আমরা প্রায়ই কথা বলতে শুনি- মেমোরি কার্ড, ল্যাপটপ, কম্পিউটার হার্ডডিস্ক ও ইউএসবি ফ্লাশ ড্রাইভ এসব নিয়ে।
মেমোরির ক্যাপাসিটি বা ধারণক্ষমতা নিয়ে আমরা আলাপ করি প্রতিনিয়ত। বাজারে ১ জিবি, ২ জিবি এভাবে ১২৮ জিবি বা আরও বেশি জিবির মেমোরি কার্ড বা পেনড্রাইভ পাওয়া যায়। কিছু কিছু হার্ডডিস্ক ও পেনড্রাইভ ১০০০ থেকে ২০০০ গিগাবাইট পর্যন্ত মেমোরি ধারণ করতে পারে।
কিন্তু আমরা কি ভেবে দেখেছি সৃষ্টিকর্তা আমাদের ব্রেনে কত জিবি মেমোরি দিয়েছেন?
বিজ্ঞানীরা আজও মানুষের ব্রেনের ক্যাপাসিটি বা ধারণক্ষমতা নির্ণয় করতে সক্ষম হননি। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, আপনি যদি ৩০ লাখ ঘণ্টা বা ৩৪২ বছর একনাগাড়ে মস্তিষ্কের মেমোরি কার্ডে সারাক্ষণ ভিডিও ধারণ করেন, তাতেও আপনার মস্তিষ্ক নামের সুপার কম্পিউটারের মেমোরি স্পেস পূরণ হবে না।
মস্তিষ্কের মেমোরি স্পেস নিয়ে গবেষণা তথ্যে নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজির অধ্যাপক ড. পল রেবার উল্লেখ করেছেন, মানুষের মস্তিষ্কে রয়েছে ১০০ কোটি বা এক বিলিয়ন নিউরন। প্রতিটি নিউরন একে অপরের সঙ্গে গড়ে তুলেছে ১ হাজার সংযোগ, যার গাণিতিক সংখ্যা হবে এক ট্রিলিয়নের বেশি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি প্রতিটি নিউরন একটি করে মেমোরি ধারণ করে তা হলেও কারও জীবদ্দশায় কখনও মেমোরি স্পেস শেষ হবে না। বরং এক একটা নিউরন অসংখ্য মেমোরি ধারণ করতে সক্ষম।
তিনি আরও বলেন, অধ্যাপক পল রেবর উল্লেখ করেছেন, ব্রেন যদি কোনো সর্বাধুনিক ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডারের মতো মেমোরি ধারণ করে, তা হলে সেই মেমোরি যদি কোনো টিভিতে অবিরাম সম্প্রচার করা হয়, তা হলে তিন শতাধিক বছর লাগবে তা প্রচার করতে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ব্রেনের মেমোরি ধারণক্ষমতা কমপক্ষে ২ দশমিক ৫ পেটাবাইট অথবা ১ মিলিয়ন জিবি বা ১০ লাখ গিগাবাইট ধারণক্ষমতা রয়েছে মস্তিষ্কের মেমোরি কার্ডের।
(যুগান্তর)