কালার-ব্লাইন্ড মানুষরা সাধারণত জন্ম থেকেই কালার-ব্লাইন্ড হয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে, পরবর্তী জীবনে কালার-ব্লাইন্ড হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
জন্মগত কালার-ব্লাইন্ডনেস সাধারণত একটি জিনগত ব্যাধির কারণে হয়। এই ব্যাধিগুলি রেটিনায় রঙের সংবেদনশীল কোষগুলিকে প্রভাবিত করে। এই কোষগুলিতে একটি প্রোটিন থাকে যা আলোর বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের প্রতি সংবেদনশীল। যখন এই প্রোটিনগুলি সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন মানুষ রঙগুলিকে সঠিকভাবে দেখতে পারে না।
পরবর্তী জীবনে কালার-ব্লাইন্ড হওয়ার কিছু সম্ভাব্য কারণ হল:
- কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- চোখের আঘাত বা অস্ত্রোপচার
- কিছু চোখের রোগ, যেমন ম্যাকুলার ডিজেনারেশন
- বয়স-সম্পর্কিত পরিবর্তন
জন্মগত কালার-ব্লাইন্ডনেস প্রায়শই পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এটি কারণ পুরুষদের X ক্রোমোজোমে রঙ-সংবেদনশীল কোষগুলির জন্য জিন থাকে। যদি একটি পুরুষের একটি X ক্রোমোজোমে এই জিনটিতে মিউটেশন থাকে, তাহলে তিনি কালার-ব্লাইন্ড হবেন। মহিলাদের দুটি X ক্রোমোজোম থাকে, তাই তাদের কালার-ব্লাইন্ড হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
পরবর্তী জীবনে কালার-ব্লাইন্ড হওয়ার সম্ভাবনা সব বয়সের মানুষের জন্য সমান।
কালার-ব্লাইন্ডনেস বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ ধরন হল রেড-গ্রিন কালার-ব্লাইন্ডনেস। এই ধরণের কালার-ব্লাইন্ডনেসে, লোকেরা লাল এবং সবুজ রঙগুলিকে আলাদা করতে পারে না। অন্য ধরণের কালার-ব্লাইন্ডনেস হল ব্লু-ইয়েলো কালার-ব্লাইন্ডনেস। এই ধরণের কালার-ব্লাইন্ডনেসে, লোকেরা নীল এবং হলুদ রঙগুলিকে আলাদা করতে পারে না।
কালার-ব্লাইন্ডনেস নির্ণয় করার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা রয়েছে। একটি সাধারণ পরীক্ষা হল আই-চ্যার্ট পরীক্ষা। এই পরীক্ষায়, একজন ব্যক্তিকে বিভিন্ন রঙের বিন্দুগুলির একটি চিত্র দেখানো হয়। যদি ব্যক্তিটি রঙগুলিকে সঠিকভাবে আলাদা করতে না পারে, তাহলে তাকে কালার-ব্লাইন্ড বলে মনে করা হয়।
কালার-ব্লাইন্ডনেসের জন্য কোন চিকিৎসা নেই। তবে, কালার-ব্লাইন্ড ব্যক্তিরা বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে রঙগুলিকে আরও ভালভাবে দেখতে শিখতে পারেন।
আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন। আপনার যদি কোনো ফিরতি প্রশ্ন থাকে তাহলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। যদি আমার জানা থাকে, অবশ্যই উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ!