Nishat Tasnim-
লাল কাপড় দেওয়া বিরিয়ানির পাতিলগুলোকে দূর থেকে দেখলেও চেনা যায়। মূলত এগুলো সংকেত। পাতিলগুলো যে বিরিয়ানির তা বুঝাতেই মূলত লাল কাপড় দিয়ে পাতিলগুলোকে বেঁধে রাখা হয়। তবে লাল কাপড় বেঁধে রাখার আরও কারণ আছে:
মুঘল ইতিহাস অনুযায়ী:
মানুষের ভাষার মতো রঙয়েরও কিন্তু ভাষা আছে। আপনার চিন্তায় কিন্তু রঙ প্রভাব রাখে। তেমনি পৃথিবীর প্রত্যেক দেশেই রঙয়ের ভিন্ন ভিন্ন অর্থ ও ব্যবহার রয়েছে। লাল রঙয়ের ব্যবহার একেক দেশে ভিন্ন ভিন্ন। কোনও দেশে লাল শৌর্য, আক্রমণ, বিপদ অর্থে ব্যবহার হয়। যেমন, যুদ্ধে লাল নিশানা সৈন্যদের নির্দেশনা দান করত শত্রুর মোকাবিলায়। আবার ট্রেনের বা রাস্তার সিগনাল লাল। তবে লাল রঙকে সাধারণত ধরা হয় সৌভাগ্য, উষ্ণতার, আনন্দ-উৎসব ও ভালবাসার আবেগের প্রতীক হিসেবে।
গোড়ার দিকের মুঘল শাসকরা ছিলেন পারস্য সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত। তারা তাদের জীবনে এই ধারা অনুকরণ করতেন। সম্রাট হুমায়ুন হলেন এর পথপ্রদর্শক। কারণ তিনি যখন রাজ্য হারিয়ে ইরানে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তখন তাকে পারস্য সম্রাট সেই লালগালিচার উষ্ণ অভ্যর্থনাই দিয়েছিলেন। খাদ্য পরিবেশনে দরবারি রীতিগুলোতে বিশেষত্ব, রুপোলি পাত্রের খাবারগুলোর জন্য লাল কাপড় এবং ধাতব ও চিনামাটির জন্য সাদা কাপড় দিয়ে ডেকে নিয়ে আসা হতো। যা মুঘলরাও তাদের দরবারে এ রীতি চালু করেন। শুধু তাই নয় সম্মানিত ব্যক্তি বা আধ্যাত্মিক সাধকদের জন্য ছিল লাল পাগড়ির ব্যবস্থা। সেখান থেকেই মূলত বিরিয়ানির পাতিলে লাল কাপড় বেঁধে রাখার রীতি এখনো চলে আসছে।
©science bee