ঘড়ির কাটা কেন শুধু ডানদিকেই ঘুরে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+7 টি ভোট
688 বার দেখা হয়েছে
"বিবিধ" বিভাগে করেছেন (110,340 পয়েন্ট)

1 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (110,340 পয়েন্ট)
Abir Khan-

ঘড়ির কাঁটা ডান দিকে ঘোরে কেন?

টিকটিক শব্দ করে ঘোরে ঘড়ির কাঁটা। কোনদিকে ঘোরে, আমরা তো সবাই দেখি ডান দিকে! কিন্তু কখনো কি ভাবনায় এসেছে, কেন ডান দিকেই ঘোরে? বাঁ দিকে ঘুরলেই বা কী এমন সমস্যা? যদি নাই হয়, তাহলে ঠিক কী কারণে ঘড়ির কাঁটা কেবল ডান দিকেই ঘোরে?

সবচেয়ে প্রাচীন যে ঘড়িগুলো, সেগুলোতে কিন্তু কাঁটার ঘোরাঘুরির কোনো বিষয় ছিল না। হ্যাঁ, সূর্যঘড়িই হলো পৃথিবীর প্রাচীনতম ঘড়ি। এই সূর্যঘড়িও কিন্তু অনেক রকমের ছিল। সবচেয়ে প্রাচীন সূর্যঘড়ি বলা হয় মিসরীয়দের ওবেলিস্ককে। ধারণা করা হয়, মিসরীয়রা এই ঘড়ি বানানো শিখেছিল খ্রিস্টের জন্মেরও সাড়ে তিন হাজার বছর আগে। এ রকম আরেকটা ঘড়িকে বলা হয় 'শ্যাডো ক্লক'।ওটা বানিয়েছিল ব্যাবিলনীয়রা, খ্রিস্টের জন্মের হাজার দেড়েক বছর আগে।

এখন, এই সূর্যঘড়িগুলোতে সময় দেখা হতো সূর্যের ছায়া দেখে। অর্থাৎ সময়-নির্দেশক যে কাঁটা বা দণ্ড, সেটা স্থির থাকত। সূর্যের আলোয় সে কাঁটার ছায়ার পরিবর্তন দেখেই সময় হিসাব করা হতো। আর এখনকার ঘড়িতে আবার উল্টো, এই কাঁটাগুলোই ঘুরে ঘুরে সময় জানান দেয়। ছায়া দেখার কোনো বালাই নেই। এই রকম ঘড়ি, মানে যেই ঘড়িতে কাঁটা ঘুরে ঘুরে সময় জানান দেয়, তেমন ঘড়ি প্রথম বানানো হয় ১৩ শতকে। তবে তখনই এই ঘড়িগুলো তেমন জনপ্রিয় হয়নি। হবে কী করে, তখনো যে মানুষের সময় দেখার তেমন দরকারই পড়েনি। সূর্য দেখেই মানুষ দিব্যি বুঝে নিত যে এখন সকাল না দুপুর, বিকেল না সন্ধ্যা। সময় নিয়ে এরচেয়ে বেশি মাথা ঘামানোর তেমন দরকারই ছিল না।

এরও মোটামুটি ৪০০ বছর পরে, ১৮ শতকে যখন কলকারখানা বসতে শুরু করল, তখন মানুষের নির্দিষ্ট করে সময় দেখার দরকার হতে শুরু করল। নির্দিষ্ট সময়ে কারখানায় যেতে হবে, নির্দিষ্ট সময়ে দুপুরের খাবার খেয়ে আবার কাজে লাগতে হবে, নির্দিষ্ট সময়ে ছুটি হবে, কারখানার নিয়মটাই যে তেমন! তখন সবার ওই কাঁটাওয়ালা ঘড়ির দরকার পড়ল, যাতে সবাই সময়মতো সব কাজ করতে পারে। ফলে ঘড়িও খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠল।

এবার একটা হিসাব মেলানো যাক। যে অঞ্চলে পুরোনো ঘড়িগুলো তৈরি হয়েছিল, মিসর আর ব্যাবিলন-এগুলো কিন্তু একই অঞ্চলে। অন্যান্য সূর্যঘড়িও কিন্তু মোটামুটি সেই অঞ্চলের কাছাকাছিই তৈরি হয়েছিল। অর্থাৎ, এশিয়া আর ইউরোপের মাঝামাঝি যে অঞ্চল, পশ্চিমাদের পরিভাষা অনুযায়ী যাকে এখন বলা হয় মধ্যপ্রাচ্য। মিসর-ইরাক-ইরান-তুরস্ক ওই অঞ্চলে। পৃথিবীর বিখ্যাত সব প্রাচীন সভ্যতাগুলোর বেশির ভাগই কিন্তু গড়ে উঠেছিল এ অঞ্চলেই। যেমন মিসরের মিসরীয় সভ্যতা, ইরাকের মেসোপটেমীয় সভ্যতা, ইরানের পারস্য সভ্যতা, তুরস্কের গ্রিক ও ট্রয়ের সভ্যতা। মেসোপটেমীয় সভ্যতার আবার চারটি ভাগ আছে-সুমেরীয় সভ্যতা, ব্যাবিলনীয় সভ্যতা, অ্যাসিরীয় সভ্যতা আর ক্যালডীয় সভ্যতা। আর এ অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সূর্যঘড়ির ছায়া দিনের সঙ্গে ক্রমাগত পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে সরে যেত। অর্থাৎ, দিন যত গড়িয়ে রাতের দিকে যেত, ছায়াও তত পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে যেত। সেখান থেকেই ঘড়ির কাঁটার দিকের ব্যাপারটা এসেছে। সে অনুযায়ীই ঘড়ির কাঁটা পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে যায়।

এখন প্রশ্ন হলো, পশ্চিম-পূর্বের সঙ্গে বাঁ ও ডানের কী সম্পর্ক? এবার তাহলে একটা মানচিত্র নিয়ে বসা যাক। মানচিত্রের ওপরের দিকে একটা দিকনির্দেশক চিহ্ন থাকে। তার পাশে লেখা থাকে এন বা নর্থ। মানে, মানচিত্রের ওপরের দিকটা হলো নর্থ, বাংলায় যাকে বলে উত্তর। আর নিচের দিকটা হলো দক্ষিণ। তাহলে হিসাবে বাঁ দিকে পড়ে পশ্চিম আর ডান দিকে পূর্ব দিক। এ কারণেই ঘড়ির কাঁটা বাঁ দিক থেকে ডান দিকে যায়। মানে, আসলে ওটা বাঁ থেকে ডানে না, বলা উচিত পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে যায়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 204 বার দেখা হয়েছে
+4 টি ভোট
1 উত্তর 308 বার দেখা হয়েছে
+7 টি ভোট
1 উত্তর 577 বার দেখা হয়েছে
+10 টি ভোট
1 উত্তর 3,025 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 271 বার দেখা হয়েছে

10,844 টি প্রশ্ন

18,545 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

847,130 জন সদস্য

20 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 20 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Khairul_Alom_Fardush

    140 পয়েন্ট

  2. ganga-clubb.com

    100 পয়েন্ট

  3. remcuasifini

    100 পয়েন্ট

  4. ganga-club.org

    100 পয়েন্ট

  5. 5679cjcom

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...