তাই ধূলোবালিও জমে বেশি পরিমাণে। ত্বকের মৃত কোষে ধূলোবালি জমে যখন ঘর্মগ্রন্থি থেকে স্বাভাবিকভাবে ঘাম নিঃসরণ হতে পারে না তখন স্টেফ এপিডারমাইডিস-এর সংস্পর্শে এসে ঘামাচির উৎপত্তি হয়।
0 টি ভোট
করেছেন (12,550 পয়েন্ট)
খুবই পরিচিত একটি সমস্যার নাম ঘামাচি। এটি যেমন অস্বস্তিকর, তেমনি যন্ত্রণাদায়ক। এ সমস্যা নিয়ে কয়েকটি তথ্য:

ঘামাচি কেন হয়

১.  গরম আবহাওয়ায় শরীরের ঘামগ্রন্থির নালি বন্ধ হয়ে ঘামের বিভিন্ন উপাদান চামড়ার বিভিন্ন স্তরে জমা হয়ে ঘামাচি তৈরি করে। শিশুদের ঘর্মগ্রন্থি অপরিপক্ব, তাই ঘামাচি তাদের বেশি হয়।

২.  আঁটসাঁট পোশাক এবং কয়েকটি ওষুধের প্রভাবে ঘামাচি বাড়ে। ত্বকে বসবাসকারী স্ট্যাফাইলোকক্কাস এপিডার্মিডিসব্যাকটেরিয়া ঘর্মগ্রন্থি বন্ধ করার নেপথ্যে ভূমিকা রাখে।

৪.  অতিরিক্ত জ্বরের কারণেও ঘামাচি হতে পারে।

ঘামাচির ধরন

শিশুদের মাথা, ঘাড়, বগল, শরীরের ওপরের অংশে, রানের ভাঁজে, কনুই ও হাঁটুর ভাঁজে ঘামাচি দেখা যায়। বড়দের সাধারণত বুকে-পিঠে-পেটে ঘামাচি হয়। কয়েক ধরনের ঘামাচি আছে। যেমন মিলিয়ারিয়া ক্রিস্টালিনা নামের ঘামাচি শিশুদের, এমনকি জন্মের পর দ্বিতীয় সপ্তাহেই দেখা দিতে পারে। বড়দের ক্ষেত্রে এটা কম দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ ছোট ছোট দানা হয়। এগুলো সাধারণত কিছু দিনের মধ্যে আপনা-আপনিই সেরে যায়। মিলিয়ারিয়া রুব্রা নামের আরেকটি ঘামাচিতে ঘর্মগ্রন্থির নালির গভীরে ব্লক বা বাধা তৈরি হয়। ফলে ত্বকে লাল লাল দানা হয়। এগুলো এক সপ্তাহ বয়স থেকে শুরু হতে পারে। ছোট-বড় সবারই এটা হয়ে থাকে। এই ঘামাচিতে খুব চুলকায় এবং জ্বালাপোড়া করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঘামাচিতে পুঁজ জমতে দেখা যায়। আর মিলিয়ারিয়া প্রোফান্ডা নামের ঘামাচি ত্বকের গভীর স্তরে ঘাম নিঃসরণের ফলে জমা হয়।

ঘামাচির ক্ষতিকর দিক

অতিরিক্ত ঘামাচির কারণে অস্বস্তি, জ্বালাপোড়া, শারীরিক দুর্বলতা, ঘামে অসহনশীলতা, ক্ষুধামান্দ্য, মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা হতে পারে। পরবর্তী সময়ে ঘাম নিঃসরণ প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ঘামের পরিমাণ কমে যেতে পারে। এ ছাড়া দীর্ঘদিনের ঘামাচি থেকে সংক্রমণ হতে পারে।

মুক্তির উপায়

শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঠান্ডা ঘরে কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করলে ঘামাচি থেকে দ্রুত পরিত্রাণ মেলে। নিয়মিত গোসল করতে হবে। আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা পানি ও বরফ লাগাবেন। ঢিলেঢালা সুতি পোশাক পরুন। ঘুমন্ত শিশুকে বারবার পাশ পরিবর্তন করে দিন। ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। অতিরিক্ত গরম পরিবেশ এড়িয়ে চলুন। গরমে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম থেকে বিরত থাকুন। ক্যালামাইন লোশন কাজে দেয়। বেশি মারাত্মক সমস্যা হলে চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে স্টেরয়েড ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।

ডা. তাহমিনা আক্তার, চর্ম বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+3 টি ভোট
2 টি উত্তর 714 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Martian (93,090 পয়েন্ট)
+10 টি ভোট
2 টি উত্তর 249 বার দেখা হয়েছে
03 ডিসেম্বর 2020 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Arpa (8,070 পয়েন্ট)
+18 টি ভোট
2 টি উত্তর 776 বার দেখা হয়েছে
14 সেপ্টেম্বর 2020 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Sadia Chowdhury (17,750 পয়েন্ট)
+11 টি ভোট
1 উত্তর 2,433 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
4 টি উত্তর 931 বার দেখা হয়েছে
29 এপ্রিল 2022 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,280 পয়েন্ট)

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

278,287 জন সদস্য

141 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 141 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. KandiceBadil

    100 পয়েন্ট

  2. JonelleCosgr

    100 পয়েন্ট

  3. JeanetteMccl

    100 পয়েন্ট

  4. DustinGroce4

    100 পয়েন্ট

  5. debetcomimm

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...