প্রথমত, ভ্যাকিউম বোমার ভিতরে বিভিন্ন বিস্ফোরকের মিশ্রণ থাকে যা একে প্রচন্ড শক্তিতে বিস্ফোরিত হতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ: আমেরিকার MOAB নামক ভ্যাকিউম বোমে ৪৪% আরডিএক্স, ২৯.৫% টিএনটি, ২১% অ্যালুমিনিয়াম পাউডার, ৫% পারফিন ওয়্যাক্স এবং ০.৫% ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড ব্যবহার করেছিল।
এরপর আসে এর মেকানিজম। মূলত ভ্যাকিউম বোমার ভিতর দুটি চেম্বার থাকে। একটি ভিতরে এবং একটি থাকে বাইরে। বাইরের দিকের অংশে তরল বিস্ফোরক যেমন: পেট্রোল থাকে। আর ভিতরেরটিতে বিভিন্ন বিস্ফোরকের মিশ্রণ থাকে। প্লেন থেকে বোমা ফেলার পর মাটির ৬ ফুট উপরে এর বাইরের চেম্বারের তরল দাহ্য পদার্থ বিস্ফোরিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে একদিকে আশেপাশের সব স্থানে তরল পেট্রোলের কারণে আগুন ধরে যায়; অন্যদিকে বিস্ফোরণের কারণে চারদিকের বায়ু বিস্ফোরণের স্থান থেকে সরে যাওয়ায় সেখানে ভ্যাকিউম বা অনেকটা শূন্য স্থানের সৃষ্টি হয়। ফলে সেখানে নিম্নচাপ তৈরি হয় এবং আশেপাশের স্থান থেকে অক্সিজেনযুক্ত বায়ু বিস্ফোরণের স্থানের দিকে তীব্র গতিতে আসতে থাকে এবং বোমার ভিতরের চেম্বারের বিস্ফোরক কোনো অক্সিডাইজার ছাড়াই বাতাসের অক্সিজেনের সাহায্যে ভয়ংকর একবিস্ফোরণ ঘটায়। ফলে আশেপাশের অনেকদূর পর্যন্ত সবকিছু ধ্বংস হয় যায়।
অন্য বোমার সাথে এর মূল তফাত, এটি বাতাসের অক্সিজেন শোষণ করে ভয়ংকর বিস্ফোরণ ঘটায়। আবার অন্যান্য বোমায় বিস্ফোরণে অক্সিডাইজার সরবরাহ করতে অক্সিডাইজার বিস্ফোরক মিশ্রিত করে দেওয়া হয়। এতে করে বোমাটি আকারে অনেক বড় হয়। তবে ভ্যাকিউম বোমা ময় অক্সিডাইজার থাকে না বলে বিধ্বংসী ভ্যাকিউম বোমাগুলোও ছোট হয়।