ঘামে ভেজা বা বৃষ্টির পানিতে জবজবে ভেজা জামাকাপড় গায়ে বাসায় ফিরতে হয় অনেক সময়। এরপর পাখার বাতাস গায়ে পড়লেই দেহ শীতল হয়ে যায়। কিন্তু কেন? পাখার বাতাসে দেহের ঘাম বা জামাকাপড়ের পানি বাষ্পীভূত হতে থাকে। বায়ুপ্রবাহ যত বেশি থাকে, বাষ্পীভবন তত সহজ হয়। তাই পাখার বাতাস অথবা প্রাকৃতিক বাতাসে ঘামে ভেজা শরীরে শীতল লাগে। এ সময় গায়ের ঘাম বা জামাকাপড়ের পানি যত বাষ্পীভূত হতে থাকে, ততই শরীর থেকে তাপ শোষণ করতে থাকে। কারণ তরল বাষ্পীভূত করার জন্য দরকার তাপ। আর গায়ের ঘাম বা জামাকাপড়ের পানি বাষ্পীভূত হওয়ার জন্য যে তাপের দরকার হয় তা দেহ থেকে শোষিত হয়। দেহ থেকে অনবরত তাপ শোষিত হতে থাকায় শরীর শীতল অনুভূত হয়। কিন্তু এ সময় খুব বেশি পরিমাণ তাপ শরীর থেকে শোষিত হলে শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি কমে যায়, যার ফলে সর্দি বা জ্বর হতে পারে। এ ছাড়া সর্দি বা জ্বর না হলেও অনেক জীবাণু আছে, যারা শীতল শরীরে আক্রমণ করতে পারে অনেক বেশি সহজে। এ জন্য ঘামে ভেজা শরীর নিয়ে বেশি সময় পাখার বাতাসে থাকা ঠিক নয়। একই সঙ্গে বৃষ্টিতে ভেজা জামাকাপড় গায়ে দিয়েও বেশিক্ষণ কাটানো উচিত নয়।
কালের কন্ঠ