মানুষের কান্না আসার বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল। এটিতে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের অংশগ্রহণ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে হাইপোথ্যালামাস, অ্যামিগডালা, এবং প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স।
হাইপোথ্যালামাস হল মস্তিষ্কের একটি ছোট অংশ যা বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক ফাংশন নিয়ন্ত্রণ করে। এটি কান্না উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হাইপোথ্যালামাস থেকে নিঃসৃত হরমোন অ্যাড্রিনালিন এবং কর্টিসল কান্নার কারণ হতে পারে।
অ্যামিগডালা হল মস্তিষ্কের একটি অংশ যা আবেগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ভয়, রাগ, এবং দুঃখের মতো নেতিবাচক আবেগগুলি প্রক্রিয়া করে। অ্যামিগডালা থেকে নিঃসৃত হরমোন কান্না উৎপাদনে অবদান রাখতে পারে।
প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স হল মস্তিষ্কের একটি অংশ যা চিন্তাভাবনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ইচ্ছাকৃত কান্নাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
কান্না আসার জন্য নির্দিষ্ট কোন কারণ নেই। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
- আবেগ: কান্না প্রায়শই দুঃখ, রাগ, ভয়, আনন্দ, বা উত্তেজনার মতো আবেগের প্রতিক্রিয়ায় হয়।
- ব্যথা: শারীরিক ব্যথাও কান্না উৎপাদন করতে পারে।
- ঔষধ: কিছু ওষুধ, যেমন অ্যান্টিডপ্রেসেন্ট, কান্না উৎপাদন করতে পারে।
- চিকিৎসা অবস্থা: কিছু চিকিৎসা অবস্থা, যেমন মস্তিষ্কের আঘাত বা মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, কান্না উৎপাদন করতে পারে।
কান্না একটি স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যকর আবেগগত প্রতিক্রিয়া। এটি মানসিক চাপ এবং আবেগ প্রকাশের একটি উপায়।