রাশিক আজমাইন : একেবারে অযৌক্তিক ৷ কারণ শক্ত করে বেঁধে দিলে পচন ধরে অঙ্গহানি হয়ে যাবে ৷ তাহলে কি বাঁধা যাবে না ? না বাঁধাই ভালো তবে বাঁধার জন্য উপযুক্ত নিয়ম মানতে হবে ৷
সব সাপের ছোবলে বাঁধা যাবে না ৷ যেমন ভাইপার জাতীয় সাপ ৷ এদের বিষ রক্তের উপর বিষক্রিয়া করে কোনোভাবেই দড়ি বা ফিতা ব্যবহার করা যাবে না ৷ বাঁধার জন্য প্রথম ছবির মতো ব্যান্ডেজ, শাড়ির পাড়, মাফলার, গামছা দিয়ে ঠিক এই ব্যান্ডেজ বাঁধতে যতটুকু চাপ দিতে হয় ততটুকু চাপ দিতে হবে ৷ বিষ ছড়ায় শিরা হয়ে কারণ ধমনি সুরক্ষিত জায়গায় থাকে ৷ সাপ এটার নাগাল পাবে না ৷ তাই শক্ত করে বেঁচে ধমনির রক্ত আটকানোর দরকার নেই ৷ শিরার রক্ত প্রবাহও আটকানো যাবে না ৷ গতি কমাতে হবে ৷ বিষযুক্ত রক্ত শিরায় আটকে গেলে যখন বাঁধন খোলা হবে তখন বাঁধ ভেঙে পানি ঢোকার মতো তীব্র বেগে রক্ত সাথে বিষ ছড়িয়ে পড়বে ৷
ছবি - ১ ঃ বাঁধলে এইভাবে বাঁধা উচিত ৷ এভাবে বেঁধে ২ ঘণ্টার বেশি রাখা যাবে না ৷
ছবি - ২ঃ (ভারতের) লাল চিহ্নে দুই দাঁতের দাগ দেখা যাচ্ছে ৷ কিন্তু বিষক্রিয়ার লক্ষণ নেই মানে একদমই ফুলে ওঠেনি ৷ তাই যে সাপে ছোবল সেটা বিষধর হলেও এক্ষেত্রে বিষ দেয়নি মানে ড্রাইবাইট ৷ মানুষ তো আর বুঝবে না ৷ শক্ত করে বেঁধে ওঝার কাছে নিয়ে যায় ৷ ওঝা কাটাকুটি করে, সেই জায়গাগুলো থেকে রক্তপাত হতে দেখা যাচ্ছে ৷ ভণ্ডামি করে নাগমণি ও গোবর লাগিয়ে দেয় ৷ তারপর কী মনে করে হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ ডাক্তাররা দেখলেন বিষক্রিয়ার লক্ষণ নেই তবু অ্যান্টিভেনম দিয়ে বাঁধন খুলে দিলেন ৷ কদিন পর ছেলেটার পায়ে ফোস্কা পড়ে, ফুলে ওঠে ৷ চিকিৎসদের মতে ওঝার জীবাণুযুক্ত জিনিস দিয়ে কাটাকুটি (যতই আগুনে পুড়াক, হাতে তো দস্তানা পরে না) করার কারণে ধনুষ্টঙ্কার এবং শক্ত করে বাঁধার কারণে পায়ে গ্যাস গ্যাংগ্রিন (পচন ধরা রোগের একটা ধরন) হবার প্রবল সম্ভাবনা আছে ৷