অজ্ঞান হবার ব্যাপারটা পুরোটা মস্তিষ্ক প্রসূত।প্রাকৃতিক ভাবে যদি ব্রেনে যথাযথ অক্সিজেন না পৌছায়,তখন নিউরন(ব্রেনের কোষ) গুলো সাময়িক কাজ করা বন্ধ করে দেয়,বাকি অক্সিজেন টুকু নিজেদের বাচিয়ে রাখতে ব্যাবহার করে।সাময়িক কাজ করা বন্ধ করলে, পুরো শরীরের কোন উদ্দীপনা আর ব্রেনে পৌছাতে পারে না।খুব উত্তেজনায় বা বিপদে, ভয়ে আমরা অজ্ঞান হয়ে যেতে দেখি।কারণ আমাদের শরীরের একটা স্নায়ু আছে, ভেগাল নার্ভ নামে।এইটা আমাদের শরীরের মেজর যত ফাংশন (যেমন হার্ট রেট,শ্বাস প্রশ্বাস, রক্তচাপ..) আছে,কন্ট্রোল করে।এর কাজ অটোনোমাস।মানে নিজে নিজেই নির্ধারিত হয়।মানুষ বিপদে পড়লে বা উত্তেজনায় এড্রেনালিন ক্ষরণ হয়।ফলে ভেগাস নার্ভ ব্লাড প্রেসার বাড়ায়,দ্রুত শ্বাস নিই,প্রচুর অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত ব্রেনে পৌছায়,যেন আপনি দ্রুত ভাবতে পারেন,সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।একে বলা হয় ফাইট অর ফ্লাইট রেসপন্স।কিন্ত এরপর পরই আপনার প্রেসার নেমে যায়,হার্ট বীট কমে যায়।ব্রেনে অক্সিজেন পরিবহন কমে যায়।মেডিকেলের ভাষায় একে বলে vasovagal syncope.এই জিনিসটা লোড শেডিং এর তুলনা দিতে পারেন যখন চাহিদা থাকে,তখন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য,বিদুৎ বিভ্রাট মেনে নিতে হয়।এ ধরনের অজ্ঞান কিছুক্ষন পরই ঠিক হয়ে যায়।
- নাদিয়া ইসলাম