আমাদের শরীরে ২০৬টি হাড় রয়েছে। এ হাড়গুলো জন্মের সময় নরম থাকে। তারপর আস্তে আস্তে হাড়ে ক্যালসিয়াম জমা হয়ে হাড় শক্ত হয়। শক্ত হওয়া বলতে হাড়ের ডেনসিটি বা হাড়ের ঘনত্ব বাড়ে। ফলে হাড় শক্ত এবং মজবুত হয়। ছোট বাচ্চার হাড়ে যদি চাপ পড়ে, তাহলে হাড় বাঁকা হয়ে যাবে। আর বয়স্ক লোকের হাড়ে যদি চাপ পড়ে, তাহলে ভেঙে যাবে। মানুষের জন্মের পর ২০ থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত হাড়ের ঘনত্ব বাড়তে থাকে। তারপর ন্যাচারালি ঘনত্ব কমতে থাকে। অর্থাৎ ক্ষয় হতে থাকে। একটা নির্দিষ্ট বয়সে (৬০-৭০ বছর) হাড়ের ঘনত্ব অনেক কমে যায়। ঘনত্ব কমে যাবার নির্দিষ্ট মাপ রয়েছে। এক্সরের মতো একটি মেশিনে পুরো বডিকে স্ক্যান করে। এ পরীক্ষায় -২.৫ বা তার বেশি যদি হয় তাহলে হাড় ভেঙ্গে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। এক কথায় হাই রিস্ক। আর হাড়ের ঘনত্ব যদি ১.৫ থাকে, তাহলে রিস্ক মিডিয়াম। আর কারও ০ থাকলে, তাদের হাড়ের অবস্থা ভালো রয়েছে।