মানুষ নানা কারণে হাসে। কখনো মজার উপলক্ষ পেলে, কখনো আবার বিস্ময়কর কিছু ঘটে গেলে। কেউ আবার সুড়সুড়ি পেলেও হাসে। এমনকি কেউ কেউ ভয় পেয়ে, স্নায়ু চাপে থাকার ফলেও হাসে! মানুষ কেন হাসে—বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে সব কটি কারণ বের করতে পারেননি। তবে সবার জানা আছে, হাসি একে অপরের মধ্যে সম্পর্ক আরও ভালো করে।
কিন্তু কেন?
কথা বলার একটি উপায় হচ্ছে হাসি। আগের যুগের মানুষেরা যখন হাসত, তখনো হাসির মধ্যে ভাষা থাকত। সবকিছু ঠিক থাকলে হাসি দিয়েই তা প্রকাশ করত তারা। এখন যখন মানুষ হাসে, তখন অন্যরা ধরে নেয় তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে। কিংবা কোনো একটি দলের সদস্য তারা। আমরা সবাই জানি, হাসি সংক্রামক। একজন হাসতে শুরু করলে অন্যরাও না হেসে পারে না।
হাসি কেন ভালো?
হাসার কারণে মস্তিষ্কের বিশেষ এক রাসায়নিক পদার্থ মানুষকে ভালো অনুভূতি দেয়। এটি একধরনের ব্যায়ামও বটে। এতে শ্বাস–প্রশাস দ্রুত ঘটে, শরীরের পেশি ব্যবহৃত হতে কাজ করে এবং হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুস ভালো রাখতে সাহায্য করে। আপনি যদি কোনো কিছু নিয়ে উদ্ধিগ্ন থাকেন বা ভয়ের মধ্যে থাকেন, তাহলে হাসি তা দূর করে দিতে পারে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, মানুষের ইমিউন (যা শরীরকে সহায়তা করে রোগ প্রতিরোধ করতে) ব্যবস্থা ভালো রাখতে সহায়তা করে হাসি। খোশমেজাজে রাখা ও ব্যথা দূর করে স্বাচ্ছন্দ্যে রাখতেও হাসির বিকল্প নেই।
সূত্র: মেন্টালফ্লস