ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে ঘড়ির কাটা আগানো ও পিছানো হয় কেনো? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
227 বার দেখা হয়েছে
"বাংলাদেশ ও বিশ্ব" বিভাগে করেছেন (2,030 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (880 পয়েন্ট)

ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে ঘড়ির কাটা আগানো ও পিছানোর পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে।

প্রধান কারণগুলো হল:

  • দিনের আলোকে সর্বোচ্চ ব্যবহার করা: গ্রীষ্মের সময়, দিনগুলো দীর্ঘ হয় এবং রাতের সময় কম থাকে। ঘড়ির কাটা এক ঘন্টা এগিয়ে দিলে, মানুষ সূর্যোদয়ের পর বেশি সময় জেগে থাকতে পারে এবং দিনের আলোকে কাজকর্ম ও বিনোদন করার জন্য বেশি ব্যবহার করতে পারে।

  • শক্তির খরচ কমানো: শীতকালে, দিনগুলো ছোট হয় এবং রাতের সময় বেশি থাকে। ঘড়ির কাটা এক ঘন্টা পিছিয়ে দিলে, মানুষ সূর্যাস্তের আগে কাজকর্ম শেষ করতে পারে এবং বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে পারে।

  • সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণ: কিছু দেশে, ঘড়ির কাটা এগিয়ে দেওয়া বা পিছিয়ে দেওয়া সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণে করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, কিছু দেশে স্কুল ও কর্মক্ষেত্রের সময়সূচী ঘড়ির পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া হয়।

ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে ঘড়ির কাটা পরিবর্তনের সময়সূচী:

  • গ্রীষ্মকালীন সময় (DST): মার্চের শেষ রবিবার থেকে অক্টোবরের শেষ রবিবার পর্যন্ত ঘড়ির কাটা এক ঘন্টা এগিয়ে রাখা হয়।
  • শীতকালীন সময়: অক্টোবরের শেষ রবিবার থেকে মার্চের শেষ রবিবার পর্যন্ত ঘড়ির কাটা তার আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনা হয়।

কিছু দেশ ঘড়ির কাটা পরিবর্তন করে না:

  • আইসল্যান্ড: আইসল্যান্ড ইউরোপের একমাত্র দেশ যেখানে ঘড়ির কাটা পরিবর্তন করা হয় না।
  • বেলারুশ: বেলারুশ ২০১১ সালে ঘড়ির কাটা পরিবর্তন বন্ধ করে দিয়েছিল।
  • রাশিয়া: ২০২১ সালে, রাশিয়া ঘড়ির কাটা স্থায়ীভাবে গ্রীষ্মকালীন সময়ে স্থাপন করেছিল।
 
Source: Goolge
0 টি ভোট
করেছেন (2,030 পয়েন্ট)

শীতকালে দিন অনেক ছোট হয়ে যায় এবং রাত বড় হয়ে যায়। সেজন্য শীতকালে বেশি সময় ধরে বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবহার হয়, যা কিছুটা বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে। 

“ডে লাইট সেভিং” উদ্যোগটি নেওয়া হয় মূলত বিদ্যুৎ বাঁচানোর জন্য। দিনের আলোর অধিক ব্যবহার ও বিদ্যুতের ব্যবহার কমানোর লক্ষে ইউরোপীয় দেশগুলোতে বছরে দুইবার এই “ডে লাইট সেভিং” পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এরজন্য প্রতিবছর একবার ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা সামনে ও আরেকবার এক ঘণ্টা পেছনে পরিবর্তন করা হয়। প্রতিবছর বসন্ত কালের দিকে এক ঘন্টা সময় এগিয়ে দেওয়া হয় আবার শরৎকালে ১ ঘন্টা সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়। 

এখানে ঘটনাটা হবে এমন যে ঘড়ির কাঁটায় সময় দেখাবে সকাল ৮ টা এবং মানুষ তাদের অফিস, কারখানায় সকল কাজ শুরু করবে কিন্তু আসলে তখন মূল সময় থাকবে সকাল ৭ টা। যার কারণে আগে আগে কাজ শুরু করায় অফিস, কারখানা সহ সকল কর্মক্ষেত্রে ১ ঘন্টা বেশি দিনের আলো ব্যবহার করা হবে। 

 

বেশ কয়েকবার এই উদ্যোগ নিলেও পরবর্তীতে আবার স্থগিত করা হয়। অবশেষে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘ডে লাইট সেভিং’ চালু হয়। 

প্রযুক্তিময় বর্তমান বাস্তবতায় ইন্টারনেট সংযুক্ত ঘড়ি, টেলিভিশন, এনড্রয়েড় কিংবা অ্যাপল ডিভাইসে বা অন্য কোনো ধরনের স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এ সময় বদলে যাবে।   
 

নোট: ২০০৯ সালে বাংলাদেশেও সময় এক ঘণ্টা পরিবর্তন করা হয়েছিলো। মূলত বিদ্যুৎ বাঁচানোর জন্য তখন এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো। তখন বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি ছিল খুব বেশি। উদ্দ্যেশ্যে ছিল মানুষ এক ঘণ্টা আগে কাজ করলে এক ঘণ্টা আগে ঘুমিয়ে পড়বে। এর ফলে দিনের বেলা একঘণ্টা বেশি কাজ হবে এবং রাতে একঘণ্টা বিদ্যুতের ব্যবহার কম হবে। কিন্তু যদিও পরবর্তীতে এটা অসফল হয় যেহেতু বাংলাদেশ শীতপ্রধান দেশ না, এটাকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। 

© Mahabub Islam Shanto 

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+7 টি ভোট
1 উত্তর 699 বার দেখা হয়েছে
21 জানুয়ারি 2021 "বিবিধ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন noshin mahee (110,340 পয়েন্ট)
+4 টি ভোট
1 উত্তর 327 বার দেখা হয়েছে
+10 টি ভোট
1 উত্তর 3,041 বার দেখা হয়েছে
+6 টি ভোট
1 উত্তর 454 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
1 উত্তর 6,960 বার দেখা হয়েছে

10,855 টি প্রশ্ন

18,553 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

852,803 জন সদস্য

154 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 153 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. nohu90abycom

    100 পয়েন্ট

  2. 88vvgroup

    100 পয়েন্ট

  3. s666abccom

    100 পয়েন্ট

  4. lc888tech

    100 পয়েন্ট

  5. Lc88llc

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল চিকিৎসা কী পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য মৃত্যু হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...