Colourblind মানুষরা কী জন্ম থেকেই Colourblind হয় নাকি পরে হওয়ার ও সম্ভবনা থাকে ? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
164 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (4,950 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (4,950 পয়েন্ট)
কালার ব্লাইন্ডনেস বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জন্মগত ভাবেই দেখা দেয়। জন্মের পর থেকেই এই রোগ থাকার বিশেষ কারণগুলোর একটি হলো জেনেটিক ত্রুটির কারণে রেটিনার কোণের গঠনে অস্বাভাবিকতা। তবে কিছু ক্ষেত্রে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই রোগ প্রকাশ পায়। এটি হতে পারে কিছু বিশেষ রোগের কারণে যেমন গ্লুকোমা, অপটিক নিউরিটিস, পারকিনসন ডিজিস, আলজেইমার ডিজিস, লিউকোমিয়া ইত্যাদি।
0 টি ভোট
করেছেন (4,270 পয়েন্ট)

কালার-ব্লাইন্ড মানুষরা সাধারণত জন্ম থেকেই কালার-ব্লাইন্ড হয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে, পরবর্তী জীবনে কালার-ব্লাইন্ড হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

জন্মগত কালার-ব্লাইন্ডনেস সাধারণত একটি জিনগত ব্যাধির কারণে হয়। এই ব্যাধিগুলি রেটিনায় রঙের সংবেদনশীল কোষগুলিকে প্রভাবিত করে। এই কোষগুলিতে একটি প্রোটিন থাকে যা আলোর বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের প্রতি সংবেদনশীল। যখন এই প্রোটিনগুলি সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন মানুষ রঙগুলিকে সঠিকভাবে দেখতে পারে না।

পরবর্তী জীবনে কালার-ব্লাইন্ড হওয়ার কিছু সম্ভাব্য কারণ হল:

  • কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
  • চোখের আঘাত বা অস্ত্রোপচার
  • কিছু চোখের রোগ, যেমন ম্যাকুলার ডিজেনারেশন
  • বয়স-সম্পর্কিত পরিবর্তন

জন্মগত কালার-ব্লাইন্ডনেস প্রায়শই পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এটি কারণ পুরুষদের X ক্রোমোজোমে রঙ-সংবেদনশীল কোষগুলির জন্য জিন থাকে। যদি একটি পুরুষের একটি X ক্রোমোজোমে এই জিনটিতে মিউটেশন থাকে, তাহলে তিনি কালার-ব্লাইন্ড হবেন। মহিলাদের দুটি X ক্রোমোজোম থাকে, তাই তাদের কালার-ব্লাইন্ড হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

পরবর্তী জীবনে কালার-ব্লাইন্ড হওয়ার সম্ভাবনা সব বয়সের মানুষের জন্য সমান।

কালার-ব্লাইন্ডনেস বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ ধরন হল রেড-গ্রিন কালার-ব্লাইন্ডনেস। এই ধরণের কালার-ব্লাইন্ডনেসে, লোকেরা লাল এবং সবুজ রঙগুলিকে আলাদা করতে পারে না। অন্য ধরণের কালার-ব্লাইন্ডনেস হল ব্লু-ইয়েলো কালার-ব্লাইন্ডনেস। এই ধরণের কালার-ব্লাইন্ডনেসে, লোকেরা নীল এবং হলুদ রঙগুলিকে আলাদা করতে পারে না।

কালার-ব্লাইন্ডনেস নির্ণয় করার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা রয়েছে। একটি সাধারণ পরীক্ষা হল আই-চ্যার্ট পরীক্ষা। এই পরীক্ষায়, একজন ব্যক্তিকে বিভিন্ন রঙের বিন্দুগুলির একটি চিত্র দেখানো হয়। যদি ব্যক্তিটি রঙগুলিকে সঠিকভাবে আলাদা করতে না পারে, তাহলে তাকে কালার-ব্লাইন্ড বলে মনে করা হয়।

কালার-ব্লাইন্ডনেসের জন্য কোন চিকিৎসা নেই। তবে, কালার-ব্লাইন্ড ব্যক্তিরা বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে রঙগুলিকে আরও ভালভাবে দেখতে শিখতে পারেন। 

আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন। আপনার যদি কোনো ফিরতি প্রশ্ন থাকে তাহলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। যদি আমার জানা থাকে, অবশ্যই উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ!

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

10,775 টি প্রশ্ন

18,459 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,886 জন সদস্য

39 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 39 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Nafis Hasan

    220 পয়েন্ট

  2. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  3. sobujalam

    110 পয়েন্ট

  4. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  5. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...