অন্যান্য লিঙ্গের মতোই ট্রান্সজেন্ডার বা রূপান্তরিত লিঙ্গের যৌনতার পূর্ণ পরিসর আছে। যৌন সম্পর্কে আকৃষ্ট নয়, এমন ট্রান্সজেন্ডার মানুষও আছেন।
অধিকাংশ রূপান্তরকামী পুরুষরা নারীদের প্রতি আকৃষ্ট হন। জ্যাজ সুরকার বিলি টিপ্টন আমৃত্যু তার রূপান্তরকামী পরিচয় গোপন রেখেছিলেন। নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত মানুষ যে পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে, তা ল্যু সালিভানের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
টবি হিল-মেয়র একটি তথ্যচিত্র তৈরী করছেন ডুয়িং ইট এগেইনঃ ইন ডেপ্থ যেখানে তিনি রূপান্তরিত মানুষের যৌন চর্চা ব্যাখ্যা করেছেন। ১৭ই ডিসেম্বর তার প্রথম ভাগ প্লেফুল আওয়েকেনিংস প্রকাশিত হয় যেখানে তিনি এমন দম্পতিদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আরা দু'জনেই রূপান্তরকামী। সাংস্কৃতিক শিক্ষার পণ্ডিত জে.আর.ল্যাটহ্যাম রূপান্তরকামী পুরুষদের যৌন চর্চা নিয়ে প্রথম লিখেছিলেন তার বই সেক্সুয়ালিটিস-এ।
এলাকার সংস্কৃতি অনুযায়ী যৌন আচরণ ও লিঙ্গ ভূমিকায় যেমন বদল আসে, ঠিক তাই হয় রূপান্তরকামী মানুষের ক্ষেত্রে।
আফ্রিকান-আমেরিকান ও ল্যাটিনো সংস্কৃতিতে সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয় সঙ্গীদের মধ্যে বিভাজন করা হয়। সক্রিয় সঙ্গীরা হয় পুরুষালি ও নিষ্ক্রিয় সঙ্গীরা হয় মেয়েলি।
কিছু এশীয় দেশ, যেমন থাইল্যান্ডে, রূপান্তরিত মানুষদের প্রতি সমাজের সহনশীল দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করে।
অনেক জায়গাতেই রূপান্তরকামীরা (মূলত রূপান্তরকামী নারীরা) যৌন কর্মে অংশ নেন। কর্মসংস্থান বৈষম্যের কারণেই এই সমস্যার উৎস। রিয়া নামে সতেরো বছর বয়সী এক রূপান্তরকামী বালিকাকে নিয়ে তথ্যচিত্র হওয়ায় এই বৈষম্যের কথা বারবার উঠে এসেছে। তবে যৌন কর্মে অংশগ্রহণকারী অনেক রূপান্তরিত পুরুষই গে ফর পে অর্থাৎ সাংসারিক ভাবে বিপরীতকামী হলেও কাজের সময়ে তারা সমকামী হন। বাক এঞ্জেল এমনই একজন।