উচ্চ শব্দ কি মানুষের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় ? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
78 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (130 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (740 পয়েন্ট)

শব্দ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু শব্দের মাত্রা যখন অতিরিক্ত হয়ে যায়, তখন তা হয়ে ওঠে ক্ষতিকর। উচ্চ শব্দ বা অতিরিক্ত শব্দমাত্রা (High noise levels) কেবল কানের ক্ষতিই করে না, বরং মানুষের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বা কগনিটিভ পারফরম্যান্স কমিয়ে দেয় এটি আজ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত সত্য।

প্রথমত, উচ্চ শব্দে আমাদের মনোযোগ ও একাগ্রতা ব্যাহত হয়। যখন আশেপাশে অতিরিক্ত অডিও ইনপুট থাকে, তখন মস্তিষ্ক একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না। ফলে পড়াশোনা, লেখালেখি বা যেকোনো মনোসংযোগ-নির্ভর কাজে দক্ষতা কমে যায়।

দ্বিতীয়ত, উচ্চ শব্দ স্ট্রেস হরমোন বাড়িয়ে দেয়কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিনের মতো হরমোন নিঃসরণ বেড়ে যায়, যা মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস অংশে চাপ সৃষ্টি করে। হিপোক্যাম্পাস হলো আমাদের স্মৃতি ও শেখার কেন্দ্র। অতিরিক্ত চাপ এই অংশের স্বাভাবিক কার্যকারিতাকে ব্যাহত করে।

তৃতীয়ত, উচ্চ শব্দের কারণে ঘুমের গুণগত মান নষ্ট হয়। পর্যাপ্ত ও গভীর ঘুম ছাড়া মস্তিষ্ক তার নিজস্ব পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে না। ফলে যুক্তি, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং স্মরণশক্তি সবকিছু দুর্বল হতে থাকে।

চতুর্থত, দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ শব্দের এক্সপোজারে মস্তিষ্কের নিউরোন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ ছাড়া, শ্রবণশক্তি হ্রাস, মানসিক অবসাদ এবং এমনকি বয়সকালীন স্মৃতিভ্রংশ (Dementia) হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলেছে, যদি কেউ দীর্ঘসময় ধরে ৭০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার শব্দে থাকে, তাহলে তা তার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, স্কুলপড়ুয়া শিশুদের উচ্চ শব্দযুক্ত পরিবেশে পড়াশোনার মান হ্রাস পায় এবং স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।

+1 টি ভোট
করেছেন (740 পয়েন্ট)

শব্দ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু শব্দের মাত্রা যখন অতিরিক্ত হয়ে যায়, তখন তা হয়ে ওঠে ক্ষতিকর। উচ্চ শব্দ বা অতিরিক্ত শব্দমাত্রা (High noise levels) কেবল কানের ক্ষতিই করে না, বরং মানুষের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বা কগনিটিভ পারফরম্যান্স কমিয়ে দেয় এটি আজ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত সত্য।

প্রথমত, উচ্চ শব্দে আমাদের মনোযোগ ও একাগ্রতা ব্যাহত হয়। যখন আশেপাশে অতিরিক্ত অডিও ইনপুট থাকে, তখন মস্তিষ্ক একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না। ফলে পড়াশোনা, লেখালেখি বা যেকোনো মনোসংযোগ-নির্ভর কাজে দক্ষতা কমে যায়।

দ্বিতীয়ত, উচ্চ শব্দ স্ট্রেস হরমোন বাড়িয়ে দেয়কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিনের মতো হরমোন নিঃসরণ বেড়ে যায়, যা মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস অংশে চাপ সৃষ্টি করে। হিপোক্যাম্পাস হলো আমাদের স্মৃতি ও শেখার কেন্দ্র। অতিরিক্ত চাপ এই অংশের স্বাভাবিক কার্যকারিতাকে ব্যাহত করে।

তৃতীয়ত, উচ্চ শব্দের কারণে ঘুমের গুণগত মান নষ্ট হয়। পর্যাপ্ত ও গভীর ঘুম ছাড়া মস্তিষ্ক তার নিজস্ব পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে না। ফলে যুক্তি, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং স্মরণশক্তি সবকিছু দুর্বল হতে থাকে।

চতুর্থত, দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ শব্দের এক্সপোজারে মস্তিষ্কের নিউরোন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ ছাড়া, শ্রবণশক্তি হ্রাস, মানসিক অবসাদ এবং এমনকি বয়সকালীন স্মৃতিভ্রংশ (Dementia) হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলেছে, যদি কেউ দীর্ঘসময় ধরে ৭০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার শব্দে থাকে, তাহলে তা তার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, স্কুলপড়ুয়া শিশুদের উচ্চ শব্দযুক্ত পরিবেশে পড়াশোনার মান হ্রাস পায় এবং স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।

0 টি ভোট
করেছেন (180 পয়েন্ট)
হ্যাঁ, উচ্চশব্দ দীর্ঘ সময় ধরে শুনলে মানুষের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে উচ্চশব্দের প্রভাব মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষগুলির উপর পড়ে, যা মনোযোগ, স্মৃতি, এবং জ্ঞানীয় কার্যকারিতা কমাতে পারে। এছাড়া, উচ্চশব্দ মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

উচ্চশব্দের কারণে ক্রনিক স্ট্রেস তৈরি হলে, তা দীর্ঘমেয়াদে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, এটি ঘুমের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, উদ্বেগ এবং বিষণ্নতার মতো সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

তবে, প্রতিটি মানুষের প্রতিক্রিয়া আলাদা হতে পারে এবং কিছু মানুষের জন্য এটি কম প্রভাবিত হতে পারে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 337 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
4 টি উত্তর 1,385 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 302 বার দেখা হয়েছে

10,841 টি প্রশ্ন

18,541 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

844,772 জন সদস্য

13 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 13 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. M_Hamza

    340 পয়েন্ট

  2. NaeemAdnan

    170 পয়েন্ট

  3. Dibbo_Nath

    140 পয়েন্ট

  4. gamebaidtvntech

    100 পয়েন্ট

  5. instagramzacom

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য বাচ্চা হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...