ঘামাচি কেন হয়?
১. গরম আবহাওয়ায় শরীরের ঘামগ্রন্থির নালি বন্ধ হয়ে ঘামের বিভিন্ন উপাদান চামড়ার বিভিন্ন স্তরে জমা হয়ে ঘামাচি তৈরি করে। শিশুদের ঘর্মগ্রন্থি অপরিপক্ব, তাই ঘামাচি তাদের বেশি হয়।
২. আঁটসাঁট পোশাক এবং কয়েকটি ওষুধের প্রভাবে ঘামাচি বাড়ে। ত্বকে বসবাসকারী স্ট্যাফাইলোকক্কাস এপিডার্মিডিসব্যাকটেরিয়া ঘর্মগ্রন্থি বন্ধ করার নেপথ্যে ভূমিকা রাখে।
৪. অতিরিক্ত জ্বরের কারণেও ঘামাচি হতে পারে।
ঘামাচির ধরন
শিশুদের মাথা, ঘাড়, বগল, শরীরের ওপরের অংশে, রানের ভাঁজে, কনুই ও হাঁটুর ভাঁজে ঘামাচি দেখা যায়। বড়দের সাধারণত বুকে-পিঠে-পেটে ঘামাচি হয়। কয়েক ধরনের ঘামাচি আছে। যেমন মিলিয়ারিয়া ক্রিস্টালিনা নামের ঘামাচি শিশুদের, এমনকি জন্মের পর দ্বিতীয় সপ্তাহেই দেখা দিতে পারে। বড়দের ক্ষেত্রে এটা কম দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ ছোট ছোট দানা হয়। এগুলো সাধারণত কিছু দিনের মধ্যে আপনা-আপনিই সেরে যায়। মিলিয়ারিয়া রুব্রা নামের আরেকটি ঘামাচিতে ঘর্মগ্রন্থির নালির গভীরে ব্লক বা বাধা তৈরি হয়। ফলে ত্বকে লাল লাল দানা হয়। এগুলো এক সপ্তাহ বয়স থেকে শুরু হতে পারে। ছোট-বড় সবারই এটা হয়ে থাকে। এই ঘামাচিতে খুব চুলকায় এবং জ্বালাপোড়া করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঘামাচিতে পুঁজ জমতে দেখা যায়। আর মিলিয়ারিয়া প্রোফান্ডা নামের ঘামাচি ত্বকের গভীর স্তরে ঘাম নিঃসরণের ফলে জমা হয়।