গরমে ঘামাচি থেকে বাচার উপায় কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
688 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (93,090 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (93,090 পয়েন্ট)
 
সর্বোত্তম উত্তর

এই গরমে ঘামাচি অনেক বড় সমস্যা। এই ঘামাচিকে হিট র‍্যাশও বলা হয়ে থাকে । তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটি মিলিয়ারিয়া নামে পরিচিত। ঘামাচি এক ধরনের চর্মরোগ। গরমের সময় আমাদের ত্বকে লাল বর্ণ ধারণ করে ফুসকুড়ির মতো যা দেখা যায় সেটিই হলো ঘামাচি বা হিট র‍্যাশ। আমাদের ত্বকের ঘর্মগ্রন্থির সাথে ‘স্টেফ এপিডারমাইডিস’ এক ধরনের জীবাণু মিশে থাকে।

গ্রীষ্মকালে স্বাভাবিকভাবেই ঘর্মগ্রন্থি থেকে ঘাম বেশি নিঃসৃত হয়। তাই ধূলোবালিও জমে বেশি পরিমাণে। ত্বকের মৃত কোষে ধূলোবালি জমে যখন ঘর্মগ্রন্থি থেকে স্বাভাবিকভাবে ঘাম নিঃসরণ হতে পারেনা তখন স্টেফ এপিডারমাইডিস-এর সংস্পর্শে এসে ঘামাচির উৎপত্তি হয়। আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে এমন কিছু উপাদান,যা এনে দিতে পারে ঘামাচির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক উপায়গুলো-

১. ঘামাচিতে উপকার পেতে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো যেসব স্থানে ঘামাচি আছে, সেখানে বরফ ঘষা। তাছাড়া ঠাণ্ডা পানিও ভালো আরাম দেয় ঘামাচিতে।

২. মুলতানি মাটির পেস্ট ঘামাচিতে বেশ উপকারি। এই পেস্ট তৈরি করতে লাগবে ৫ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি,  গোলাপ জল ২ টেবিল চামচ ও পানি পরিমাণমতো। ঘামাচির জায়গায় এই পেস্ট ২ থেকে ৩ ঘন্টা রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে কয়েক দিনের মধ্যে ঘামচি ভালো হয়ে যাবে। 

৩. এক কাপ ঠাণ্ডা পানিতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা গুলিয়ে একটি পরিষ্কার কাপড় বেকিং সোডার পানিতে ভিজিয়ে তা ভালো করে নিংড়ে ঘামাচির স্থানে লাগালে বেশ উপকার পাওয়া যায়।

৪. নিমপাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে যা ঘামাচি নিরাময়ে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে নিমপাতার পেস্ট শরীরে লাগিয়ে তা সম্পূর্ণ ভাবে শুকাতে হবে। এভাবে ৪ থেকে ৫ বার দিনে ব্যবহার করলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও এক মুঠো নিমপাতা ২ কাপ পানিতে ২০ মিনিট সেদ্ধ করতে হবে। এরপর সেই পানি ঠাণ্ডা করে একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঘামাচির জায়গায় ৫ থেকে ১০ মিনিট ধরে লাগাতে হবে। এভাবে দিনে ৪ থেকে ৫ বার করতে পারলে ভালো।

৫. লেবুর রসে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা ঘামাচি দূর করতে বেশ কার্যকরী। ঘামাচিতে উপকার পেতে দিনে ৩ থেকে ৪ গ্লাস লেবুর রস মিশ্রিত পানি পান করুন।

৬. কয়েক দিন শরীরে নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে ঘামাচি ভালো হয়ে যায়। সেজন্য অ্যালোভেরা পাতা থেকে অ্যালোভেরা জেল বের করে তা শরীরে প্রলেপ মেখে নিতে হবে। জেল আপনা-আপনি শুকিয়ে গেলে পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে

৭. চন্দন বাটা বা চন্দন গুঁড়া গোলাপজলের সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ঘামাচির স্থানে কয়েকবার লাগালে কিছুদিনের মধ্যেই ঘামাচি ভালো হয়ে যাবে। তাছাড়া চন্দন ও ধনেপাতা বাটা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ঘামাচিতে লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কারণ ধনেপাতায় আছে অ্যান্টিসেপ্টিক গুণ আর চন্দন ঘামাচির জ্বালা ও চুলকানি দুই-ই কমায়।

৮. ঘামচিতে ফিটকিরি মিশ্রিত পানি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে গোসল করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।

৯. লাউ এমনিতেই ঠাণ্ডা একটি সবজি। ঘামাচির জন্য লাউ আগুনে ঝলসে নিয়ে তা থেকে রস বের করে কিছুদিন খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

১০. বেসনের সঙ্গে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ঘামাচিতে প্রলেপ দিয়ে কিছু সময় পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে উপকার পাবেন। 

১১. কাঁচা আলুর পেস্ট ঘামচি থেকে রক্ষা করতে বেশ কার্যকরী।

১২. বাথটাবে আধকাপ ওটমিল ভিজিয়ে এরপর ডুবে থেকে অপেক্ষা করুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট অথবা ওটমিল ভেজানো পানি ঘামাচির উপর লাগালেও হবে। এতে অসহ্যকর চুলকানি থেকে আরাম পাবেন।

১৩. তরমুজ শরীর ঠাণ্ডা রাখে। তাই তরমুজের পাল্প ঘামাচিতে লাগালে বেশ উপকার পাওয়া যায়।

১৪. আদার পানি ঘামাচির জন্য অনেক উপকারি। তাই, আদা গ্রেট করে পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে। পানি ঠাণ্ডা হলে নরম সুতি কাপড় ব্যবহার করে ঘামাচির জায়গায় লাগান।

১৫. শসা শুধু দেহকে হাইড্রেটেডই করে না, শসা ঘামাচিতেও আরামদায়ক। ঘামাচির চুলকানি দূর করতে শসা বেশ কার্যকরী। শসা পাতলা পাতলা করে কেটে তা ৩০ মিনিট সময় নিয়ে ঘামাচির স্থানে রাখুন। শীতল ভাব পাবার সাথে সাথে চুলকানি কমবে। ৩০ মিনিট পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও শসা রস করে খানিক লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে পাতলা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঘামচিতে লাগাতে পারেন। 

১৬. প্রথমে ২টি আম গরম পানিতে সেদ্ধ করে তা থেকে রস বের করে ঠাণ্ডা পানিতে পরিমাণমতো লবণ ও চিনি মিশিয়ে পান করুন। প্রতিদিন ২ বার করে এক সপ্তাহ পর্যন্ত পান করলে ঘামাচির জ্বালা ও চুলকানি থেকে দূরে থাকতে পারবেন খুব সহজেই।

©ডেইলি বাংলাদেশ

0 টি ভোট
করেছেন (12,550 পয়েন্ট)
শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঠান্ডা ঘরে কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করলে ঘামাচি থেকে দ্রুত পরিত্রাণ মেলে। নিয়মিত গোসল করতে হবে। আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা পানি ও বরফ লাগাবেন। ঢিলেঢালা সুতি পোশাক পরুন। ঘুমন্ত শিশুকে বারবার পাশ পরিবর্তন করে দিন। ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। অতিরিক্ত গরম পরিবেশ এড়িয়ে চলুন। গরমে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম থেকে বিরত থাকুন। ক্যালামাইন লোশন কাজে দেয়। বেশি মারাত্মক সমস্যা হলে চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে স্টেরয়েড ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।

ডা. তাহমিনা আক্তার, চর্ম বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
3 টি উত্তর 409 বার দেখা হয়েছে
+8 টি ভোট
3 টি উত্তর 706 বার দেখা হয়েছে
08 সেপ্টেম্বর 2020 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন বিজ্ঞানের পোকা ৫ (123,400 পয়েন্ট)
+10 টি ভোট
2 টি উত্তর 227 বার দেখা হয়েছে
03 ডিসেম্বর 2020 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Arpa (8,070 পয়েন্ট)

10,772 টি প্রশ্ন

18,455 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

263,059 জন সদস্য

59 জন অনলাইনে রয়েছে
3 জন সদস্য এবং 56 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  2. MichelleU26

    100 পয়েন্ট

  3. 33winflorist

    100 পয়েন্ট

  4. ChandaSoundy

    100 পয়েন্ট

  5. qh88dangnhapvip

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা #science পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...