আমরা এক দেশ থেকে অন্য দেশেভ্রমণ করার একমাত্র সহজ মাধ্যম হলো প্লেন ,এর মাধ্যমে ভ্রমণ করা একদিকে যেমন আরামদায়ক তেমনি দ্রুতগতিসম্পন্ন ,একদিনের কম সময়ের মধ্যে পৃথিবীর যে কোনো স্থানে ভ্রমণ করতে পারি। আমরা অনেক সময়ই অবাক হতে বাধ্য হই বিমান কিভাবে আকাশে ভাসতে ভাসতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণ করে। গাড়ি যেমন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর হওয়ার জন্য কোন চাকার মাধ্যমে মাটিতে ঘর্ষনের মাধ্যমে একদিক থেকে অন্যদিকে দিকে এগুতে থাকে। তেমন কিছুই নেই শুধুমাত্র ইঞ্জিনের মাধ্যমে বাতাসে বাধা কে কাজে লাগিয়ে সামনের দিকে এগোতে থাকে।কিভাবে বিমান সামনের দিকে চলতে পারে ?বর্তমানে আধুনিক সকল প্যাসেঞ্জার এবং মিলিটারি এয়ারক্রাফট গুলো জেট ইঞ্জিনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আমরা জানি প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে! অন্যান্য পোস্টঃ ETP Plant কি?
যেমন: বেলুন থেকে যখন বাতাস বের হয় বেলুন সামনের দিকে এগোতে থাকে ,আবার মাঝি যখন বৈঠার মাধ্যমে সামনের পানি টেনে পিছনের দিকে নে ,তখন এর বিপরীতে নৌকার সামনের দিকে শক্তি প্রয়োগ হয়.ফলে নৌকা সামনের দিব্লেড কে এগোতে থাকে।
ঠিক তেমনি জেট ইঞ্জিন প্রচন্ড শক্তির সাথে সামনের বাতাস টেনে পিছনের দিকে খুব জোরে ধাক্কা দিয়ে পাঠিয়ে দেয় ,প্রচণ্ড গতিতে এবং সামনের দিকে এগোতে থাকেন। বিমান যখন সামনের দিকে এগোতে থাকে বিমানের ডানায় এয়ার হুইল শেফট এর কারণে লিফটে শক্তি উৎপন্ন হয় এবং অভিকর্ষ বলের বিপরীতে বাসতে বাসতে সামনের দিকে এগোতে থাকে।
জেট ইঞ্জিনের কাজ কি?সাধারণত জেট ইঞ্জিনের কাজ হল, সামনে বাতাস টেনে পিছন দিকে ধাক্কা দিয়ে Thrust force উৎপন্ন করে থাকে। বিমান যেন সামনের দিকে এগোতে পারে।অন্যান্য পোস্টঃ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কি?
সাধারণত জেট ইঞ্জিনে ভিতরে কিছু অংশে ঘুরে এবং কিছু অংশ স্থির থাকে ,এবং তাও আবার বিভিন্ন স্পিডে ঘুরার মাধ্যমে বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করে থাকেন, অর্থাৎ সবগুলো অংশের ঘূর্ণন গতি সমান নয়, যেমন; লো প্রেসার কম্প্রেশ্বর স্পিড হাইপেশার কম্প্রেশ্বর স্পিড থেকে কম হবে, ইঞ্জিন তত কার্যকরীভাবে শক্তি উৎপাদন করতে সম্ভব হবে , যেখানে সামনে ফ্যানের স্পিড খুবই কম হয় . বেশি ভালো হয় যে সামনে পেন, হাই প্রেসার স্পিড কম্প্রেশ্বর এবং লো প্রেসার স্পিড কম্প্রেশ্বর তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্পিডে ঘুরবে।
জেট ইঞ্জিন কি ভাবে কাজ করেকিন্তু বিভিন্ন কোম্পানী এই জটিলতা এড়ানোর জন্য দুটি ভিন্ন রকম ডিজাইন তৈরি করেন যাকে Two spool Design বলে .Two spool Design এই ডিজাইনে সামনের পেন কম্প্রেশ্বর এবং লো প্রেসার টারবাইন সবগুলো একটি স্যাড সাথে সংযুক্ত থাকে. যে কারণে সবগুলো অংশে একই স্পিডে ঘুরেন এবং অন্যদিকে হাই প্রেসার টারবাইন একটি সেপ্টে সাথে সংযুক্ত থাকে হাই প্রেসার কম্প্রেশ্বর এবং হাই প্রেসার টারবাইন একটি সাইটের সাথে সংযুক্ত থাকে . এবং ভেতরে ফাঁকা থাকে যাতে লো প্রেসার সেফট এর ভিতর দিয়ে অতিক্রম করতে পারেন. এবং এটি বিয়ারিং এর মাধ্যমে সংযুক্ত থাকেন. আর তাই শেফট দুটি মুক্তভাবে ভিন্ন ভিন্ন স্পিডে ঘুরতে পারে .সবচেয়ে বড় সামনে থাকা ফ্যান বাতাস টেনে পিছনের দিকে পাঠিয়ে দেয়।বিমানের জেট ইঞ্জিন অনেকগুলো ব্লেড ব্যবহার করা হয় যাতে বাতাস টেনে পেছনে আনতে পারিসাধারণত এক একটি জেট ইঞ্জিনের 13 ফুট হয়ে থাকে কিন্তু বিমানের আকার অনুযায়ী ইঞ্জিন ছোট বড় হয়ে থাকে.সামনের ফ্যানের স্পিড সাধারণত তিন হাজার আরপিএম হয়ে থাকে অর্থাৎ এই প্যান প্রতি মিনিটে 3 হাজার বার করে থাকেআর তাই বিমান টেক অফ এ সময় সামনের বাতাস পেছন, দিকে এক থেকে দুই টন বাতাস পেছনে টেনে আনতে পারে,বিমানের বেশিভাগ বাতাস বাইপাস হয়ে পেছনের দিকে চলে যায়।যা সাধারণত থ্রাষ্ট পোর্চস' উৎপন্ন করে এবং বিমান সামনের দিকে যেতে সাহায্য করেআপনারা দেখে থাকবেন বিমানের ইঞ্জিন এর বাতাস বাইপাসের রাস্তাটি যত পেছন থেকে এসেছে তত চিকন হয়েছেJet Engine
এবং বাতাসের গতি বৃদ্ধি পায় ফলে থ্রাষ্ট পোরস উৎপন্ন করে, বাকি বাতাসগুলো করে মধ্যে প্রবেশ করে এবং বাতাস গুলোকে সরাসরি কেন্দ্রে থাকা ইঞ্জিনের মধ্যে নিয়ে যায়,ইঞ্জিন এর ভিতর "লো প্রেসার এক্সেল ফ্লো কম্প্রেশর" এই কম্প্রেশ্বর গুলো বাতাসকে সংকুচিত করতে করতে পিছনের দিকে নিয়ে যায়.এজন্যেই বাতাসের প্রেসার এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে.কম্প্রেশ্বর পাতাগুলো আস্তে আস্তে ছোট করে নেওয়া হয়েছেবাতাস গুলো লো প্রেসার কম্প্রেশ্বর থেকে হাই প্রেসার টারবাইন এ প্রবেশ করেহাই প্রেসার কার্বনের রাসায়নিক শুরু হওয়ার কারণে এখানে বাতাসে প্রেশার অনেক বেশি বেড়ে যায়।হাই প্রেসার ব্লেড গুলো লো প্রেসার ব্লেড এর চেয়ে বেশি স্পিডে ঘুরতে থাকে।হাই প্রেসার কম্প্রেসরের প্লেটগুলো পেছন থেকে একটু ছোট থাকেএবং প্রতিটি ব্লেড প্রচন্ড শক্তির সাথে বাতাসকে পেছন দিকে ধাক্কা দিতে থাকেজেট ইঞ্জিন এর প্রতিটি সেকশনে দু'ধরনের ব্লেড ব্যবহার করা হয়ে থাকেপ্রথম সারির ব্লেড গ্রন্থি থাকে এবং দ্বিতীয় সারির ঘূর্ণায়মান থাকে।