-নিশাত তাসনিম আপু
দুঃখবোধ একটি মৌলিক আবেগ। সুস্থ মানুষের জীবনে দুঃখবোধ হওয়া এবং মন খারাপ থাকা স্বাভাবিক ঘটনা । চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন বলতে যা বোঝায়, তা সাধারণ মন খারাপের চেয়ে কিছু বেশি।
বিষণ্নতার ক্ষেত্রে কোনো কোনো সময় কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। শরীর ও মনের ভেতর থেকে এই এন্ডোজেনাস বিষণ্নতার উৎপত্তি। আবার কখনো বিভিন্ন ব্যক্তিগত বা সামাজিক কারণে সৃষ্ট দুঃখবোধ যদি অযৌক্তিকভাবে বেশি তীব্র ও দীর্ঘ সময় বিরাজমান থাকে, তখন তাকে বলে রি-অ্যাকটিভ বিষণ্নতা।
বিষণ্নতার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রধান লক্ষণ হচ্ছে মন খারাপ বা দুঃখবোধ বা স্যাডনেস। কিন্তু কেবল এই মন খারাপকেই বিষণ্নতা বলা যাবে না। মন খারাপ আর বিষণ্নতার কিছু পার্থক্য রয়েছে।
বিষণ্নতা একটি আবেগজনিত মানসিক রোগ। দুঃখবোধের মতো সাধারণ আবেগ যখন অযৌক্তিক, তীব্র ও দীর্ঘ সময়ব্যাপী (কমপক্ষে দুই সপ্তাহ) কোনো ব্যক্তিকে ঘিরে থেকে তার স্বাভাবিক জীবনযাপন, কর্মতৎপরতা ও পারস্পরিক সম্পর্ককে বাধাগ্রস্ত করে, তখন সেটাকে বলা হয় বিষণ্নতা। এতে মস্তিষ্কের সেরোটনিন জাতীয় রাসায়নিক পদার্থের গুণগত ও পরিমাণগত তারতম্য ঘটে। যে কেউ যেকোনো সময় এতে আক্রান্ত হতে পারে।